উত্তরাতে ভন্ড দেওয়ানবাগির অনুসারি এ আর মজিদ

স্টাফ রিপোর্টার:
ঢাকার আরামবাগ এলাকায় ‘দেওয়ানবাগ দরবার শরীফ’ এর প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ মাহবুব-এ-খোদা মারা গেছেন, যিনি দেওয়ানবাগী পীর হিসাবে’ পরিচিত ছিলেন।

জকযেকমাস আগে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়ে বলে দেওয়ানবাগ শরীফের ফেসবুক পাতায় নিশ্চিত করা হয়েছে। কিন্তু এই ভন্ডের অনুসারির অভাব তারি একজন এ আর মজিদ সে নাকি আবার সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কাজ কর্ম করে ভন্ডামির, অনিবন্ধিত অনলাইনের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে উত্তরা সহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায়। আর তারি গুরু হলো ভন্ড দেওয়ানবাগী।

দেওয়ানবাগ দরবার শরীফের ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, তার পুরো নাম মাহবুব-এ খোদা। তবে ভক্তদের কাছে তিনি ‘দেওয়ানবাগী’ হিসাবে পরিচিত ছিলেন। তার বড় একটি ভক্ত শ্রেণী রয়েছে।

তার বেশ কিছু বক্তব্য বিভিন্ন সময় বিতর্কেরও জন্ম দিয়েছে।

আশুগঞ্জে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। সেখানকার তালশহর কারিমিয়া আলিয়া মাদ্রাসা থেকে ফাজিল পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন তিনি।

ফরিদপুরের চন্দ্রপাড়া দরবারের প্রতিষ্ঠাতা আবুল ফজল সুলতানা আহমেদ চন্দ্রপুরীর মেয়ে হামিদা বেগমকে বিয়ে করেন।

এর কিছুদিন পরে নিজেই নারায়ণগঞ্জে দেওয়ানবাগ নামের একটি স্থানে আস্তানা তৈরি করেন এবং নিজেকে সুফি সম্রাট হিসাবে পরিচয় দিতে শুরু করেন। সেখান থেকেই তার নামের সঙ্গে দেওয়ানবাগী শব্দটি যুক্ত হয়।

পরবর্তীতে মতিঝিলের ১৪৭ আরামবাগে স্থায়ী দরবার গড়ে কার্যক্রম শুরু করেন।

 

বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী আলমগীর কবীর এখন বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক!

 

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআইডব্লিউটিএ’র যান্ত্রিক শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আলমগীর কবীরের বিরুদ্ধে নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের ইনল্যান্ড মাষ্টার ও ড্রাইভারশীপ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস ও কোচিং বাণিজ্য করে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়াগেছে। অতীতের মত এখনো তিনি নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের ইনল্যান্ড মাষ্টার ও ড্রাইভারশীপ পরীক্ষায় অনিয়ম-দুর্নীতির নেপথ্য কারিগরের ভূমিকা পালন করছেন। তিনি নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী এস এম নাজমূল হকের আমলের মতই প্যাকেজ চুক্তিতে ইনল্যান্ড মাষ্টার ও ড্রাইভারশীপ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস ও কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যা”েছন সুকৌশলে। তিনি কোচিংএর ওপর ২/৩খানা গাইড বইও রচনা করেছেন। যেগুলো বিক্রি করছেন পরীক্ষার্থীদের কাছে।
এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে জানাগেছে, বিআইডব্লিউটিএর যান্ত্রিক শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আলমগীর কবীর বিআইডব্লিউটিএ ভবনে অফিস করার সুবাদে নৌ-খাতের মালিক ও শ্রমিকদের সাথে গভীর যোগাযোগ গড়ে ওঠে। এ সময় সাবেক প্রধান প্রকৌশলী (বরখাস্ত) এস এম নাজমূল হকের পরামর্শ মতই ইনল্যান্ড মাষ্টার ও ড্রাইভারশীপ পরীক্ষা থেকে বছরে মোটা অংকের টাকা উপার্জন করার লক্ষ্যে একটি বিকল্প পথ বের করেন। যেহেতু সাবেক প্রধান প্রকৌশলী নাজমূল হকই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরী করতেন এবং ভাইভা পরীক্ষা নিতেন সেহেতু প্রশ্নপত্র ফাঁস করে পাশ বাণিজ্য করা খুব সহজ হয়ে যায়। এ পর্যায়ে নাজমূল যে প্রশ্নপত্র তৈরী করতেন তার একটি ফটোকপি বিআইডব্লিটিএ’র যান্ত্রিক শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী আলমগীর কবীরের কাছে পৌছে দিতেন। আর সেই প্রশ্নপত্রের আলোকে আলমগীর কবীর তার সংগৃহীত পরীক্ষার্থীদের সাথে কন্ট্রাক্ট করে প্রতি পরীক্ষায় ১৫/২০ জন পরীক্ষার্থীদের কাকরাইলের হোটেল রাজমণি ইশাখা, কাকরাইলের ইসলামিয়া হোটেল,ফকিরাপুল কাঁচাবাজার, পুরান ঢাকার কয়েকটি ও মতিঝিলের বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে ২/৩ দিন রেখে কোচিং করাতেন। ১ ঘন্টা কোচিং এর জন্য ফি নিতেন ৫ হাজার টাকা। অন্য দিকে কোচিং নিতে আসা প্রার্থীদের সাথে ( লিখিত ও মৌখিক) পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দেবার প্যাকেজ চুক্তি করেন। প্রতিটি প্যাকেজ মূল্য – প্রথম শ্রেনীর ড্রাইভার ও মাষ্টার ১ লক্ষ টাকা। ২য় শ্রেনীর মাষ্টার -ড্রাইভার ৮০ হাজার টাকা। তৃতীয় শ্রেণীর মাষ্টার -ড্রাইভার ৬০ হাজার টাকা। এভাবে প্যাকেজ চুক্তির মাধ্যমে অযোগ্য প্রার্থীদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় বেশী নম্বর দিয়ে পাশ করিয়ে দিতেন সাবেক প্রধান প্রকৌশলী নাজমূল হক। আর এ পথে তিনি প্রতি মাসে উপার্জন করতেন কমপক্ষে কোটি টাকা। এ টাকার ৪০% পেতেন এমএমই শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী আলমগীর মামুন আর বাকি ৬০% পেতেন সাবেক প্রকৌশলী এস এম নাজমূল হক। ঘুষের ৫ লক্ষ টাকাসহ প্রধান প্রকৌশলী নাজমূল হক গ্রেফতার হওয়ার পর এই পাশ বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যায়। কিছুদিন চুপচাপ থেকে গত বছরের শেষভাগে এসে আবার কোচিং ও প্যাকেজ চুক্তিতে পাশ বাণিজ্য শুরু করেছেন। সেই একই ধারায় এখন চলছে ইনল্যান্ড মাষ্টার ও ড্রাইভারশীপ পরীক্ষার দুর্নীতি। আর নেপথ্য কারিগর হিসাবে কলকাঠি নাড়ছেন বিআইডব্লিউটিএ’র যান্ত্রিক শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আলমগীর কবীর । তাকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছেন নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী মো: মঞ্জুরুল কবীর ও কয়েকজন সার্ভেয়ার।
শোনা যায় এই প্যাকেজ চুক্তির প্রার্থী তিনি ৩ জন দালালের মাধ্যমে সংগ্রহ করেন এবং অফিসে বসেই প্যাকেজ চুক্তির টাকা নেন। এই দুই দালাল হলেন- সাগর,তুষার ও মনির। যেহেতু তিনি বিআইডব্লিউটিএ’র প্রকৌশলী সেহেতু কেউ তাকে সন্দেহ করবে না এমন বিশ্বাস থেকেই তিনি দীর্ঘ ৭/৮ বছরধরে এই অনিয়ম-দুর্নীতির সাথে যুক্ত রয়েছেন। এই অবৈধ বাণিজ্যের যোগাযোগ নেটওয়ার্ক পরিচালনার জন্য তিনি ৪/৫ টি মোবাইল সিম ব্যবহার করেন। সেগুলোর মধ্যে ০১৬৩১-১৬১১৬১,০১৯৮৬-৩০৯৮১৮,০১৭১৬-৪৭৬৭৬৮ অন্যতম। এ সিমগুলোর কললিষ্ট পরীক্ষা করলেই তার থলের বিড়াল বেরিয়ে পড়বে।
সুত্রমতে নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের ইনল্যান্ড মাষ্টার ড্রাইভারশীপ পরীক্ষার কোচিং ও প্যাকেজ বাণিজ্য করে প্রকৌশলী মো: আলমগীর কবীর কোটিপতি বনেগেছেন। ঢাকায় ফ্য¬াট ক্রয় ছাড়াও কিনেছেন প্লট ও নিউ মডেলের গাড়ী। দেশের বাড়ী চাঁদপুর এলাকায় কিনেছেন কমপক্ষে ২ কোটি টাকার জমি। ক্রয় করেছেন ৮/১০ টি লাইটার জাহাজ। যার প্রতিটির মূল্য কমপক্ষে ২ কোটি টাকা। এয়ারপোর্ট এলাকায়ও জমি কিনেছেন কয়েককোটি টাকার। ২০০৫ সাল থেকে তিনি বিআইডব্লিউটিএতে অব¯’ান করছেন। দীর্ঘ ১৮ বছর একই ষ্টেশনে চাকুরী করলেও অদৃশ্য কারণে তার বদলী হয়না। মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তাকে টাকা খাইয়ে তিনি বদলী ঠেকিয়ে রেখেছেন বলে জানাগেছে। দুদক বা গোযেন্দা সঙ¯’া তদন্ত করলেই তার এই দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য প্রমাণ মিলবে বলে সুত্রগুলো দাবী করেছে।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য নির্বাহী প্রকৌশলী আলমগীর কবীরের সেল ফোনে কল দিলে তিনি বলেন, আপনি অফিসে আসুন তারপর কথা বলব।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের বিদেশ যেতে না পারায় মাইক ভাড়া করে এলাকাবাসিকে গালিগালাজ করলেন কিশোরগঞ্জের যুবক জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কুমিল্লায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পালিয়েছেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন ঢাকা এলজিইডিতে দুর্নীতির একচ্ছত্র অধিপতি বাচ্চু মিয়া