২৩ নাবিক সহ বাংলাদেশি জিম্মি জাহাজ

ডেক্স রিপোট॥

বাংলাদেশি মালিকানাধীন জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ। বাংলাদেশের স্থানীয় সময় দুপুর ১টা থেকে ২টার মধ্যে এ সোমালিয়া থেকে প্রায় ৪৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে সমুদ্রে অন্তত ১০০ দস্যু জাহাজটি তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। ওই জাহাজে কর্মরত ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিক দস্যুদের কাছে জিম্মি অবস্থায় রয়েছে। নৌপরিবহণ অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, সমুদ্রগামী এ জাহাজটি কয়লা নিয়ে মোজাম্বিক থেকে দুবাই যাচ্ছিল। পথিমধ্যে গালফ অব ইডেনে জাহাজটিতে হামলা চালিয়ে নিয়ন্ত্রণ নেয় দস্যুরা। তাদের অনেকের হাতে অস্ত্র রয়েছে। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নাবিকেরা নিরাপদে রয়েছেন। নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যেই পরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি জানিয়েছে। এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজটির মালিক চট্টগ্রামের এসআর শিপিং লিমিটেড। এটি মূলত বাল্ক ক্যারিয়ার।

জাহাজটি আক্রান্তের তথ্য  নিশ্চিত করেছেন নৌপরিবহণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম। তিনি বলেন, জাহাজের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। জাহাজের ক্রুরা (নাবিক) নিরাপদে রয়েছেন। তাদের উদ্ধারে আন্তর্জাতিক যে প্রক্রিয়া ও কৌশল রয়েছে সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, এর আগে এই কোম্পানির জাহান মনি নামের আরেকটি জাহাজ দস্যুরা জিম্মি করেছিল।

আজ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত হবেন উপদেষ্টা হাসান আরিফ

স্টাফ রিপোর্টার: 

অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমি এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফকে আজ মিরপুরে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টায় তাকে দাফন করা হবে।

উপদেষ্টা হাসান আরিফ শুক্রবার বিকাল ৩টা ১০ মিনিটে ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে মারা যান। ওইদিন বাদ এশা ধানমন্ডি সাত নম্বর বায়তুল আমান মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

শনিবার বেলা ১১টার দিকে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে উপদেষ্টা হাসান আরিফের দ্বিতীয় জানাজা সম্পন্ন হয়। পরে সচিবালয় তার তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। মেয়ে বিদেশে থাকায় তার মরদেহ  সিএমএইচের হিমঘরে রাখা হয়।

১৯৪১ সালের ১০ জুলাই কলকাতায় হাসান আরিফের জন্ম। কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং এলএলবি করেন।

১৯৬৭ সালে কলকাতা হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর তিনি সে সময়ের পূর্ব পাকিস্তানে চলে আসেন। ১৯৭০ সালে ঢাকা হাই কোর্টে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ এ আইনজীবী ছিলেন ‘এএফ হাসান আরিফ অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস’ চেম্বারের প্রধান।

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আমলে ১৯৮২ সালের এপ্রিল থেকে ১৯৮৫ সালের অগাস্ট পর্যন্ত তিনি সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন।

পরে ১৯৮৫ সালের অগাস্ট থেকে ১৯৯৬ সালের মার্চ পর্যন্ত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবং বিএনপি জামায়াত-জোট সরকারের আমলে ২০০১ সালের অক্টোবর থেকে ২০০৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন।

হাসান আরিফ ২০০৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০০৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন উপদেষ্টা ছিলেন।

বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল আরবিট্রেশন সেন্টারের একজন প্যানেল সদস্য ছিলেন তিনি।

 

সবা:স:জু-৪৯০/২৪

 

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের বিদেশ যেতে না পারায় মাইক ভাড়া করে এলাকাবাসিকে গালিগালাজ করলেন কিশোরগঞ্জের যুবক জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কুমিল্লায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পালিয়েছেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন ঢাকা এলজিইডিতে দুর্নীতির একচ্ছত্র অধিপতি বাচ্চু মিয়া