যশোরে শীর্ষ সন্ত্রাসী জনপ্রতিনিধি দ্বারা খুন-১ আহত-১

আলী রেজা রাজু:

যশোরের শার্শায় শালিসীর বিচারের নামে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির নেতৃত্বে তার গরুর খামারে নিয়ে ১৫/২০ জনের সন্ত্রাসী দল দুই সহদরকে রশি দিয়ে বেধে হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে মারাত্বক জখম করে। এতে দুই সহদর মারাত্বক আহত হয়। গত বুধবার (২২ মে) রাত ১০ টার দিকে শার্শা উপজেলার উলাশী ইউনিয়নের কন্যাদাহ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার রাত ১ টার সময় ঢাকার পিজি হাসপাতালের চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাইফুল ইসলাম মুকুল মারা যায়। নিহতের ভাই শরিফুল ইসলাম বকুল উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এ ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত ইউপি সদস্য হাসান,স্থানীয় সন্ত্রাসী আয়নালের ভাতিজা ইতিপূর্বে তাদের বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্যের ছত্রছায়ায় তারা সন্ত্রাসী কাজকর্ম করে বলে এলাকায় সর্বজনিত রয়েছে।
পূর্বশত্রুতার জেরে মুকুল ও বকুলকে ১৫/২০ জন মিলে মেরে মারাত্মকভাবে আহত করে ফেলে রাখে।স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। আহত সাইফুল ইসলাম মুকুলের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয় পরবর্তীতে সাইফুল ইসলাম মুকুল ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ রাত ১ টার মৃত্যুবরণ করে।
ইতিপূর্বে আসামী পরিবারের হাতে খুন হওয়া ব্যক্তির বাবাও খুন হয়েছিল।
পুলিশ বলছে নারী ঘটিত বিষয়ে ঘটনার সূত্রপাত! কিন্তু ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা বাড়ি থেকে জোর করে ধরে নিয়ে গিয়ে গরুর ফার্মে বেঁধে হাতুড়ি পেটা করেছে।
শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) শেখ মনিরুজ্জামান জানান নিহতের ফুফাত ভাইয়ের সাথে স্থানীয় ইউপি সদস্যের পুর্ব শত্রুতার জেরে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ইউপি সদস্য হাসানসহ তিন জনকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকী আসামীদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

মহম্মদপুরে হত্যা মামলার আসিমীরা জামিনে এসে সভাপতি আহাদের নেতিৃত্বে বাদীকে মারধোর থানায় অভিযোগ!

মগুরা প্রতিনিধি :
মাগুরার, মহম্মদপুর উপজেলার রাজপাট গ্রামের আলোচিত গোবিন্দ সাহা হত্যা মামলার আসামিরা জামিনে এসে বাদী ও তার পরিবারের স্বজনদের মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন হুমকি ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে বলে জানা যায়। এ ঘটনার বিচার চেয়ে বাদী গোপাল সাহা হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মহম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ সুত্রে জানা যায় ২২ জুন ২০২৪ ইং তারিখ, শনিবার দুপুর ১২.০০ ঘটিকায় রাজপাট গ্রামের শক্তিনাথ সাহার ছেলে গোপাল অরফে শিমুল সাহা, মৃত অজিত সাহার ছেলে গৌতম সাহা, শক্তিনাথ সাহা, কৃষ্ণগোপাল সাহা, সুর্যকান্ত সরকারের ছেলে সুবাশ সরকার ও প্রভাষ সরকার এবং সুবাশ সরকারের ছেলে প্রান্ত সরকার, বাদী গোপালের বাড়ীতে গিয়ে মামলা তুলে নেয়ার বিভিন্ন প্রাণ নাশের হুমকী দেন এবং বলে মামলা তুলে না নিলে তার বাবার মতো তাকেও কুপিয়ে হত্যা করবে বলে জানা বাদী। এর কিছুক্ষন পর বাদী গোপাল সাহা রাজাপুর বাজারের উত্তর পাশে পাট গলির সাথে তার মুদির দোকানে গেলে বড় কলমধারী গ্রামের মৃত মকবুল মোল্লার ছেলে রাজাপুর বাজারের সভাপতি আহাদ মোল্যার নেতৃত্বে বাদী গোপালের দোকানের সামনেই উক্ত হত্যা মামলার আসামীরা হামলা করে এবং তাকে মেরে আহত করলে তার ডাক চিৎকারে লোকজন এসে গোপাল সাহাকে উদ্ধার করে মহম্মদপুর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করান। নিহতের স্বজনরা জানান, আসামিপক্ষ প্রভাবশালী হওয়ায় তারা মামলা তুলে না নিলে ফের হামলা ও মারধর করবে। ফলে নিহতের পরিবারের অনেকেই পালিয়ে দিন কাটাচ্ছেন।
উক্ত আসামীগণ বাদী ও স্বজনদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়ার জন্য বিভিন্ন নেতারকর্মীদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। কোন উপয়ন্তর না পেয়ে উল্টে কোর্টে ৩২৩ ধারায় একটি মিথ্যা মামলা করেন বলে জানা যায়। বাদী জানান আমার পিছনে লেগে আছেন রাজপাট গ্রামের সুকুমার নাম করে এক ওসি তিনি বর্তমানে মানিকগঞ্জ জেলায় এক থানায় কর্মরত আছেন।
পিছনে লাগার কারণ জানতে চাইলে বাদী জানান আমার বাবা হত্যা মামলায় তার আপন দুই ভাই সুধাংশু বিশ্বাস ও সুভাষ বিশ্বাস আসামি ছিলেন তাদের নাম যে কোন কারণে চার্জশীট থেকে বাদ যায় আমার উকিল কোর্টে তার দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে নারাজী পিটিশন দিয়েছেন এর প্রেক্ষিতে ওই ওসি আমার ক্ষতি করার জন্য আমার পিছে উঠে পড়ে লেগে আছেন। আজ আমাকে মারার সময় ওসি ভাই সুভাষ বিশ^াস ছিলেন।
উল্লেখ্য মামলা সুত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৫ নভেম্বর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ আসামী শক্তিনাথ সাহার হুকুমে গোবিন্দ কুমার সাহাকে আসামী শিমুল সাহা ওরফে গোপাল সাহা খুন করার অসৎ উদ্দেশ্যে আমার পিতার মাথা লক্ষ্য করিয়া চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কোপ মারে আসামী গৌতম সাহা একই ভাবে পূর্বের কোপের পাশে ছ্যানদা দ্বারা আরও একটা কোপ মারিলে গোবিন্দ সাহা মাটিতে পড়ে গেলে আসামী ওসি সুকুমারের ভাই শুধাংশু বিশ্বাস হত্যা করার উদ্দেশ্যে রামদা দিয়ে কপালের উপর কোপ মারে। আসামী কৃষ্ণ গোপাল সাহা বল্লাম দিয়ে মাথার ডান পাশে ডান কাধের উপর সজোরে কোপ মারিয়া বল্লম মাথায় ঢুকাইয়া দেয়, এরপর আসামী শক্তি নাথ সাহা খুন করার অসৎ উদ্দেশ্যে লোহার রড দিয়ে মাথার পিছনে কয়েকটি আঘাত করে। ওসির সুকুমারের ভাই আসামী সুভাষ বিশ্বাস মাথা লক্ষ্য করিয়া দিয়ে আঘাত করে উক্ত আঘাত নাকে লাগিয়া নাক ভাঙ্গিয়া যায়। এরপর হত্যা নিশ্চিত করতে আসামী প্রভাস উভয় হাতে উপর্যপুরী আঘাত করিয়া মারাত্মক জখম করে। আসামী রাজ সাহা মাথার উপরে এবং আসামী উজ্জল সরকার ডান পায়ের গোড়ালিতে লোহার রড দ্বারা আঘাত করে। আসামী সৌরভ শরীরের বিভিন্ন স্থানে লোহার রড দ্বারা পিটাইয়া মারাত্মক জখম করে ফেলে রেখে যায়। ঘটনার সময় বাদী ঘটনাস্থলে ছিলেন আসামীদের ভয়ংকর আচরনের কারণে কোনভাবে বাদী গোপাল সাহা তার পিতাকে বাঁচতে পারে নাই।
২৫-১১-২০২৩ তারিখে মাগুরা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২৬-১১-২০২৩ তারিখে ঢাকা মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ০১-১-২০২৩ ইং তারিখ সকাল ৮.৪০ মিনিট এর সময় মৃত্যুবরণ করেন।
ওসি সুকুমার বিশ^াসের হস্তক্ষেপে তাহার দুই সহদোর ভাইয়ের হত্যা মালার চার্জশীট থেকে নাম বাদ যায় বিস্তারিত আসছে…..।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম