পটুয়াখালী বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ

 

পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি:

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি,বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবীতে দেশব্যাপী কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ০৯/১০/২০২৩ খ্রিঃ পটুয়াখালীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিএনপি।
জেলা বিএনপির উদ্যোগে সকাল নয়টায় বনানী মোড়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব আবদুর রশিদ চুন্নু মিয়া, সদস্য অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান টোটন, সদস্য মিজানুর রহমান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচনের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
এর আগে ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল সহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল সহকারে সমাবেশ স্থলে পৌছান।
সভাস্থলের নেতাকর্মীরা বর্তমান সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে।

চারদিনের বৃষ্টিতে ডুবে আছে আমতলী, নিস্কাশন না থাকায় দুর্ভোগে লাখো মানুষ

চারদিনের বৃষ্টিতে ডুবে আছে আমতলী, নিস্কাশন না থাকায় দুর্ভোগে লাখো মানুষ

মো: আল আমিন (বাবু), আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপের প্রভাবে গত চারদিন ভারী বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে আমতলীর মাঠ-ঘাট তলিয়ে গেছে। দ্রুত পানি নিস্কাশন না হওয়ায় পানি বন্দি হয়ে পরেছেন উপজেলার লাখো মানুষ।

জানাগেছে, গত চার দিনে আমতলীতে ১৪০.৫৮ মিমি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এতে উপকুলীয় অঞ্চল আমতলী উপজেলার মাঠঘাট পানিতে তলিয়ে আছে।

পানি বন্দি হয়ে হয়েছে উপজেলার অন্তত লাখো মানুষ। পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে আউশের বীজতলা ও মাছের ঘের। শুক্রবার তেমন বৃষ্টি না হলেও মাঠ, ঘাটের পানি তেমন নিস্কাশন হয়নি।

উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নে সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে আউশের বীজতলা ও মাছের ঘের – পানের বরোজ।

কৃষকরা জানান, বীজতলা পঁচে গেলে নতুন বীজতলা তৈরি উপায় নেই। কিছু বীজ পানির ওপরে ভাসছে। ওই বীজের ওপর ভরসা করা যায় না।

এদিকে স্লুইসগেট জলকপাটের খুবই খারাপ অবস্থা, বিগত ৫ বছর আগে শেষ বারের মতন সংস্কার করা হয়েছে। জোয়ারে পানি ওঠে আবার ভাটায় পানি নামে।

কিন্তু যতটুকু নামা প্রয়োজন ততটুকু নামছে না। এভাবে পানি নামলে ৮ দিন লাগবে মাঠের পানি কমতে।

শুক্রবার দুপুরে আমতলী পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে আছে।

জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ার পৌর শহরের নিমাঞ্চলের বসবাসকারী মানুষের ঘরে পানি ওঠেছে।

স্বেচ্ছাসেবকরা তাদের সহায়তা করছে। এছাড়া আমতলী উপজেলার জোয়ারের পানিতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বাহিরের এলাকা তলিয়ে গেছে। তারা অতিকষ্টে দিনাতিপাত করছে। হলদিয়া ইউনিয়নের তক্তাবুনিয়া গ্রামের শিবলী শরীফ বলেন, পানিতে মাঠ-ঘাট থৈ থৈ করছে। তেমন পানি নিস্কাশন না হওয়ায় পানি বন্দি হয়ে পরেছি।

আমতলী পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের শহিদুল ইসলাম বলেন, আমতলি একটি মডেল পৌরসভা তারই অবস্থা খুব খারাপ, এখানে শুধু পানি আর পানি। পানির কারনে ঘর থেকে বের হতে পারছি না। নানান রোগ বালাই নিয়ে এখন বসবাস করছি।

বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ হিমেল মিয়া বলেন, উপজেলার অনেক স্লুইসগেট জলকপাট নেই।
ফলে জোয়ারে পানি ওঠে, আবার ভাটায় পানি নামে।

তার উপরে অতিবৃষ্টির পানিতে মাঠ-ঘাট তলিয়ে আছে। সব মিলিয়ে পানি নিস্কাশন হতে সময় লাগবে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম