শশুরকে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে লাপাত্তা পুত্রবধু

মোঃ হাসানুজ্জামান:

অনৈতিক, অসামাজিক, পরকীয়া প্রেমের বলি হলো সাড়ে ৪ বছরের শিশু। সমাজে একটা কথা প্রচলিত আছে- সুখে থাকলে ভূতে কিলায়। ঠিক এমন ঘটনায় ঘটেছে নওগাঁর আক্কেলপুরে। আক্কেলপুরের মোঃ সোহাগ হোসেনের স্ত্রী মোছাঃ আদরী আক্তার পরকীয়া প্রেমের টানে পালিয়ে গেছে বদলগাছী থানার মোঃ ইউনুস আলীর সাথে। সেই সাথে নিয়ে গেছে নগদ ৫ লক্ষ টাকা ও ৫ ভরি স্বর্ণ।

স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখা এ জাতি অপরাধ জগতের সাথে মিশে যাচ্ছে বেশ স্মার্টভাবে। বিশেষ করে স্মার্ট ফোন ও অবাধ ইন্টারনেটের মাধ্যমে খুব সহজেই অপরাধ করার সুযোগ পাচ্ছে সকলে। অর্থাৎ প্রযুক্তির ছোয়াকে তারা আশীর্বাদ নয়, অভিশাপে পরিনত করেছে। পরকীয়া আসক্ত ইউনুস-আদরী জুটিও তার ব্যতিক্রম নয়। কারণ ইউনুস-আদরী জুটিও তাদের অবৈধ মেলামেশায় এই মোবাইল ফোনকেই ব্যবহার করে।

তবে আদরীর মা ও স্বামী বলছেন, আদরী এমন মেয়ে না। হঠাৎ করে কেনো এমন হলো, তারা হতভম্ব। কেননা আদরী তার ছোট্ট মেয়েকে রেখে কোথায় যায় না। অথচ সেই মেয়েকে রেখেই চলে গেছে অন্য ছেলের হাত ধরে। শুধু তাই নয়। আদরী পালানোর রাতে তার শশুর, শাশুড়ী, নিজের ছোট্ট মেয়েকে হত্যার উদ্দেশ্যে প্রচুর পরিমাণে ঘুমের ঔষধ খাওয়ান। সবাই অজ্ঞান হয়ে গেলে আদরী তার বাসা থেকে নগদ টাকা, স্বর্নালঙ্কার, মোবাইল দামী কাপড়চোপড় সহ ইউনুসের হাত ধরে চলে যায়। আদরীর মা ইউনুসকে দায়ী করে বলেন- আদরীকে ইউনুস ফুসলিয়ে নিয়ে গেছে।

পলাতক আদরী ও ইউনুস কেউ কারো থেকে কম যায় না। আদরীর স্বামী মোঃ সোহাগ হোসেন ঢাকায় একটা প্রাইভেট ব্যাংকে চাকরি করেন। অন্যদিকে ইউনুস পেশায় রাজমিস্ত্রী। এর আগেও ইউনুস দুইবার এমন কান্ড ঘটিয়েছে। ইউনুসের আগের সংসারে সন্তান আছে। আগের স্ত্রী ও সন্তানের ভরণপোষণও দেন না তিনি। এলাকার লোকজন বলছে, ইউনুস তার একজন নিকটাত্মীয় নেতা ও এক অসাধু আইনজীবীর ছত্রছায়ায় এমন অনৈতিক কাজ করে বেড়ায়। কারণ ইউনুস অসহায় মেয়েদেরকে টার্গেট করে তাদের ভাগিয়ে নিয়ে যায়। যাতে করে তারা আইনি সহায়তা নিতে না পারে এবং বিচার চাওয়ার সাহস না করে। ইউনুসের নিকটাত্মীয় নেতা ও অসাধু আইনজীবী সাহায্য না করলে ইউনুস বার বার একই কাজ করতে পারতো না।

এমন লজ্জাজনক ঘটনায় পলাতক আদরীর স্বামী বলেন, “আমি কাজের সুবাদে ঢাকায় থাকি। আদরীও আমার সাথে ঢাকাতেই থাকতো। বাড়ির কাজ করার জন্য তাকে গ্রামে এনেছিলাম। তাছাড়া আমার বাবা-মা দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। সঙ্গত কারণেই আদরীকে গ্রামের বাড়িতে আনি কয়েক মাস হলো। কিন্তু সে বাড়ির কাজের মিস্ত্রির সাথে পালিয়ে গেলো। এমনকি যাওয়ার সময় আমার বাড়ির কাজের জন্য রাখা নগদ টাকা, স্বর্ণ, মোবাইল সহ বিভিন্ন কিছু নিয়ে গেছে। আমার মেয়েটা ছোট। অন্তত বাচ্চা মেয়ে মাহীর জন্য হলেও আমি আদরীর সাথে সংসার করতে চাই। আমি চাই ও ফিরে আসুক।”

ঘটনা এখানেই শেষ নয়। স্থানীয়রা বলছেন, আদরীর পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে ওই অসাধু নেতা ও আইনজীবীর পাশাপাশি আরেক কাঠি সরেস ইউনুসের দুলাভাই ফিরোজ। জানা যায়, এ পর্যন্ত ইউনুসের সকল অপকর্মে সহায়তা করেছে ফিরোজ। মেয়েদের ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে দেয়ার নামে নগদ টাকা, স্বর্ণ ও দামি জিনিসপত্র হাতিয়ে নেয়াই তাদের মোক্ষম কৌশল। এ বিষয়ে ইউনুসের দুলাভাই ফিরোজের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে ফিরোজ জানায়, এটা তার নাম্বার নয় এবং এবিষয়ে সে কিছু জানেনা।

সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হলো- তাদের এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনায় এক প্রকার এতিম হয়েছে সোহাগের সাড়ে ৪ বছরের মেয়ে মাহি। যে সময় নিজের মায়ের কোলে ঘুমানোর কথা মাহির। ঠিক সেই সময়ে মায়ের শোকে দিশেহারা হয়ে হাত ভেঙে পড়ে আছে মাহি। আর এভাবেই অবৈধ, অনৈতিক, অসামাজিক ও অসম পরকীয়া প্রেমের বলি হচ্ছে হাজারো শিশু, ভেঙে যাচ্ছে হাজারো সুখের পরিবার।

হাতিয়ায় অস্ত্রসহ ১৪ ডাকাত গ্রেপ্তার

স্টাফ রিপোর্টার: 

নোয়াখালী হাতিয়ায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ ১৪ জন ডাকাতকে আটক করেছে কোস্টগার্ড‌। রোববার (২৪ নভেম্বর) রাত ১২টার সময় তাদেরকে হাতিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।

এর আগে শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাত ৩টার সময় উপজেলার হরণী ইউনিয়নের চর ঘাসিয়া এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৬টি বিভিন্ন সাইজের ছুরি, ৬টি দা, ১টি এক নলা বন্ধুক, ২টি এলজি উদ্ধার করা হয়।

কোস্টগার্ড জানায়, দীর্ঘদিন ধরে একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দল হাতিয়ার হরণী ইউনিয়নের চর ঘাসিয়ার গহিন জঙ্গলে অবস্থান করে বিভিন্ন নিরীহ মানুষের ট্রলার, গরু-মহিষ ডাকাতি করে আসছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাত তিনটার সময় স্টেশন কমান্ডার রিফাত আহমেদ একটি টিম নিয়ে তাদের আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে ১৪ জন ডাকাতকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, হরণী ইউনিয়নের নম্বর ওয়ার্ড গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত ভজেন্দ্র কুমার দাসের ছেলে বিপ্লব চন্দ্র দাস (৪৬), বিপ্লব চন্দ্র দাসের ছেলে শিমুল চন্দ্র দাস (২২), দীপক চন্দ্র দাসের ছেলে মিটন চন্দ্র দাস (২১), গোপিনাৎ চন্দ্র দাসের ছেলে যুবরাজ চন্দ্র দাস (২৮), বিমল মজুমদারের ছেলে ভিবেষ মজুমদার (৩৮), একই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড মোল্লা গ্রামের মো. গনির ছেলে মো. আব্দুল্লাহ (২৬), ৮ নম্বর ওয়ার্ড দক্ষিণ জোটখালি গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে রিয়াজ উদ্দিন (২২), চর ঘাসিয়া এলাকার মৃত আজহার আহম্মদের ছেলে মো. নিজাম উদ্দিন (৬০), চানন্দী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড পশ্চিম আদর্শ গ্রামের কৃষ্ণ কুমার দাসের ছেলে রণজিৎ চন্দ্র দাস (৪৩), হাজী গ্রামের সাইদুল হকের ছেলে মো. মামুন (২৮), হাসিনা নগর গ্রামের মোহন চন্দ্র দাসের ছেলে রাজীব চন্দ্র দাস (২৭), রসুলপুর গ্রামের শফিউল্যার ছেলে মো. এমরান (৪০), বেগমগঞ্জ থানার একলাশপুর ইউনিয়ন ৮ নম্বর ওয়ার্ড অনন্তপুর গ্রামের মৃত মোখলেছুর রহমানের ছেলে মো. কাশেম (৫৩) এবং লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার চর পোড়াগাছা ইউনিয়ন ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মো. আবু তাহেরের ছেলে মো. রিয়াজ (২৪)।

হাতিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ১৪ জন ডাকাতকে অস্ত্রসহ থানা হাজতে হস্তান্তর করা হয়েছে‌। উক্ত বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন।

সবা:স:জু-১৮৪/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের বিদেশ যেতে না পারায় মাইক ভাড়া করে এলাকাবাসিকে গালিগালাজ করলেন কিশোরগঞ্জের যুবক জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কুমিল্লায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পালিয়েছেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন ঢাকা এলজিইডিতে দুর্নীতির একচ্ছত্র অধিপতি বাচ্চু মিয়া বিমান বন্দরের সামনে এখোনো উৎসুক জনতার ভীড় নেভেনি আগুন বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি শিক্ষকদের