ফায়ার সার্ভিসের ইআরসিসি ভবনের উদ্বোধন করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান

স্টাফ রিপোর্টার:

ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরে স্থাপিত ইমার্জেন্সি রেসপন্স কট্রোল সেন্টার (ইআরসিসি) ভবনের শুভ উদ্বোধন করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব আসাদুজ্জামান খান, এমপি।  ১১ অক্টোবর ২০২৩ সকাল ১১টায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরে আয়োজিত শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। রিপাবলিক অফ কোরিয়ার মান্যবর রাষ্ট্রদূত HE Mr. PARK Young Sik; কোইকার কান্ট্রি ডিরেক্টর Mr. Taeyoung Kim, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব জনাব মোঃ সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (অগ্নি অনুবিভাগ) জনাব শাহানারা খাতুন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মাইন উদ্দিন, বিএসপি (বার), এনডিসি, পিএসসি, জি, এমফিল; মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাগণ, ফায়ার সার্ভিসের পরিচালকগণ, প্রকল্প পরিচালক, উপপরিচালক, সহকারী পরিচালকসহ বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও গণমাধ্যম কর্মীরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

সকাল ১১টায় প্রধান অতিথি মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জনাব আসাদুজ্জামান খান, এমপি অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হলে উপসহকারী পরিচালক ফয়সালুর রহমানের নেতৃত্বে একদল চৌকস অগ্নিসেনা তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। অভিবাদন গ্রহণ করে প্রধান অতিথি ইমার্জেন্সি রেসপন্স কট্রোল সেন্টারের শুভ উদ্বোধন ফলক উন্মোচন এবং শুভ উদ্বোধন বেলুন উড়ান। এরপর সকল অতিথিবৃন্দ ইমার্জেন্সি রেসপন্স কট্রোল সেন্টার পরিদর্শন করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব আসাদুজ্জামান খান তাঁর বক্তব্যের সূচনায় গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহানায়ক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তিনি ১৫ আগস্ট জাতির পিতার সাথে বঙ্গমাতাসহ শহিদ সকল সদস্যকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। একই সাথে মহান মুক্তিযুদ্ধসহ দেশের জন্য প্রাণ বিসর্জনকারী ১৩ অগ্নিবীরসহ শহিদ সকল ফায়ারফাইটারকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।

প্রধান অতিথি তাঁর ভাষণে বর্তমান সরকারের সময়ে বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমের চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী আমাদের দেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশের পর স্মার্ট বাংলাদেশের মতো আধুনিক ও উন্নত পরিকল্পনা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো দূরদৃষ্টিসম্পন্ন বিশ্বনেতার পক্ষেই ঘোষণা করা সম্ভব। এই সিদ্ধান্তের বাস্তবায়নে দেশের সকল ক্ষেত্রে ডিজিটালাইজেশনের কাজ চলমান রয়েছে; যার মাধ্যমে সকলের জন্য সেবা গ্রহণ প্রক্রিয়াকে সহজ ও সুবিধাজনক করে দেয়াই আমাদের সরকারের অন্যতম অঙ্গীকার। এরই ধারাবাহিকতায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সেবা ক্ষেত্রগুলোকেও ডিজিটাল সুবিধার আওতায় আনা হচ্ছে। আজকের এই ইআরসিসি ভবনের শুভ উদ্বোধন সেই প্রক্রিয়ারই ধারাবাহিকতা। আমি বিশ্বাস করি, ইআরসিসি ভবনের প্রযুক্তিগত সুবিধা কাজে লাগিয়ে ফায়ার সার্ভিস মানুষের আরো আস্থাভাজন হয়ে উঠবে।”

উল্লেখ্য, “Strengthening Ability of Fire Emergency Response (SAFER)” প্রকল্পের অধীন ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরে ইমার্জেন্সি রেসপন্স কট্রোল সেন্টার নির্মাণ করা হয়। এই ERCC-এর মাধ্যমে ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ জেলার ২৮টি ফায়ার স্টেশনের আওতাধীন এলাকার শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহকে সিসিটিভি ক্যামেরা ও আধুনিক জিআইএস সুবিধার আওতায় আনার পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের গাড়িগুলোতে জিপিআরএস সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। এতে অগ্নিকাণ্ড ও দুর্ঘটনার সঠিক অবস্থা ও অবস্থান জানা যাবে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও দুর্ঘটনা মোকাবিলা করা সম্ভব হবে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ও কোরিয়া ইন্টান্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (KOICA)-এর অর্থায়নে নির্মিত এই ERCC-তে আইটি সংশ্লিষ্ট সকল যন্ত্রাংশ ও সরঞ্জামাদি KOICA কর্তৃক স্থাপন সম্পন্ন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানের অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, রিপাবলিক অফ কোরিয়ার মান্যবর রাষ্ট্রদূত HE Mr. PARK Young Sik, কোইকার কান্ট্রি ডিরেক্টর Mr. Taeyoung Kim, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (অগ্নি অনুবিভাগ) জনাব শাহানারা খাতুন এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মাইন উদ্দিন।

 

 

নারী ও শিশু নির্যাতনে ঘটনায় দ্রুত, দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করতে বিপিসির উদ্বেগ

নারী ও শিশু নির্যাতনে ঘটনায় দ্রুত, দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করতে বিপিসির উদ্বেগ

ডেস্ক রিপোর্টঃ সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পাবলিক কোয়ালিশন (বিপিসি)। একই সাথে জরুরি রাষ্ট্রীয়, সামাজিক ও নাগরিক পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

বুধবার (২ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বেগ জানিয়েছে বিপিসি।

বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি বলে, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও সংঘটিত হচ্ছে ধর্ষণ, নিপীড়ন, নির্যাতন ও হত্যার মতো নৃশংস অপরাধ। বিশেষ উদ্বেগের বিষয় হলো, কিছু ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে, যা কেবল ভুক্তভোগী নারীর নয়- তার পুরো পরিবার ও সমাজের মর্যাদাকে স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এ অবস্থা একটি সভ্য সমাজের জন্য চরম লজ্জা ও অনুতাপের বিষয়।

এতে বলা হয়, আমরা বাংলাদেশ পাবলিক কোয়ালিশন ও উদ্বিগ্ন নাগরিকরা- এ ধরনের সহিংসতা ও সামাজিক অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। নারীর সম্মান, সম্ভ্রম ও নিরাপত্তা রক্ষায় রাষ্ট্র ও সমাজের প্রতিটি স্তরে একযোগে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা এখন সময়ের দাবি।আমরা নিম্নলিখিত দাবি ও করণীয়গুলো উত্থাপন করছি :

১. রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ : নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনায় দ্রুত, নিরপেক্ষ ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল কার্যকর করতে হবে। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ধর্ষণ বা নিপীড়নের ভিডিও দ্রুত সরিয়ে ফেলা, অপরাধীদের শনাক্ত ও বিচারের আওতায় আনতে সাইবার গোয়েন্দা ইউনিট শক্তিশালী করা জরুরি। ভুক্তভোগী নারী, শিশু ও তাদের পরিবারের সম্মান, গোপনীয়তা, নিরাপত্তা ও পুনর্বাসনের বিষয়গুলো সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে একটি মানবিক সহায়তা ও সুরক্ষা কাঠামো গড়ে তোলা হোক। মানসিক স্বাস্থ্য সেবা, আইনি সহায়তা ও নিরাপদ আবাসনের ব্যবস্থা করতে স্থানীয় প্রশাসন, সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

২. সামাজিক-সাংস্কৃতিক পদক্ষেপ : পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যমে নারী-পুরুষ সমতা, সম্মান, সহমর্মিতা ও মানবিকতার চর্চা জোরদার করতে হবে। মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও ধর্মীয় প্ল্যাটফর্মগুলোতে মানবিক ও নৈতিক শিক্ষার বয়ান নিয়মিত প্রচার করার আহ্বান জানাচ্ছি।

৩. নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমের করণীয়: সংবাদমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের প্রতি আমাদের অনুরোধ- ভিকটিমের পরিচয় ও সম্মান রক্ষা করুন; তাদের ব্যক্তিগত দুর্ভোগ যেন আরেকবার গণমাধ্যমের মাধ্যমে যেন পুনঃনিপীড়নে পরিণত না হয়। সচেতনতা বৃদ্ধি ও মানবিক মূল্যবোধ গড়ে তুলতে স্কুল-কলেজে আলোচনা, নাটক, ক্যাম্পেইন ও কাউন্সেলিং চালু করতে হবে। যুবসমাজকে এ বিষয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

বাংলাদেশ পাবলিক কোয়ালিশন মনে করে, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধে রাষ্ট্র, সমাজ ও নাগরিকদের সম্মিলিত প্রতিরোধই একমাত্র পথ। এই দায়িত্ব এড়ানো আমাদের কারো পক্ষে সম্ভব নয়। আমরা আবারও বলছি- ভুক্তভোগী নারীর সম্মান রক্ষা হোক, অপরাধীর বিচার হোক।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডে অত্যন্ত হতাশাজনক : মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক দের মাঝে যে অনৈক্য কুমিরের দেখা মিলল রাজশাহীর পদ্মায় সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান