ডিএমপি কমিশনারই থাকছেন শফিকুল ইসলাম

নিজস্ব প্রতিবেদক॥
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হিসেবে ফের দায়িত্ব পাচ্ছেন বর্তমান কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। চাকরির মেয়াদ বাড়িয়ে তাকে এক বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিতে যাচ্ছে সরকার। ইতোমধ্যে তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিগগিরই এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

ডিএমপি কমিশনারের দায়িত্ব নেওয়ার পর জনমুখী পুলিশি সেবার অনন্য উদ্যোগের মধ্য দিয়ে দুই বছর পূর্ণ করেছেন শফিকুল ইসলাম। ২০১৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ডিএমপির ৩৪তম কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নেন তিনি। আগামী ৩০ অক্টোবর অবসরে যাওয়ার কথা তার।

ডিএমপি কমিশনারের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদটির দায়িত্ব কে পাচ্ছেন তা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই গুঞ্জন চলছিল। কমিশনার হওয়ার দৌড়ে অনেকের নামও শোনা যায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শফিকুল ইসলামকেই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিতে যাচ্ছে সরকার।

মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চাইলে বুধবার ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয় আমাকে বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এক বছরের জন্য মেয়াদ বাড়ানোর কথা বলেছেন। এর বাইরে আমি কিছু জানি না।’

বিসিএস অষ্টম ব্যাচের কর্মকর্তা হিসেবে ১৯৮৯ সালের ২০ জানুয়ারি পুলিশে যোগ দেন শফিকুল ইসলাম। চাকরি জীবনে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির প্রধান ছিলেন। এছাড়া পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি (এইচআরএম), অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ) প্রধান, ঢাকা ও চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি, চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত কমিশনার; কুমিল্লা, পটুয়াখালী, নারায়ণগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার, চট্টগ্রাম ২ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক, পুলিশ স্টাফ কলেজের পরিচালক (প্রশাসন), সিলেট দশম এপিবিএনের অধিনায়ক, সৈয়দপুরে রেলওয়ে পুলিশের পুলিশ সুপার, ডিএমপির এডিসি, কুমিল্লা ও খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সিএমপি, মৌলভীবাজার জেলা ও খাগড়াছড়ির এএসপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্র বলছে, ডিএমপি কমিশনারের পদটি পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল পদগুলোর মধ্যে একটি। এখানে বিভিন্ন পদমর্যাদার প্রায় ৩৫ হাজার সদস্য রয়েছেন। ডিএমপি পুলিশ বাহিনীর সবচেয়ে বড় ইউনিট হিসেবেও পরিচিত।

কমিশনার হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ছিল যাদের নাম

ডিএমপির পরবর্তী কমিশনার হওয়ার দৌড়ে কয়েকজনের নাম শোনা যাচ্ছিল। তাদের মধ্য বিসিএস-১২তম (পুলিশ) ব্যাচের কর্মকর্তা অতিরিক্ত আইজিপি মো. আতিকুল ইসলাম। তিনি বর্তমানে নৌ-পুলিশের প্রধান হিসেবে কর্মরত। এছাড়াও পুলিশ সদরদপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি এস এম রুহুল আমিনের নাম শোনা যায়।

তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে অনার্স এবং মাস্টার্স সম্পন্নের পর ১৯৯০ সালে ১২তম বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়ে ১৯৯১ সালের ২০ জানুয়ারি সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিসে যোগ দেন।

তাছাড়া পুলিশ সদরদপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) এম খুরশীদ হোসেনের নামও শোনা গিয়েছিল। গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর এ সন্তান ১২তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে (পুলিশ ক্যাডার) প্রশিক্ষণ শেষে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে পুলিশে যোগ দেন।

ঢাকার পুলিশপ্রধান হওয়ার দৌড়ে উল্লেখিত তিন সিনিয়র কর্মকর্তার সঙ্গে অপেক্ষাকৃত জুনিয়র এক পুলিশ কর্মকর্তার নামও শোনা গিয়েছিল। তিনি ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান। বাড়ি গোপালগঞ্জ। কমিশনার পদে কোনো চমক থাকলে বিসিএস ১৭তম ব্যাচের জুনিয়র এ কর্মকর্তাও হতে পারতেন নতুন ডিএমপি কমিশনার।

এদিকে পুলিশে সিনিয়র সচিব পদমর্যাদার পদ একটি। সেই পদে রয়েছেন বর্তমান পুলিশপ্রধান ড. বেনজীর আহমেদ। এছাড়া পুলিশে গ্রেড-১ পদ দুটি। একটি হলো অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (প্রশাসন), আরেকটি এসবির প্রধান। এখন র‌্যাবের বর্তমান প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন ও ডিএমপি কমিশনার মোহা: শফিকুল ইসলাম গ্রেড-১ পাচ্ছেন।

 

অবসরে পাঠানো ২০ শিক্ষক-কর্মকর্তার পরিচয় প্রকাশ

স্টাফ রিপোর্টার: 

বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ জন শিক্ষক-কর্মকর্তার নাম-পরিচয় জানা গেছে।

 

এর আগে, মঙ্গলবার রাতে ২০ জন শিক্ষক-কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের নাম-পরিচয় এড়িয়ে যায়। একইসঙ্গে তাদের অবসরে পাঠানোর সঠিক কারণ না জানালেও ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে’ এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

 

বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো ২০ জনের মধ্যে একজন শিক্ষক ও ১৯ জন কর্মকর্তা। এরমধ্যে একমাত্র শিক্ষক হলেন ড. মো. নাসির উদ্দিন। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক।

 

এ ছাড়া কর্মকর্তারা হলেন পরিবহন দপ্তর (রাজশাহী আঞ্চলিক কেন্দ্রে সংযুক্ত) পরিচালক মেজবাহ উদ্দিন, অর্থ ও হিসাব দপ্তরের (সিলেট আঞ্চলিক কেন্দ্রে সংযুক্ত) পরিচালক মো. সাজেদুল হক, আইনবিষয়ক দপ্তরের (চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কেন্দ্রে সংযুক্ত) পরিচালক মো. সিদ্দিকুর রহমান, আঞ্চলিক কেন্দ্র সমন্বয় দপ্তরের (খুলনা আঞ্চলিক কেন্দ্রে সংযুক্ত) পরিচালক হোসনেয়ারা বেগম।

 

প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড স্টোর দপ্তর (সিলেট আঞ্চলিক কেন্দ্রে সংযুক্ত) মো. আবু হানিফ, শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা দপ্তরের (সিলেট আঞ্চলিক কেন্দ্রে সংযুক্ত) পরিচালক মুহাম্মদ আখতারুজ্জামান, প্রকাশনা ও বিপণন দপ্তরের (খুলনা আঞ্চলিক কেন্দ্রে সংযুক্ত) আব্দুল মালেক সরকার, জনসংযোগ দপ্তরের (বরিশাল আঞ্চলিক কেন্দ্রে সংযুক্ত) পরিচালক মো. আতাউর রহমান।

 

কলেজ মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন দপ্তরের (কারিকুলাম উন্নয়ন ও মূল্যায়ন কেন্দ্রে সংযুক্ত) পরিচালক এ এস এম রফিকুল আকবর, শিক্ষক প্রশিক্ষণ দপ্তরের (সিলেট আঞ্চলিক কেন্দ্রে সংযুক্ত) পরিচালক মো. হাছানুর রহমান, শারীরিক শিক্ষা দপ্তরের (কারিকুলাম উন্নয়ন ও মূল্যায়ন কেন্দ্রে সংযুক্ত) পরিচালক এইচ এম তায়েহীদ জামাল, এস্টেট দপ্তরের (রংপুর আঞ্চলিক কেন্দ্রে সংযুক্ত) পরিচালক হাসান আমীর আহমেদ।

 

অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা দপ্তরের (রেজিস্ট্রার দপ্তরে সংযুক্ত) মো. শফিক উল্লাহ, খুলনা আঞ্চলিক কেন্দ্রের পরিচালক আ স ম আবদুল হক, বরিশাল আঞ্চলিক কেন্দ্রের উপ-রেজিস্ট্রার কাজী নাসির উদ্দিন, গ্রন্থাগার দপ্তরের উপ-রেজিস্ট্রার মন্নুজান বেগম, প্রকাশনা ও বিপণন দপ্তরের উপ-রেজিস্ট্রার ফাহিমা সুলতানা, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কেন্দ্রের উপ-রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ হোসেন, মেডিকেল সার্ভিসেস দপ্তরের উপ-রেজিস্ট্রার মো. আবদুস ছাত্তার।

 

সবা:স:জু- ৪০৭/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম