ঝিনাইদহে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ ও উপকরণ বানিজ্যের অভিযোগ

মোঃ হাসানুজ্জামান:

এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। সেই সাথে এগিয়ে চলেছে এদেশের শিক্ষা-ব্যবস্থা। নানাবিধ কারণে শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও তার পেছনের কারণ জানতে অনাগ্রহী অনেকেই। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশুদের লেখাপড়া মান উন্নয়ন ও বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষে প্রতিবছর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে প্রতিটি বিদ্যালয় স্লিপ, রুটিন মেরামত এবং প্রাক প্রাথমিক বাবদ দেওয়া হয় বিশেষ বরাদ্দ।

এই বরাদ্দের টাকা বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটিকে নিয়ে প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন উপকরণ সামগ্রী ও বিদ্যালয়ের আনুষঙ্গিক কাজ করার সরকারি নীতিমালা রয়েছে।

তবে অভিযোগ উঠেছে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো: আসাদুজ্জামান এ-সকল উপকরণ কমদামে ক্রয় করে প্রধান শিক্ষকদের নিকট তিনগুন বেশিদামে বিক্রি করে আসছেন। কেউ নিতে না চাইলে বাধ্য করা হচ্ছে। যা নিয়ে সবার মাঝে সৃষ্টি হয়েছে তিব্র ক্ষোভ।

আসাদুজ্জামান দীর্ঘ ৬ বছর মহেশপুর উপজেলায় কর্মরত থেকে এ বানিজ্য চালিয়ে আসছেন। বিগত বছরগুলোতে এভাবে উপকরণ বানিজ্য করে হাতিয়ে নিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। যা নিয়ে বিভিন্ন মহলে তৈরি হয়েছে নানান সমালোচনা।

এছাড়া প্রতি বছর অফিস খরচ বাবদ ঘুষ হিসেবে বিদ্যালয় প্রতি নিয়েছেন ৪৫০০-৫০০০/-টাকা।তার অধিনস্ত ২টি ক্লাষ্টারে বিদ্যালয়ের সংখ্যা মোট ৪৬ টি। সকল প্রধান শিক্ষককে জিম্মি করে এি অফিসার তার এমন অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।

বলা বাহুল্য, শিক্ষা অফিসার আসাদুজ্জামানের পুর্বের ষ্টেশন সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে এ ধরনের একটি মামলাও চলমান রয়েছে।

নাম-পরিচয় গোপন রাখার শর্তে মহেশপুর উপজেলার একাধিক শিক্ষক জানান, তাদের সকল উপকরণ সরবরাহ করেন সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার আসাদুজ্জামান। ভুক্তভোগী শিক্ষকগন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কার্যকরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

বেনাপোলে কথিত সাংবাদিক পরিচয়ে চোরাকারবারি জাহিদের মাদক বানিজ্য 

নিজস্ব প্রতিবেদক:

যশোরের বেনাপোলে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মাদক ব্যবসা, চোরাচালান করা, ভারতীয় চোরাই মোবাইল ফোন দেশে এনে সিন্ডিকেটের মাধ্যামে বিক্রি করাসহ নানা অকর্ম জড়িত এই জাহিদ হাসান। এ ছাড়া সাংবাদিক পরিচয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেনাপোলের এক শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে ক্রমাগত ব্ল্যাক-মেইলিং করে আসছে বলে জানান ভুক্তভোগী কর্মকর্তা। কথিত সাংবাদিক পরিচয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক সুবিধা-ভোগের চেষ্টা করেন জাহিদ। বিগত পৌর নির্বাচনে আ.লীগের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী ছিলেন এই জাহিদ সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে আ.লীগের স্থানীয় রাজনীতির তদবীর  করে হতে চেয়েছিলেন কাউন্সিলর, কিন্তু ভরাডুবি হয়েছিল। স্থানীয়দের সাথে কথা বললে তারা জানায় সে নিয়মিত মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত।সাংবাদিকতার নাম বেঁচে রাজনৈতিক দালালী তো রয়েছে। এ বিষয় স্থানীয় এক সাংবাদিক নেতা জানান,তার ইনকামের উৎস কি,আমাদের জানা নাই, প্রতিমাসেই ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে ট্রুরে যায় সে সঙ্গীদের নিয়ে।আমাদের মফস্বলে তো বেতন হয়না, তাহলে জাহিদ কিভাবে চলে! অন্য বৈধ কোন-উর্পাজনের রাস্তাও তার নাই, সাংবাদিকতা করে আমরা সংসার চালাতে পারিনা।প্রসাশন সঠিক তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে তার অবৈধ ইনকামের ফিলিস্তি। স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি জানান বেনাপোলে হাতে গোনা কিছু সাংবাদিক ছাড়া অধিকাংশ বিভিন্ন অকর্মের সাথে জড়িত, জাহিদ তার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হতে চেয়েছিল সে চাঁদাবাজি ও দালালীর সাথে জড়িত বলে তাকে জনগণ মেনে নেয়নি।
এ বিষয় জাহিদের  মন্ত্যের জন্য যোগাযোগ করার চেষ্টা করে হলে সে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি শিক্ষকদের সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড মামলার পথেই হাঁটছে বকশীগঞ্জের সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলা রাজউকের ইমারত পরিদর্শক মনিরুজ্জামান ৭ বছরেই শত কোটি টাকার মালিক শাহজালাল বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ নতুন ইতিহাস গড়লেন দীপিকা পাড়ুকোন বাংলাদেশকে রাজস্ব ও আর্থিক খাত সংস্কার অব্যাহত রাখতে হবে ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৬১৯ ৩০ কোটি বছর আগে মহাকাশ থেকে ছুটে এসেছিল একটি বিশাল পাথর কুমিল্লায় হত্যার পর নারীর লাশ বেডশিট দিয়ে মুড়িয়ে খাটের নিচে রেখে গেল দুর্বৃত্তরা দীর্ঘদিন পর গাজায় একসঙ্গে জুমার নামাজ আদায় করলেন হাজারো ফিলিস্তিনি