বাউফলে স্কুল শিক্ষকের উপর হামলা।

 

মুন্নি বেগম,পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি:

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন খান (৫০)

রবিবার সকাল বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সর কর্তাব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের ই বাংলা হাসপাতালে প্রেরণ করেন।আহত জাহাঙ্গীর হোসেন উপজেলার কেশাবপুর ইউনিয়নের ভরিপাশা ০৫ নং ওয়ার্ডের মৃত আঃ রাজ্জাক হাওলাদারের ছেলে।

আজ সকাল ৬.৪৫ মিনিটের সময় উপজেলার কেশাবপুর ইউনিয়নের ভরিপাশা গ্রামে হামলার ঘটনা ঘটে।আজ আহতের ভাই মো.আবু বক্কর হাওলাদার বাদী হয়ে একই বাড়ির জাকির, মুশফিকুর, হাসিনা, ফেদে আলী,মিথিলা,জাহানারাসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে বাউফল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

আহতের পরিবার ও বাড়ির অনান্য সদস্য সূত্রে জানা যায়, জমির মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে একই বাড়ির জাকিরের সঙ্গে জাহাঙ্গীর ও আবু বক্করের বিরোধ চলে আসছিল। রবিবার সকালে ফজর নামাজ শেষে পথিমধ্যে গতি রোধ করে পূর্ব বিরোধের জের ধরে জাকির হোসেন ও তার ছেলেসহ পরিবারের সকল সদস্য তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে জাহাঙ্গীর হোসেন (৪৮)ও তার বাড়ির মাসুদ সিকদার (৩০), বড় ভাই আবু বক্কর (৫০),সহ ৩ জন গুরুতর আহত হন।

স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে ও পরে আহতের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

আহত জাহাঙ্গীর হোসেন ভুইয়ারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে চাকরিরত আছেন।

আহতের বড়ো ভাই আবু বক্কর বলেন, জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। ঘটনার কয়েক মাস আগেও আমাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্য আহত করা হয়। হঠাৎ জাকির তার সহযোগীরা রড জিআই পাইপ নিয়ে হামলা চালিয়ে আমাকে আমার ভাই, ও মাসুদকে গুরুতর আহত করে। আমি আমার ও আমার ভাইয়ের উপর আক্রমনকারীদের বিচারের দাবি জানাই।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শোনিত কুমার গায়েন বলেন, জমি জমার বিরোধের জের ধরে মারামারি ঘটনা ঘটেছে,অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ‌্যালয়ের জাহানারা ইমাম হলে জিএস আমতলীর বুশরা

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে শহীদ জাহানারা ইমাম হলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে জয়ী হয়েছেন রিজওয়ানা বুশরা। তিনি পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের ছাত্রী এবং বরগুনার আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আইনজীবী মো. মহসিন হাওলাদারের মেয়ে।
১১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বুশরা ১৫ নম্বর ব্যালট নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং ১৬৬ ভোট পেয়ে জিএস নির্বাচিত হন। ফলাফল ঘোষণা করেন হলের রিটার্নিং অফিসার নাসরিন খাতুন।
‍বুশরা আমতলী এমইউ বালিকা মাধ‌্যমিক বিদ‌্যালয় থেকে ২০১৫ সালে এসএসসি, আমতলী সরকারী কলেজ থেকে ২০১৭ সালে কৃতিত্বের সঙ্গে এইচএসসি পাশ করেন। পরে ২০১৭-১৮ শিক্ষা বর্ষে জাহাঙ্গির নগর বিশ্ববিদ‌্যালয়ে ভর্তি হন। তার এমন সাফল‌তায় গর্বিত আমতলী বাসী।

জিএস বুশরা বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর হল আমার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। সারাজীবন হল থেকে শুধু নিয়েই গেছি, এবার জাকসুর মাধ্যমে হলের জন্য কিছু করার সুযোগ পেলাম। আপনাদের সহযোগিতা নিয়ে হলের সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাব। জাহানারা ইমাম হলকে আমরা স্বপ্নের বাড়ি হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।

জিএস রিজওয়ানা বুশরার বাবা আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়ন পরিষদ সাবেক চেয়ারম‌্যান অ‌্যাডভোকেট মহসিন মিয়া বলেন, সন্তানের সফলতায় বাবা-মায়ের সব চেয়ে বড় আনন্দ। মেয়ের এমন সফলতায় আনন্দে বুকটা ভরে গেল। সকলে দোয়া করবেন আমার মেয়ে যেন জীবনে অনেক বড় হবে দেশের মঙ্গলের জন‌্য কাজ করতে পারে।

আমতলী এমইউ বালিকা মাধ‌্যমিক বিদ‌্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহ আলম কবির বলেন, আমার বিদ‌্যালয়ের এক ছাত্রী জাহাঙ্গির নগর বিশ্ববিদ‌‌্যালয়ের জিএস নির্বাচিত হয়েছেন এটা অত‌্যান্ত আনন্দের বিষয়। তার এমন সাফল‌্য আমরা গর্বিত ।

আমতলী সাংবাদিক ই্উনিয়ন সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন সিকদার বলেন, জাহাঙ্গির নগর বিশ্ববিদ‌্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে দক্ষিণাঞ্চলের কে্উ জাকসুর কোন পদে আসীন হতে পারেনি কিন্তু এ্ই প্রথম আমতলীর বুশরা জাহানারা ইমাম হলের জি্এস নির্বাচিত হয়েছেন। এটা আমতলী তথা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের গর্বের বিষয়।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম