হাতুড়ে ডাক্তার দিয়েই চলছে জননী ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার

স্টাফ রিপোর্টার:
হাতুড়ে ডাক্তার দিয়ে অপারেশন, অনিয়ম এমনকি প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন জননী ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার।

পঞ্চগড়ের বোদা থানার উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স সংলগ্ন বোদা বাসষ্টান্ড এলাকায় জননী ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার। যে ক্লিনিকের প্রোপাইটর অশেষ কুমার এবং ম্যানেজার ও সার্জারি সহকারী কমল। গত মাসের শেষ দিকে মাত্র বিশ হাজার টাকার কন্টাকে ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বাকে নিজেই সিজার করেন ম্যানেজার ও সার্জারি সহকারী কমল। অপারেশনের চিত্র দেখেই অনুমান করা যায়, জননী ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কতজন অভিজ্ঞ ডাক্তার, নার্স সহ স্টাফ আছেন। ময়দানদিঘী ইউনিয়নের সরকার পাড়ার ছদ্মনাম কাকলির অপারেশনের কথাই তুলে ধরছি।
অনুসন্ধানে জানা যায় জননী ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যে সকল অপারেশন হয় তার অধিকাংশই অপরিপক্ক অর্থাৎ পাঁচ মাস, ছয় মাস, সাত মাসের বাচ্চা সিজারের মাধ্যমে চুক্তিভিত্তিক এভোয়েসন করে থাকেন। গত কয়েকদিন আগে ছদ্মনাম কাকলির অপারেশন করা হয় বিশ হাজার টাকার চুক্তিতে। অপারেশনের ভিডিওতে দেখা যায় একাধিক দায়িত্বে থাকা ম্যানেজার ও সহকারি সার্জারি কমল একাই অপারেশন চালিয়ে যাচ্ছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জননীকমেন্ট ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর আশেপাশের কয়েকজন   জানান, কমল নিজেকে কখনো ম্যানেজার, ডাক্তার এবং সহকারি সার্জারি পরিচয় দিয়ে থাকেন। তারা আরো জানাই শুনেছি হাসপাতাল পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তাদের নাই। নিয়ম অনুযায়ী একটি ক্লিনিকে নূন্যতম একজন মেডিকেল অফিসার, ৬ জন ডিপ্লোমা নার্স, দুইজন সুইপার ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াও আনুষঙ্গিক আরো কাগজের সমদ প্রয়োজন হয় । কিন্তু জননী ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে দুইজন নন ডিপ্লোমা নার্স দেখান মালিকপক্ষ। নাম মৌসুমী আক্তার ও রুবি আক্তার। প্রশাসনের কেউ আসলে তাদেরকে অন্যের সার্টিফিকেট দেখিয়ে ঝামেলা থেকে অব্যাহতি নেন।
এ সকল অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিতকল্পে একাধিক পরিচয় দানকারী কমল এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন,আমি ম্যানেজার ও সহকারি সার্জারি এর দায়িত্বে আছি। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা কি জানতে চাইলে তিনি অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন, আপনি আমার সামনে এসে কথা বলেন। মোবাইলে এত কথা বলা যাবেনা।

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে সিভিল সার্জন এর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ‘  বলেন, জননী ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে এর আগে ও অভিযোগ এসেছিল। হাসপাতাল চালাতে যে সকল কাগজ পত্রের প্রয়োজন হয় এগুলোর জন্য সে আবার দরখাস্ত করেছে। আর ম্যানেজার ও সার্জারি সহকারী কমলের অপারেশনের ভিডিও দেখালে সিভিল সার্জন বলেন, অপারেশনের শেষ পর্যায়েও তো হতে পারে। তিনি আরো জানান ঘটনার সত্যতা থাকলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিব।

র‍্যাব’র যৌথ অভিযানে নানা অনিয়মে জরিমানা-২৫লক্ষ

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

আসন্ন পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগরীর মোগলটুলী,পশ্চিম মাদারবাড়ি এবং জিইসি মোড় ও মুরাদপুর এলাকায় বিএসটিআই ও নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের সমন্বয়ে র‌্যাব-৭,এর বিশেষ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ১০টি ভিন্ন ভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে সর্বমোট ২৪লক্ষ ৭০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

আজ ১৪ ও গত ১২মার্চ এই দুদিনের অভিযানে র‌্যাব-৭, এর বিশেষ ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক মোট ১০টি প্রতিষ্ঠানকে সর্বমোট ২৪ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করে সরকারি কোষাগারে জমা করা হয়েছে।

বিএসটিআই ও নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের সমন্বয়ে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে। র‍্যাব সূত্রে জানা যায়,স্বাস্থ্যকর খাবার জনসাধারনের মাঝে পরিবেশনের জন্য মোগলটুলী, পশ্চিম মাদারবাড়ি এবং জিইসি মোড় ও মুরাদপুর এলাকায় বিশেষ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় গত বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক প্রকাশ্যে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে খাবার উৎপাদন, পচাঁ, দুর্গন্ধ, বাসী খাদ্য, ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ খাবারে মিশানো,অনেকদিন ধরে খাবার ফ্রিজে সংরক্ষণ করে এবং বিএসটিআই এর অনুমোদন ব্যতিরেকে তা সাধারণ জনগণের নিকট বিক্রয়পূর্বক প্রতারণা করার অপরাধে মোগলটুলী ও পশ্চিম মাদারবাড়ি এলাকার বিউটিফুল বেকারী’কে ৪ লক্ষ টাকা, মাহফুজ বেকারী ও কনফেকশনারি’কে ৪ লক্ষ টাকা, প্রগতি ফুডস’কে ৫ লক্ষ টাকা, চট্টলা বেকারী’কে ২ লক্ষ টাকা এবং তামান্না বেকারী’কে দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ডসহ সর্বমোট ০৫টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড এবং অর্থদন্ডের অনাদায়ে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করা হয়। এছাড়া অদ্য ১৪ মার্চ ২০২২ ইং তারিখ মঙ্গলবার জিইসি মোড় ও মুরাদপুর এলাকায় অবস্থিত কাচ্চি ডাইন’কে ১,২০,০০০ টাকা, এশিয়ান কাবাব ও বিরিয়ানি হাউজ’কে ১,০০,০০০ টাকা, মক্কা হোটেল’কে ১,৫০,০০০ টাকা, বাগদাদ হোটেল ও বিরানী হাইজ’কে ২,০০,০০০ টাকা এবং খাবার মেলা রেস্তোরাঁ’কে ও বিরানী হাউজকে ১,৫০,০০০টাকাসহ সর্বমোট ৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৭ লক্ষ ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড এবং অর্থদন্ডের অনাদায়ে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করা হয়।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম