নবজাতক শিশুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা

মুন্নি বেগম,পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি:

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ধূলিয়া ইউনিয়নে ৬নং ওয়ার্ডের জামালকাঠি গ্রামের মোঃ কাদের চৌধুরীর ছোট ছেলে জহিরুল ইসলামের দ্বিতীয় স্ত্রীর নবজাতক জুবায়ের নামে সাত দিনের এক নবজাতককে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
প্রথম স্ত্রী শাবনাজ আক্তার এর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার ০৫/১০/২০২৩ খ্রিঃ বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে জহিরুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী ও দ্বিতীয় স্ত্রীকে ঘর থেকে নেমে যাওয়ার কথা বললে,দ্বিতীয় স্ত্রী ঘর থেকে নেমে যেতে অস্বীকার করলে তার সতীনসহ সাইফুল ইসলামের স্ত্রীকে নিয়ে মায়ের কোলে থাকা নবজাতক শিশুটিসহ মাকে টেনে হেচরে নামাবার সময় নবজাতক শিশুটিকে জোরাজোরি করলে ঘটনাস্থলে নবজাতক শিশুটির মৃত্যু হয়।
নবজাতক শিশুটি নড়াচড়া করে না দেখে মা দ্রুত কালিশুরি নিউ লাইভ কেয়ার ক্লিনিকে নিয়ে যায়।
ক্লিনিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক নবজাতকের মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
এ বিষয়ে জহিরুল ইসলামের দ্বিতীয় স্ত্রী সুমা আক্তার পিতা শফিউদ্দিন তালুকদার,গ্রাম পাটকাঠি,উপজেলা, বাকেরগঞ্জ,জেলা বরিশাল। নবজাতকের মা সুমা আক্তার তিনি বলেন,জহিরুল ইসলাম আমার স্বামী অনেক দিন আগে আমার সাথে বিয়ে হয়েছে আমার বিয়ের ব্যাপারে তিনি গোপন রেখেছেন এবং আমি অসুস্থ হলে তাকে জানালে তিনি আমার জন্য ৫ হাজার টাকা বিকাশে পাঠিয়ে বলেন তুমি চিকিৎসা করে নিও আমি তাবলীগ জামাতে যাচ্ছি মোবাইল ফোনের খোঁজখবর নিব।
সাত মাসের দিকে আমার ছেলে সন্তান জন্ম হয়,আমি বারবার আমার স্বামীকে বলি আমার ছেলে ও আমি অসুস্থ আমি তোমাদের বাড়িতে যাইতে চাই,সে কিছু বলেনি আমার খোঁজ খবর নেয়নি,আমি আজ সকালে আমার স্বামীর বাড়িতে এসেছি ,আমি আসার পর শুনি আমার স্বামীর প্রথম স্ত্রী রয়েছে।
আমার স্বামীর সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে সে আমাকে বলে তুই আমার এক লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকার ক্ষতি করেছো, তুই আমার স্ত্রী না।
এ বিষয় মেয়ের ছোট ভাই মোঃ আব্দুল আলীমকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন আমার বোনের সাথে জহিরুল ইসলামের গোপনে বিবাহ হয় এবং আমাদের বাড়িতে অনেক বার বেড়াতে আসতেন এবং তাদের বাড়িতে কয়েকবার নিয়ে গিয়েছে সেজন্য আমার বোনে জহির ভাইয়ের বাড়ি চেনেন।
এ বিষয়ে জহিরুল ইসলামের সাথে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

বাউফল থানার এস আই নজরুল ইসলাম তিনি বলেন, আমরা মরদেহ উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। রিপোর্টে কি আসে তার উপর ভিত্তি করে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব। এবং নবজাতকের মা যদি কোন অভিযোগ কিংবা মামলা করে তাহলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।
বাউফল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এটিএম আরিচুল হক বলেন,উক্ত ঘটনা শুনতে পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পুলিশফোর্স পাঠিয়েছি এবং ঘটনার সত্যটা পাওয়াগেলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

ভোলায় মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ

 

ভোলা জেলা প্রতিনিধি ফয়জুল বারী (রুবেল):

শুক্রবার সকাল ১১ টার দিকে বেলাল মাঝি,লিটন মাঝির নেতৃত্বে ধনিয়া ও মদনপুর ইউনিয়নের নিকটবর্তী মাঝ নদীতে একটি নির্দিষ্ট বাঁকে পাই জাল (সরকার নিষিদ্ধ ঘোষিত জাল) দিয়ে আগে ও পরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে,প্রতিপক্ষ হারুন মাঝি ও রহিম মাঝির সাথে বাক বিতন্ডের একপর্যায়ে সংঘর্ষের রূপ নেয়,এ সময় বশির মাঝি সংঘর্ষের বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় লোকজনদের নিয়ে ঘটনা স্থলে গেলে রহিম মাঝি,হারুন মাঝির সাথে থাকা ভুট্টোর নেতৃত্বে ৩০ থেকে ৪০ জনের সঙ্ঘবদ্ধ জেলেদের হাতে ব্যাপক নির্যাতনের শিকার হন,বশির মাঝির সাথে আহত ব্যক্তিরা হলেন,বেলাল মাঝি,লিটনমাঝি,কাশেম,মুছা,বাপ্পি,ঝন্টু,নাগর,ইব্রাহিম,শান্ত,মিজান,জিয়া,রিদান.এ সময় রহিম মাঝি হারুন মাঝি ও ভুট্টুর নেতৃত্বাধীন লোকদের দ্বারা বশির মাঝির একটি ট্রলারকে ভেঙে ডুবিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে,আহত ব্যক্তিদের সকলকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে,আহতদের মধ্যে বশির মাঝি ও বাবুর্চি কাশেমের অবস্থা কিছুটা সংকটাপর্ণ,বাকি সকলে কাটা,ফুলা,যখমের,প্রাথমিক চিকিৎসা নিচ্ছেন ভোলা সদর হাসপাতালে,এদিকে প্রতিপক্ষ হারুন মাঝি,রহিম মাঝি ও ভুট্টুও ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন,উভয় পক্ষের আহত ব্যক্তিদের দেখতে আসেন মদনপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে তার ভাই মহসিন নাগর,এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা সুস্থ সমাধানের জন্য এবং উভয় পক্ষের আহত ব্যক্তিদের সুচিকিৎসা ও ন্যায় বিচারের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন,এ সময় ধনিয়া ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মিঠু মেম্বার,শরিফুল ইসলাম গোলদার(সাবেক মেম্বার) ও সাইফুল ইসলাম সহ আরো গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম