কমিশন বানিজ্যে মেতেছেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মশিউর ব্যবস্হা নিতে নারাজ কর্তৃপক্ষ

 

আলী রেজা রাজু, ঢাকা:-

শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের
অধীনে একটি ইউনিয়নে তিনি দীর্ঘ ১০বছরের অধীক সময় ধরে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার (সেকমো )পদে চাকরি করলেও নিজ চেম্বারে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মশিউর।ঔষধপত্রে নামের আগে ব্যবহার করেন ডাঃ। উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে পোস্টিং থাকলেও দীর্ঘ বৎসর ধরেই উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করেই শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোস্টার ডিউটি করে আসছেন।

সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসায় উদ্বুদ্ধ করা,ঔষধ পত্রে বাড়তি ঔষধ লেখা,সরকারী ডিউিটি কালীন সময়ে প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখা,রোগীকে অহেতুক মেডিকেল টেস্ট করিয়ে অর্থবানিজ্যের মত গুরুতর অভিযোগ মিলেছে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপসহকারী চিকিৎসক (সেকমো ) মশিউরের বিরুদ্ধে।
শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা আরিনা,জারিফ,নাজমুন ও আবুবকরসহ একাধিক রোগীর স্বজনেরা জানান,হাসপাতালে মশিউর ডাক্তারের ডিউটি কালীন সময়ে স্বাস্থ্য সেবা নিতে গেলেই আগে টেস্ট করাতে বলে না হলে তিনি ঔষধপত্র দেননা।

অভিযোগের সত্যতা যাচায়ে সরেজমিনে অনুসন্ধান খোঁজ খবর নিলে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। অনুসন্ধানকালীন সময়ে দেখা যায়, তিনি ১দিনে ১৬জন রোগীকে বিভিন্নধরনের মেডিকেল টেস্ট করার জন্য বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। বিগত বছর-মাস গুলোতেও তিনি একই ক্লিনিকে ধারাবাহিক ভাবে রোগীদের বিভিন্ন ধরনের মেডিকেল টেস্ট করতে পাঠিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা কমিশন উত্তোলন করেছেন যা সুষ্ঠ তদন্তে বেরিয়ে আসবে।

শার্শার ৫০শষ্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটিতে ৪ জন এমবিবিএস ডাক্তার থাকলেও সেকমো মশিউর কর্তৃক স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসা রোগীদের প্রাইভেট ক্লিনিকে অপ্রয়োজনীয় মেডিকেল টেস্টে করতে পাঠানো জনমনে প্রশ্নবিদ্ধ?।

 

রোগীদের অভিযোগ বিষয়ে জানতে সেকমো মশিউরের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন নিজামপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভবন না থাকায় উর্দ্ধতণের নির্দেশ মোতাবেক তিনি দীর্ঘ বৎসর যাবৎ শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডিউটি করছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন ও ইতিপূর্বে তিনি শামটা সাব সেন্টার, লক্ষনপুর সাব সেন্টার ও বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে দায়িত্বপালন করেছেন বলে জানান। ব্যক্তিগত চেম্বার বলতে হাসপাতালের পাশেই ফিরোজা ফার্মেসী তিনি রোগী দেখেন বলে তিনি স্বীকার করেন।

এ বিষয় জানতে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুস সালামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন হাসপাতালে থেকে রোগী বাইরে পাঠান না তিনি আমি দায়িত্বে আসার পর। ইতিমধ্যে একাধিক পএ-পএিকার সংবাদ প্রকাশিত হলেও ব্যবস্হা নিতে নারাজ কর্তৃপক্ষ।তাহলে ম্যানেজ হচ্ছেন উদ্ধতন কর্তৃপক্ষ?প্রশ্ন জনমনে। এবিষয়ে
খুলনা বিভাগীয় কর্মকর্তা মনজুরুল মোর্শেদ এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্হা গ্রহণ করবে।
১৯৬২ সালে নির্মিত এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের ( সরকারী স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র )আনুমানিক ৪ লাখ মানুষের একমাত্র ভরসাস্থল।এখানে প্রতিদিনিই শত শত অসহায় নিরীহ মানুষ সরকারী খরচে স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসে।সেকমো মশিউরের নীরব অর্থবানিজ্যের ফাঁদে উপজেলাটির অশিক্ষীত ও অজ্ঞ রোগীরা প্রতারিত হলেও দেখার কেউ নেই।

স্বাস্থ্য সহকারী পদে নিয়োগে অনিয়ম, ভুক্তভোগীদের অবস্থান কর্মসূচি

স্বাস্থ্য সহকারী পদে নিয়োগে অনিয়ম, ভুক্তভোগীদের অবস্থান কর্মসূচি

ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতাঃ সোমবার (৩০ জুন) বেলা ১১টার দিকে অনিয়মের অভিযোগ তুলে সিভিল সার্জন কার্যালয় চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে পরীক্ষায় অংশ নেয়া ভুক্তভোগী ৭ জন প্রার্থী। তাদের দাবি, তারা বৈধ প্রার্থী হয়েও নিয়োগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তারা পুনঃতদন্তের মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার দাবি জানান।

ভুক্তভোগী প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন, জেলা সদরের নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের মোহাম্মাদ মাতুব্বরের ডাঙ্গী এলাকার কৃষক সোহরাব জমাদ্দারের ছেলে মো. রাজিব হোসেন (৩১), কানাইপুর ইউনিয়নের রামখন্ড গ্রামের শফিকুল ইসলাম (২৯), রনকাইল গ্রামের রায়হানুল ইসলাম, মাচ্চর ইউনিয়নের বাহিরদিয়া গ্রামের নূরে জান্নাত সারা, কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের সোহেল রানা, মধুখালী উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের ছোন্দাহ গ্রামের শিল্পী খাতুন (২৮) ও সালথা উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের বল্লভদী গ্রামের লাবনী আক্তার।

প্রত্যেকের অভিযোগ, স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ কার্যক্রম হয়নি। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণসহ মৌখিক পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করা সত্ত্বেও নিয়োগবিধির বাইরে এক ইউনিয়ন থেকে অন্য ইউনিয়নে, এক ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ডে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

এরমধ্যে ভুক্তভোগী রাজিব হোসেনের চূড়ান্তভাবে নিয়োগ প্রাপ্ত হলেও তাকে যোগদানে বাঁধা সৃষ্টি করেন সিভিল সার্জন। যোগদানের ক্ষুদে বার্তা পেয়ে গত ১লা জুন যোগদান করতে এলে কোনো কিছু না জানিয়ে তাকে বের করে দেয়া হয় বলে অভিযোগ করেন।

রাজিব হোসেন বলেন, আমাকে যোগদানে বাঁধা দেয়ার পর বিভিন্ন জায়গা আবেদন করেও কোনো সুষ্ঠু সমাধান পাইনি। এতো অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও সিভিল সার্জন কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। যতক্ষণ পর্যন্ত সুষ্ঠু বিচার না পাব ততক্ষণ আমাদের আন্দোলন চলবে।

ভুয়া নাগরিক পরিচয়পত্র দিয়ে অন্য ইউনিয়নে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ করেন নূরে জান্নাত সারা। তিনি বলেন, আমার ওয়ার্ড থেকে আমি লিখিত পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছি এবং মৌখিক পরীক্ষায়ও ভালো ফলাফল করি। কিন্তু আমাকে নিয়োগ না দিয়ে ফরিদপুর পৌরসভার একজন বাসিন্দাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। কিন্তু নিয়োগবিধিতে ইউনিয়নের বাইরে থেকে লোক নেয়ার কথা উল্লেখ নেই। এখানে অবশ্যই অনিয়ম হয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত চাই।

আরেক প্রার্থী শফিকুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আমার ওয়ার্ড থেকে আমি লিখিত পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে মৌখিক পরীক্ষা দেই। ভাবছিলাম আমার চাকরিটা হবে। কিন্তু ফলাফলে দেখি আমার ওয়ার্ডেরই কাউকে নিয়োগ দেয়া হয়নি। এসব নিয়ে অভিযোগ করলেও সিভিল সার্জন এড়িয়ে যাচ্ছেন। একাধিকবার তার কাছে এলে নানা টালবাহান কথা বলছেন। আজ বাধ্য হয়ে এখানে দাঁড়িয়েছি।তাদের দাবি স্বাস্থ্য সহকারী পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম হয়েছে। পুনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হোক অথবা আমাদের যোগদান করতে দেয়া হোক। বিষয়টি সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অবস্থান কর্মসূচি চলবে। দ্রুত সমাধান না হলে আরও কঠোর আন্দোলনে নামবো আমরা।

গত বছরের ২৫ মার্চ ৯টি ক্যাটাগরিতে শূন্য পদে ১২৯ জনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়। এর মধ্যে স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে ১০৪ জনকে নিয়োগের কথা উল্লেখ করা হয়। বিধি অনুয়ায়ী গত ২৩ মে লিখিত ও ২৬ মে মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ২৯ মে চূড়ান্ত ফলাফলের ঘোষণা করা হয়। এই ফলাফল ঘোষণার পরে নানা আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে সিভিল সার্জন ডা. মাহমুদুল হাসানের কার্যালয়ে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. শাহ্ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা জানান, কয়েকটি ওয়ার্ডের নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।

গত বছরের ২৫ মার্চ ৯টি ক্যাটাগরিতে শূন্য পদে ১২৯ জনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়। এর মধ্যে স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে ১০৪ জনকে নিয়োগের কথা উল্লেখ করা হয়। বিধি অনুয়ায়ী গত ২৩ মে লিখিত ও ২৬ মে মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ২৯ মে চূড়ান্ত ফলাফলের ঘোষণা করা হয়। এই ফলাফল ঘোষণার পরে নানা আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে সিভিল সার্জন ডা. মাহমুদুল হাসানের কার্যালয়ে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. শাহ্ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা জানান, কয়েকটি ওয়ার্ডের নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম