বটিয়াঘাটার মাখঝানুল উলুম নুরানী ও মহিলা মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করায় চাকরিচ্যুত হলো এক শিক্ষিকা 

মোঃ ইমরান হোসেন, বটিয়াঘাটা খুলনা প্রতিনিধি –

খুলনার বটিয়াঘাটা চক্রাখালী মুসলিমনগর এলাকায় অবস্থিত মাখঝানুল উলুম নুরানী ও মহিলা মাদ্রাসার সুপার ও সহকারী এক শিক্ষকের অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করায় এক মহিলা শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষিকার স্বামী মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম বাদী হয়ে মাদ্রাসার সুপার মোঃ সেলিম সরদার (৩০), ও সহকারী শিক্ষক আতাউর রহমানকে বিবাদী করে বটিয়াঘাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ভুক্তভোগী ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,মোঃ আনোয়ারুল ইসলামের স্ত্রী তহমিনা বেগম মাথঝানুল উলুম নুরানী ও মহিলা মাদ্রাসায় চাকুরী করতেন। গুড ইভিনিং চাকরি করার সুবাদে অল্প দিনের ভিতর ছাত্র-ছাত্রীদের  বিশ্বাস ও আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন উক্ত শিক্ষিকা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ছাত্র-ছাত্রী উক্ত শিক্ষিকার নিকট মাদ্রাসা সুপার এর বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ড সহ নানাবিধ অনিয়ম দুর্নীতি ও নির্যাতনের কথা বলেন। পরে বিষয়টি উক্ত শিক্ষিকা তহমিনা বেগম বিষয়টি নিয়ে সুপারের সাথে মতবিনিয়োগ করেন। সুপার রাগান্বিত হয়ে শিক্ষিকাকে বিভিন্ন অশালীন ভাষায় গালিগালাজ সহ মারতে উদ্যত হয়। একপর্যায়ে মাদ্রাসা সুপার বলেন, তোমাকে আমার প্রতিষ্ঠানে আর রাখা সম্ভব নয়। তোমাকে আজ থেকে চাকরিচ্যুত করা হলো । কাল থেকে তুমি মাদ্রাসায় আসবেনা। মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়েরের পর বিভিন্ন অনুসন্ধানে গিয়ে জানা যায়,উক্ত মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক কর্মকান্ডসহ মাদ্রাসার যাবতীয় অর্থনৈতিক লেনদেন সহ সবকিছুর আয়- ব্যয়ের হিসাব সে নিজেই নিয়ন্ত্রণ করেন অভিযোগ রয়েছে । মাদ্রাসা নেই কোন রেজুলেশন। নেই কোন ম্যানেজিং কমিটি।  সরকারি কোনো অনুমোদন ছাড়াই মাদ্রাসা সুপার অল্প বয়সে মাদ্রাসার প্রধান হয়ে নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির মধ্যে দিয়ে মাদ্রাসার কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। উক্ত মাদ্রাসার কার্যক্রম বটিয়াঘাটা উপজেলা প্রশাসন ও শিক্ষা অফিস জানেন না বলে জানান তারা।  এ বিষয়ে মাদ্রাসা সুপার মোঃ সেলিম সরদার বলেন,আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগগুলো সত্য নয়। আমাকে ও আমার প্রতিষ্ঠানের মান সম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য একটি মহল উঠে পড়ে লেগেছে। সুপার আরো বলেন, এই মাদ্রাসার সবকিছুই আমি। আমার এখানে কোন ম্যানেজিং কমিটি লাগে না। সবকিছুই আমি দেখাশোনা করি।

চিতলমারী উপজেলা শ্রমিকদল সভাপতি – সম্পাদককে ফাঁসাতে সোশাল মিডিয়ায় ভূয়া পোস্ট

স্টাফ রিপোর্টারঃ

বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি – সাধারণ সম্পাদককে রাজনৈতিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার স্বার্থে চিতলমারী উপজেলার বিভিন্ন ফেসবুক পোস্ট ও গ্রুপে ফেক আইডি খুলে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ছবি এডিট করে সৈরাচার আওয়ামী লীগের দোষরদের পাশে বসিয়ে চিতলমারী উপজেলা শ্রমীকদলের সভাপতি টিপু সুলতান এবং সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক গাজীর ছবি এডিটিং করে নামে – বেনামের ফেসবুক আইডিতে প্রচার করে আসছে। যা দেখে বাগেরহাট জেলা জুরে বইছে সমালোচনার ঝর।
বাগেরহাট চিতলমারী উপজেলা জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীরা এই ভুয়া ফেসবুক পোস্ট নিয়ে প্রতিবাদ করলেও থেমে নেই ফেক আইডি থেকে প্রচার প্রচারণা,
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলা শ্রমিকদলের কমিটিকে বিতর্কিত করার লক্ষে এমন ভুয়া প্রচার প্রচারনা চালাচ্ছে বলে জানা যায়।
চিতলমারী উপজেলাতে সরে জমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শ্রমিকদলের সভাপতি টিপু সুলতান এবং সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক গাজীকে উপজেলা শ্রমিকদলের পদ পদবী থেকে সরিয়ে নতুন করে কমিটিতে স্থান পেতে স্থানীয় কয়েকজনের সহযোগীতায় সভাপতি – সাধারণ সম্পাদক সহ পুরো শ্রমিকদলের কমিটিকে বিতর্কিত করার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে, বিভিন্ন ভুয়া নামে – বেনামে সেনাক্যাম্পে অভিযোগ, সহ ইউনিয়ন কমিটি বানিজ্য করার মিথ্যা অভিযোগ করে চলেছেন এলাকার চিহ্নিত কয়েকজন প্রতারক চক্রের লোকজন।
চিতলমারী উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি – সাধারণ সম্পাদকের বিষয়ে উপজেলা বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে জানা যায় তারা দুজন প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন।তাদের দুজনকে নিয়ে প্রতিনিয়তো ফেসবুক জুরে যে গুঞ্জন চলছে তার কোনটার বিতরে বিন্দু মাত্র তাদের সম্পৃক্ততা নেই। বাগেরহাট জেলার মতো জায়গাতে বিএনপির রাজনীতি করতে গিয়ে তারা বিভিন্ন মামলা হামলার শিকার হয়েছেন, তারা ঠিক মতো বাড়িতে থাকতে পারেনাই।
এ বিষয়ে শহিদুল ইসলাম নামের এক ছাত্রনেতা প্রতিবেদককে জানান চিতলমারী উপজেলা শ্রমীকদল পূর্নাঙ্গ ভাবে প্রতিষ্ঠা করতে সভাপতি টিপু সুলতান এবং সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক গাজী প্রচন্ড পরিশ্রম করে প্রতিষ্ঠাতা করেছিলেন।তাদের কে নিয়ে আজ যারা এই বিভ্রান্ত সৃষ্টি করছে তা আসলে দলের দুর্দিনে ছিলেননা, বর্তমান সময়ে দলের একটু ভালো দিক দেখে তারা নিজেরা ফাঁয়দা লুটে নিতে এই গড়হীত কাজ চলমান রেখেছেন, আমরা এই ভূয়া পোস্ট দাতার পোস্টের তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে চিতলমারী উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি টিপু সুলতান এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি বিগত সৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকা কালিন সময়ে আওয়ামী লীগের কাছ থেকে সুবিধা তো দুরের কথা আমি রাতে বাড়িতে পর্যন্ত ঘুমাতে পারিনাই।আমাদের কে নিয়ে আজ যারা সরযন্ত্র করছে একটু খোঁজ নিয়ে দেখেন দলের দুর্দিনে তারাই আওয়ামী লীগের শাসন আমলে বিভিন্ন সুযোগ সুভিদা নিয়েছে।
এ ব্যাপারে চিতলমারী উপজেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক গাজী বলেন, আমি বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের রাজনীতি করার কারনে বিগত ১৬ বছরে বিভিন্ন মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছি, ঘর বাড়ি ছাড়া হয়েছিলাম তার পরেও উপজেলা শ্রমিকদলের কমিটিকে কোন প্রকার ক্লেম ছাড়াই পরিচালনা করেছি।কখনো সৈরাচারের দোসরদের কাছে মাথা নতো করিনাই, এখন যারা বিভিন্ন ফেক আইডি থেকে ফেসবুকে ভূয়া পোস্ট করার চেষ্টা অব্বাহত রেখেছেন তাদের বিরুদ্ধে অতি শিগ্রই আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম