তারিখ লোড হচ্ছে...

বুড়িচংয়ে বাকশীমুলে এলইডি কাপ ফাইনাল ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত

মারুফ হোসেন, বুড়িচং।।

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বাকশীমুল গ্রামের যুব সমাজের উদ্যোগে বিজয়ের মাস স্মরণে ৪ ডিসেম্বর শনিবার বিকালে বাকশীমুল উত্তর পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে এলইডি কাপ ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়।খেলাটি রবিউল একাদশ বনাম হোসাইন একাদশ এর মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। খেলা বিজয়ী হয় হোসাইন এবং রানার আপ হয় রবিউল।

বাকশীমুল উত্তর পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ইন্জিনিয়ার হাজী আবদুল খালেক এর সভাপতিত্বে বুড়িচং উপজেলা আওয়ামী কৃষকলীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ মফিজুল ইসলাম এর সার্বিক তত্বাবধানে ও সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ ও সাবেক বুড়িচং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন। প্রধান অতিথি ফিতা কেটে ফাইনাল খেলা উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে অতিথিরা গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে যুবকদের এ সমস্ত কাজে অনুপ্রেরণা দিয়ে বলেন যারা বিজয়ের মাসে এতো সুন্দর একটি খেলা আয়োজন করেছে, তারা যেনো ভবিষ্যতে মাদক থেকে বিরত থাকতে এ ধরনের খেলা আয়োজন করে মাদক কে না বলতে পারে। তিনি বলেন সুশীল সমাজ গঠন করতে এ যুব সমাজের কোনো বিকল্প নেই। সকল অতিথিরা বক্তব্যে খেলার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। এবং মাদক থেকে যেনো পুরো যুব সমাজ দূরে থাকে এ আহ্বান করেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক চেয়ারম্যান, ২ নং বাকশীমুল ইউনিয়ন পরিষদ, নুরুল ইসলাম মাস্টার, চেয়ারম্যান ২ নং বাকশীমুল ইউনিয়ন পরিষদ আবদুল করিম, সভাপতি বাকশীমুল উচ্চ বিদ্যালয় আলহাজ্ব আবদুর রশিদ, সভাপতি বুড়িচং উপজেলা কৃষকলীগ আলহাজ্ব মোঃ খোরশেদ আলম, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বুড়িচং উপজেলা আওয়ামী লীগ মোঃ জয়নাল হোসেন শামীম, শহীদ পরিবারের সন্তান মোঃ এমদাদুল হক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ মোঃ মিজানু রহমান লিটন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সাধারণ সম্পাদক বুড়িচং বাজার মোঃ মিজানুর রহমান খাঁন, যুব মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী ইয়াসমিন আক্তার, মেম্বার ৩ নং ওয়ার্ড মোঃ ফারুক, মেম্বার ৪ নং ওয়ার্ড মোঃ মাহবুবুর রহমান, ৭ নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ রকিবুল আলম, ৩,৪,৭ নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ শিল্পী আক্তার,১,২,৫ নং ওয়ার্ড মেম্বার রিংকু , সাবেক মেম্বার মোঃ আয়েতালী, সাবেক মেম্বার সফিকুল ইসলাম, সাবেক মেম্বার মোঃ মোসলেম উদ্দিন, সহ আরো অনেকে।
খেলাটি আয়োজন করেন মোঃ রনি, রুবেল, মহিউদ্দিন, তুষার, রবিউল, সাহিদুল, সজিব, রাজন, রবিন, অমি। এবং পরিচালনা করেন মোঃ অহিদুর রহমান মেম্বার, হাসানুজ্জামান হাসান, সিরাজুল ইসলাম, সেলিম এম,এ, দেবব্রত স্বপন, গোলাম মোস্তফা, ডাক্তার রবিউল।

মুরাদনগর যুবদলের আহবায়কের পদে সোহেল সামাদ : নেতা-কর্মীদের মাঝে প্রতিক্রিয়া

কুমিল্লা প্রতিনিধি :
জেলার মুরাদনগর উপজেলা জাতীয়তাবাদী যুবদলের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ব্যাবসায়ী সোহেল সামাদ। দলীয় নেতা-কর্মীদের অনেকে জানান, কুমিল্লায় মরাদনগরে স্থানীয় ভাবে যুবলীগ নেতা হিসেবে পরিচিত ব্যাবসায়ী সোহেল সামাদ।
সোহেল আওয়ামী লীগের দলীয় নির্বাচন এবং নানা কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ছিলেন সক্রিয়। স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ জেলা এবং উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে তার অসংখ্য ছবি এখন ফেসবুকে আপলোড রয়েছে।

সম্প্রতি তিনি বিএনপির অঙ্গ সংগঠন যুবদলের মুরাদনগর উপজেলা শাখার আহবায়কের পদ পেয়েছেন। এতে বিস্মিত হয়েছেন দলীয় অনেক নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা।

এ নিয়ে চলছে এলাকায় ব্যপক সমালোচনা। আলোচিত সমালোচিত এই নেতার বেশ কিছু ছবি ভাসছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও। হঠাৎ দল বদল করে কীভাবে রাতারাতি এত বড় নেতা হওয়া ও পদ পাওয়া যায় এটার দৃষ্টান্ত খোদ সোহেল সামাদ। তিনি মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন পীর কাশিমপুর গ্রামের বাসিন্দা।

গত ২০ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটি অনুমোদন করে কেন্দ্রীয় যুবদল। গঠনতন্ত্র অনুসারে জেলা যুবদল এ কমিটি অনুমোদনের কথা থাকলেও কেন্দ্রীয় যুবদলের দপ্তর সম্পাদক কামরুজ্জামান দুলাল স্বাক্ষরিত ৩১ সদস্যবিশিষ্ট মুরাদনগর উপজেলা যুবদলের কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়।

এতে মো. সোহেল সামাদকে আহবায়ক, মাসুদ রানাকে সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এবং সৈয়দ হাসান আহাম্মদকে সদস্য সচিব করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যদের নিয়ে দলের ভেতরে বাহিরে কারও আপত্তি না থাকলেও আহবায়ক সোহেল সামাদকে নিয়ে চলছে ব্যাপক সমালোচনা।

রাতারাতি ভোল পাল্টে তিনি কীভাবে বিএনপির একটি অঙ্গ সংগঠনের এত বড় পদ পেলেন এ নিয়ে চলছে নানা প্রতিক্রিয়া।

বিএনপির স্থানীয় কর্মীরা জানান, সোহেল সামাদ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় থাকা অবস্থায় তার ইন্ধনে অনেক নেতাকর্মী পুলিশি হয়রানির শিকার হয়েছেন। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডসহ নির্বাচনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। তাকে এত বড় পদ দিয়ে কেন্দ্রীয় যুবদলের নেতারা তৃণমূলের সঙ্গে বেইমানি করেছেন।

এ বিষয়ে সোহেল সামাদ বলেন, আমি কখনো আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম না, আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেছি। আমি যুবদলের আহবায়ক পদ পাওয়ার কারণে দলের বিদ্রোহী একটি গ্রুপ এসব ছবিই ফেসবুকে ভাইরাল করছে।

এ বিষয়ে কুমিল্লা উত্তর জেলা যুবদলের সভাপতি ভিপি শাহাবুদ্দিন বলেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জেলা কমিটি সম্মেলনের মাধ্যমে উপজেলা কমিটি গঠন এবং অনুমোদন করার কথা। কিন্তু মুরাদনগর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটি কীভাবে অনুমোদন পেল আমরা তা জানি না।

 

language Change
সংবাদ শিরোনাম