প্রতিবেশি ভাবিকে প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় কাণ্ড যুবকের

 

জাহিদ হোসেন :
প্রতিবেশি ভাবিকে প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় এমন কাণ্ড যুবকের। সাভারের আশুলিয়ায় প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় সুমাইয়া আক্তার (২৩) নামে এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা করেছে প্রতিবেশী শহিদুল ইসলাম বিদ্যুৎ (৩২) নামের যুবক।ঘটনায় র‌্যাব হত্যাকারী ওই যুবককে আটক করেছে।প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় সাভারের আশুলিয়ায় এক গৃহবধূ সুমাইয়া আক্তারকে তার শিশু সন্তানের সামনেই গলা কেটে হত্যা করেছে প্রতিবেশি যুবকের শিকারোক্তি। পরে ছুরি হাতে তাঁর রুমের সামনেই দাঁড়িয়ে ছিলেন শহিদুল ইসলাম বিদ্যুৎ। এসময় র‌্যাবের একটি টহল দল খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ছুরিসহ তাকে গ্রেফতার করেন। পরে খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে সাভার থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার বিকেল ৫ টার দিকে আশুলিয়ার ভাদাইল তালতলা এলাকার সোহেলের ভাড়া বাসা থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে বিকাল ৩ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-৪ সিপিসি-২ এর স্কোয়াড কমান্ডার ও সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ সাজ্জাদুর রহমান।
নিহত সুমাইয়া আক্তার রংপুর জেলার বদরগঞ্জ থানার মাসুদ রানার স্ত্রী। তাদের আড়াই বছরের এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। তারা ৩ জনেই ওই বাড়িতে একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। নিহতের স্বামী মাসুদ রানা স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন ।
গ্রেফতারকৃত শহিদুল ইসলাম বিদ্যুৎ (৩২) নাটোর জেলার লালপুর থানার বিজয়পুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। তিনিও একই বাসায় পাশের রুমেই ভাড়া থাকতেন। পেশায় পোশাক শ্রমিক।
বাড়ির গৃহকর্ত্রী জানান সুমাইয়ার মেয়ের কান্না শুনে ঘর থেকে বের হয়ে দেখেন হাতে রক্ত মাখানো অবস্থাতেই ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল শহিদুল ইসলাম বিদ্যুৎ।
প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া নারী মেরিনা বেগম বলেন, বাড়িওয়ালীর ডাকে আমরা ঘর থেকে বের হয়ে দেখি শহিদুল ইসলাম বিদ্যুৎ সিড়ির উপর ছুরি হাতে দাঁড়িয়ে আছে। তাও আমি সাহস করে ঘরে ঢুকে দেখি সুমাইয়ার পুরো শরীরে রক্ত। শহিদুল ইসলাম বিদ্যুৎ আমাকে বলছিল ভাবী মারিয়ামকে (সুমাইয়ার মেয়ে) সামলান মারিয়ামের মা আর নেই।
বাড়ির অন্য রুমের ভাড়াটিয়া মোঃসবুজ বলেন বাড়ির মালিক ডাকলে আমি আমার রুম থেকে বের হয়ে ঐ রুমে গিয়ে দেখি নারীকে চাকু দিয়ে গলা কেটেছে। আর ওই লোক চাকু নিয়ে বাইরে দাঁড়িয়ে আছে। পরে আমি বাইরে গিয়ে আরও কয়েকজনকে ডেকে এনে পুলিশে খবর দেই। র‌্যাব জানায় গত ১ বছর ধরে একই বাসায় পাশাপাশি রুমে ভাড়া থাকার সুবাদে সুমাইয়া আক্তারের সাথে শহিদুল ইসলাম বিদ্যুৎ পরিচিত। পরিচয়ের পর থেকেই সুমাইয়াকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল শহিদুল ইসলাম বিদ্যুৎ। প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় মঙ্গলবার দুপুরে সুমাইয়ার কক্ষে প্রবেশ করে ধারালো ছুরি দিয়ে সুমাইয়ার গলায় আঘাত করে। এতে অচেতন হয়ে পরলে জবাই করে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
র‌্যাব-৪ সিপিসি-২ এর স্কোয়াড কমান্ডার ও সহকারি পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান বলেন, শহিদুল ইসলাম বিদ্যুৎকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে হত্যার কথা স্বীকার করেছে বিদ্যুৎ। সে প্রেমে প্রত্যাখান হয়ে এঘটনা ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিক নিশ্চিত করা হয়েছে।

খাগড়াছড়িতে ইটভাটার রাক্ষুসেদের থাবায় ৪ সাংবাদিক কারাগারে!

 

নিজস্ব প্রতিবেদক-
খাগড়াছড়ি দিঘিনালা উপজেলায় হাইকোর্টের নির্দেশনায় বন্ধ করে দেওয়া (ফোর বিএম অবৈধ ইট ভাটা) প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কার্যক্রম চালাচ্ছিলেন অভিযোগ পেয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করতে গিয়ে ৪ সাংবাদিকে সদর থানায় চাঁদাবাজির মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠালেন বন্ধ করে দেওয়া অবৈধ ইট ভাটার মালিক কথিত সাংবাদিক মোঃ আলমগীর হেসেন। পুলিশ ইট ভাটার বৈধতা আছে কিনা তা যাচাই টুকু করার চেষ্টা করেনি! যাচাই ছাড়াই গ্রেফতার করে মামলা নিলেন নিয়ে ০৪ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে, ০৭ জনকে এজাহার ও অজ্ঞাত ৩/৪ জনকে আসামি করে মামলা নেন খাগড়াছিড়ি সদর থানা পুলিশ। গত জানুয়ারি মাসেই হাইকোর্টের নির্দেশে যখন ফেব্ররুয়ারি মাসেই সরকারিভাবে অভিযান চালিয়ে যখন বন্ধ করে দিয়েছেন তখন সেই ইট ভাটায় চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠতে পারে কি?

গত ০৫ জানুয়ারি ২০২৫ইং তারিখ পার্বত্য তিন জেলার বিভিন্ন স্থানে থাকা অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম যাতে শুরু না করতে পারে বন্ধ করে দেওয়ার আদেশ জারির করেছিলেন হাইকোর্ট। সেই বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্ট ডিসি আদেশ দিলে ফেব্রুয়ারি মাসেই ডিসি অভিযানে কেবিএম ব্রকফিল্ড”টি বন্ধ করে একটি নোটিশ ঝুলিয়ে দেন।

বেশ কয়েকদিন আগে দৈনিক গণতদন্ত পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মাহাবুব আলম আব্বাসী ঐ তিন জেলার ইট ভাটার বন্ধ করে দেওয়ার পরেও অসংখ্য প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কার্যক্রম চালাচ্ছেন এমন অনেক অভিযোগ আসলে পরিবেশ, পাহাড়, ফসলি জমি থেকে মাটি কাটা সহ রাস্তার ক্ষয়ক্ষতির সার্ধিক পরিস্থিতি বিষয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করতে দৈনিক গণতদন্ত পত্রিকার মেহেদী হাসান রিয়াদ ও তোফায়েল আহম্মেদ”কে এসারমেন্ট দেন বলে জানিয়েছেন বলে উক্ত পত্রিকার প্রধান সম্পাদক এম এইচ মুন্না এ-কথা জানান। তিনি আরও জানান যে সাংবাদিকদের গাড়িতে গণতদন্ত পত্রিকার স্টিকার লাগানো ছিল পুলিশ কিংবা কথিত সাংবাদিকেরা কেন গনতদন্ত পত্রিকার অফিসে কেন ফোন দিলেন না কেহ? যারা আটক করেছেন তথাকথিত অপেশাদার সাংবাদিক যে কিনা ইট ভাটার ব্যবসা করেন সে কখনো সাংবাদিক হতে পারে না! আবার ডিসি সকল কার্যক্রম বন্ধ করে নোটিশ ঝিলিয়ে দেওয়ার পরে সেই ইট ভাটার কার্যক্রম কি ভাবে পরিচালনে করেন? সাংবাদিকেরা বন্ধ ইটভাটায় কি ভাবে চাঁদা চাইলেন তা নিয়েও প্রশ্ন? এছাড়া সাংবাদিক কখনো অবৈধ ইটভাটার ব্যবসা করতে পারে কি প্রশ্ন সকলের কাছে? সাংবাদিক কিংবা পুলিশ কেহ আমাদেরকে ফোন দেয়নি আমাদের প্রতিনিধি ছাড়া যদি কেহ গাড়ির স্টিকার ব্যবহার করেন তাহলে আমরাওতো আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতাম তার মানে পুলিশ আর তথাকথিত সাংবাদিকেরা যোকসাযোকসে এইসব অবৈধ ইট ভাটা পরিচালনায় কার্যক্রম চালাচ্ছেন তা পরিষ্কার। তাদের মামলার এজাহারে বলা হয়েছে তাদের কারো সাথে আইডি কার্ড পাওয়া যায়নি কীভাবে পাওয়া যাবে প্রথমে ছাত্রদল ও যুবদলের ছেলেপেলেদেরকে দিয়ে হামলা করত আইডি কার্ড ও এসারমেন্ট সহ গুরুর্ত পূর্ণ কাগজপত্র ছিনিয়ে নিয়ে নাটকীয়ভাবে পরে পুলিশ খবর দিয়ে এনে আইডি কার্ড চাইলে কার্ড কোথায় থেকে দেবেন আর এসারমেন্ট কোথায় থেকে দিবেন?

কথিত সাংবাদিক আগে ঠেলা গাড়ি চালাতে পরে হলেন পরে গেলেন ছাত্রদলে এর পর হলেন সাংবাদিক! এখন আবার ইটভাটার মালিকানা শেয়ারদার কথিত সাংবাদিক মোঃ আলমগীর হেসেন মোহনা টিভির টিভির উপজেলা প্রতিনিধি বলে জানা যায়! আটকৃত সাংবাদিকদেরকে ঢাকা থেকেও একাধিক বার পুলিশের হেফাজতে থাকা কালীন ফোনে যোগাযোগ করতে চাইলেও তাদের কাউকে ফোন যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। সেই সাংবাদিকদেরকে আটক করার সময় আওয়ামী দোসর ছাত্র আন্দোলনের সময়ে এমপির সাথে বসে ছক আঁকা, ১৯৯২ সালে হত্যা মামলার আসামি খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক প্রফুল্ল ,সাংবাদিক মেহেদী হাসান রিয়াদ এক সময় দৈনিক দিনকাল পত্রিকার অনলাইন ইনর্চাজ হিসেবে কাজ করতেন সেই পরিচয় পেয়ে প্রফুল্ল বুঝতে পারেন যে তাদেরকে আটক করা যাবে না তাই প্রফুল্ল এক সময় দৈনিক দিনকাল পত্রিকায় নিজেও কাজ করতেন বলে রিয়াদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলে রিয়াদকে সেইভ করার নাটক সাজিয়ে ছাড়িয়ে নেওয়ার কথা বলে প্রেসক্লাবে নিয়ে ইফতার করিয়ে মামলা রেডি করে থানায় পুলিশের হাতে দিয়ে দেন। ইফতারের ফাঁকে খাগড়াছড়ির বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ওদুদ ভূঁইয়াকে তারেক রহমানের মিডিয়া সেল এর মেম্বার পরিচয়ে সাংবাদিকেরা চাঁদাবাজি করতে এসেছেন বলে খেপিয়েছেন তখন জিনিসটা বিশাল আকারে রূপ নেয়! তবে আওয়ামী দোসর বাংলাভিশন টেইলিভিশনের প্রতিনিধি ও প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক প্রফুল্ল এখন ওদুদ ভূঁইয়ার একনিষ্ঠ সহযোগী হয়ে উঠেছেন! প্রফুল্ল যা বলে ওদুদ ভুঁইয়া তাই শুনে বলে সকলেই বলেন কিন্তু প্রফুল্ল তো আওয়ামী দোসর তার বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলন সাবেক আওয়ামী এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যান এর সাথে বসে ছক আকার অভিযোগ রয়েছে যার কিছু ছবি এসেছে গণমাধ্যমের হাতে। এছাড়াও প্রফুল্লের বিরুদ্ধে ১৯৯২ সাথে হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামি ছিলেন চার্জশিটের এজাহারেও তার নাম ছিল বলে জানা যায়। প্রফুল্ল আওয়ামী আমলে আওয়ামীর ছাপোর্টার। বিএনপির আমলে বিএনপির ছাপোর্টার বনে জান মূলত সে “র” এর অ্যাজেন্ডা হয়ে কাজ করছেন বলেও অনেক সাংবাদিকেরা অভিযোগ তুলচ্ছেন। ছাত্র আন্দোলনে হামলার ছক আঁকাসহ প্রেসক্লাব নিয়ে নানান বৈস্বম্য সৃষ্টির বিষয়ে অনেক ফাইল এসেছে আমাদের হাতে এই ফাইলে প্রফুল্লের অপকর্মের সত্যতা উন্মোচন হবে।

সাংবাদিকদেরকে আটকের পর রাত ১১ টার সময় ঢাকা থেকে এক সম্পাদক কথা বললে তিনি ঐ ইট ভাটার মালিক সাংবাদিক কে জানেন না বলে জানান! প্রশ্ন হলো ঐ ইটভাটার মালিক সাংবাদিক মোঃ আলমগীর হোসেন মোহনার টিভির উপজেলা প্রতিনিধিকে তিনি তাকে চিনেন না কেন? প্রফুল্ল যখন ঘটনার স্থলে যায় তখনতো সাংবাদিক আলমগীর ঐ স্থানেই ছিলেন থানাতেও ছিলেন তাহলে প্রফুল্ল কেন তাকে চিনেন না কারণ ছক এঁকেছিলেন তিনি। তারেক রহমানের মিডিয়া সেল এর মেম্বার বলে সাংবাদিকদেরকে বিপাকে ফেলতে তার এই মিশনও সফল হয়েছে তা যেন ঐ সম্পাদকেরা না বুঝতে পারেন। প্রসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক প্রফুল্ল জানান ইট ভাটাতে ৫ হাজার টাকা দেওয়াতে সাংবাদিকেরা না নিয়ে হুমকিদমকি দিতে থাকেন বললেও মামলার এজাহারে এক লক্ষ টাকা চাঁদা দিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন! প্রফুল্ল এই গ্রেফতারের দায় চাপান প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক দিদার ও ওদুর ভূঁইয়ার উপরে!

ইট ভাটার মালিক কথিত সাংবাদিক মোঃ আলমগীর হোসেনকে ফোন করে ঘটনার বিবরনি জানতে চাইলে তিনি বলেন যে দিঘিনালা উপজেলায় কেবিএম ইট ভাতায় তার শেয়ার রয়েছে। ১০/০৩/২০২৫ ইং তারিখে দিঘিনালা উপজেলার (ফোর বিএম) ইট ভাটায় গিয়ে ঐ সাংবাদিকেরা দুই লক্ষ টাকা চাঁদা চাইলে এক লক্ষ টাকা দিয়ে দেন পরে আরও ১ লক্ষ টাকা না দিলে হুমকিদমকি প্রধান করেন পরে সদরে গিয়ে আরও এক লক্ষ টাকা চাঁদা চেয়ে হুমকিদমকি প্রধান করলে আমি আশেপাশের লোকজন জড়ো করে তাদেরকে আটক করি। পরে থানায় নিয়ে যাই। আলমগীরকে প্রশ্নও করা হয় প্রথম সারির মিডিয়াতে আপনি কাজ করেন তবে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দিলেন কেন? চাঁদা দেওয়া ও নেওয়া দুজনেই সমান অপরাধী। উক্ত টাকা দেওয়ার কোন অডিও কিংবা ভিডিও রেকর্ড রেখেছেন কিনা উত্তরে বললেন না নেই করা হয়নি! সাংবাদিক হয়ে কি অবৈধ ইট ভাটার পরিচালনা করা যায় উত্তরে বললেন না করা যায় না! এক চোর আরেক চোরের মাল চুরি করে এনেছে সেই মাল আরেক ডাকাত লুট করেছেন সেই চোর কি মামলা করতে পারেন উত্তরে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি বলেন পুলিশ কি ভাবে চোরের মামলা নেয় তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন? এই কল রেকর্ড ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। উক্ত বিষয়ে থানার অফিসার ইনর্চাজ আব্দুল বাতেন মৃধা সাথে কথা বললে তিনি জানান ইট ভাটার কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়নি ওসি মশাই কেন জানেন না ঐ জেলা সহ আরও দুই জেলা সব ইট ভাটা বন্ধ। বন্ধ জানা সত্ত্বেও মামলা নিলেন কি ভাবে?

তবে ঘটনার স্থল থেকে যেই সাংবাদিকেরা পালিয়েছেন তারা জানান যে সাংবাদিক আলমগী”র ইট ভাটায় যাওয়ার পরে আমাদেরকে পাঁচ হাজার টাকা ইফতার খাওয়ার কথা বলে দেওয়ার চেষ্টা করলে সাংবাদিক মেহেদি হাসান রিয়াদ বলেন লাগবে না আমাদের সব খরচ অফিস বহন করছেন বললে আলমগীর ক্ষেপে কথা কাটাকাটি হলে সেখান থেকে দিঘিনালা ইউএনওর সাথে দেখা করে ৬ সাংবাদিক ফটো সেশন করেন তখনি তারা ইট ভাটার মালিক সাংবাদিক মোঃ আলমগীর হোসেন এর ইট ভাটা সহ কয়েকটি ইট ভাটা বন্ধ করলেও অসাধু উপায়ে তারা পরিচালনা করছেন বিষয়ে জানাতে যায় ইউএনও”র সাথে দেখা করে পরে ইউএনও”র সাথে ফটো সেশন করে ফেরার পথে আমাদেরকে খাগড়াছড়ি সদরে আসলে আমাদেরকে ফোন করে দেখা করতে চাইলে আলমগীর তখন আমরা অপেক্ষা করি শত হলেও সাংবাদিক আমাদের পেশারি ভাই। প্রথমে ভাটার মালিক মোঃ আলমগীর হোসেন এসে কিছু ছাত্রদল ও যুবদলের পোলাপান নিয়ে অতর্কিত হামলা করে আমাদের আইডি কার্ড সহ এসারমেন্ট গুলি ছিনিয়ে নিয়ে যায় পরে অবস্থা বেগতিক দেখে আমরা পালিয়ে যাই ঐ স্থান থেকে। অনুসন্ধানে জানা যায় খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাব এর পদধারী সাংবাদিকেরা তামাক চাষ, ইটভাটা, পাহাড় কাটাসহ বড় বড় মিলকারখানা বিএনপির ওদুদ ভূঁইয়ার সাথে আঁত আঁত করেই এইসব পরিচালনা করেন। সাংবাদিকদের আটকের বিষয়ে খাগড়াছিড়ি প্রসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এইচ এম প্রফুল্ল, সাংগঠনিক দিদারুল আলম ও ইটভাটার মালিক কথিত সাংবাদিক মোঃ আলমগীর হোসেন তিনজন মূল নাটের গুরু হলেও দায় চাপাচ্ছেন ওদুদ ভূঁইয়ার উপরে।

উক্ত ইটভাটা (ফোর বিএম) এর বিষয়ে খাগড়াছড়ি ডিসিকে জানালে তিনি দিঘিনালা ইউএনওকে পাঠিয়ে আবারও বন্ধ করে দেওয়া ইটভাটার কার্যক্রম চলমান দেখা ঐ ভাটার কিছু স্থানা সহ তৈরি করা ও তৈরি করছেন সব ইট ধ্বংস করে দিয়ে আবারও ভাটা বন্ধের নোটিশ ঝুলিয়ে দেন।

(১) প্রশ্ন : সাংবাদিক কি অবৈধ ইটভাটার মালিক হতে পারেন যা কিনা পরিবেশ, পাহাড়, ফসলি জমি, রাস্তা ও মানুষের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করেন?, (২) প্রশ্ন : যদি দিঘিনালা ইটভাটার এখানে চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটত তাহলে কেন ইউএনও ফটো সেশন করলেন কেন তাদেরকে তখন আটক করলেন না? মামলার এজাহারে বলা হয়েছে তারেক রহমানের মিডিয়া সেল এর মেম্বার পরিচয়টি শনাক্ত করেছিলেন তাহলে কেন ইউএনও তার অফিসে গ্রেফতার করলেন না তাহলে কি ইউএনও গ্রেফতারের ক্ষমতা হাড়ীয়েছেন?, (৩) প্রশ্ন : প্রথমে আটকের পর সাংবাদিক মেহেদী হাসান ও তার আরেক সহকর্মীকে কেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক প্রেসক্লাবে নিয়ে ইফতার খাওয়ালেন আবার ৫ হাজার টাকা দিয়েছিলেন বলেও তিনি দাবি করেন কেন এমন হলো?, (৪) প্রশ্ন: সাংবাদিক হয়ে যে ইটভাটার বন্ধ করে নোটিশ ঝুলিয়ে দিয়েছেন সেই ইটভাটায় চাঁদা দেওয়া কথা তিনি নিজেই বলেছেন মামলার এজাহারে তিনি কি তাহলে সাংবাদিক?, (৫)তিনি সাংবাদিক হয়ে আরেক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছেন তাও আবার সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ ও অবৈধ ইট ভাটার মালিক পরিচয়ে সেটা কি তিনি করতে পারেন?, (৬) প্রফুল্ল কেন দুই সাংবাদিকদের নিয়ে প্রেসক্লাবে ইফতার করালেন যদি তারা চাঁদাবাজ হয়ে থাকেন?, (৭) পুলিশ কেন গণতদন্ত পত্রিকার স্টকার গাড়িতে লাগানো দেখা অফিস কর্তিকক্ষের সাথে যোগাযোগ করলেন না? , (৮) যেই ইট ভাটা হাইকোর্টের নির্দেশে বন্ধ করে দিয়েছেন সেই ইটভাটায় চাঁদাবাজি করার মতন কিছু থাকে কি?

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম