সুস্থ ও আদর্শ সংস্কৃতি বিকাশে তারাকান্দা পরিবার

হুমায়ুন কবির,স্টাফ রিপুর্টারঃ বর্তমান যুগকে বলা হয় আধুনিক তথ্য ও প্রযুক্তির যুগ। তথ্য প্রযুক্তির সুষ্ঠু ও সুন্দর ব্যবহারই পারে সামাজিক ও আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক বন্ধন মজবুত করে সকলকে ঐক্যবদ্ধ করতে।

যদিও এর অপব্যবহারে প্রায়ই নানাধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা শুনা যায় এবং বলা হয়ে থাকে প্রযুক্তির কারনে মানুষ দিন দিন অসামাজিক হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এর পুরোপুরি উল্টা চিত্র তারাকান্দা পরিবার নামক একটি ফেসবুক গ্রুপের। যা ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা উপজেলার একদল উদ্যমি তরুণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়।

উপজেলার নানা ধরনের সমস্যা তুলে ধরে প্রশাসনের নজরে আনা থেকে শুরু করে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে উপজেলার মানুষের অংশগ্রহণ ও তাদের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশে এই পরিবারের ভূমিকা অপরিসীম। অসহায় মানুষের সাহায্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার পাশাপাশি বিভিন্ন অনলাইন প্রতিযোগিতার আয়োজন ও অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের পুরস্কৃত করে থাকে।

যেখানে তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহারে দিন দিন মানুষ সামাজিকতা হারাচ্ছে ঠিক তার বিপরীতে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে উপজেলার মানুষকে একত্রিত করায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে উক্ত ফেসবুক গ্রুপের উদ্যমি তরুণরা।

সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের অংশ হিসাবে দেশাত্মবোধক গান, নাচ, কবিতা আবৃত্তি, হামদ-নাত প্রতিযোগিতা ও বিভিন্ন ফটো কনটেস্ট এর আয়োজন করে। তারই অংশ হিসাবে আজ ফটো কনটেস্ট–৫ অংশগ্রহণকারী ২ জন বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন উক্ত গ্রুপের উদ্যমি তরুণরা।

 

 

“তারাকান্দা পরিবার” নামক এই গ্রুপের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তারা বলেন মানুষকে তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহার থেকে বাঁচাতে ও এর সুষ্ঠু ব্যবহারের মাধ্যমে উপজেলার সর্বস্তরের জনগণকে একত্রিত করার মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও উপজেলার উন্নতি সাধন করা তাঁদের লক্ষ্য ও প্রধান উদ্দেশ্য। তাছাড়া জনগনের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশে ভূমিকা রাখাও তাদের অন্যতম লক্ষ্য বলে জানা যায়।

রমনার রেস্তোরাঁ বেশি দর দিয়ে ইজারার সুপারিশ পেয়ে, বরাদ্দ না দিতে ঠিকাদারের চিঠি !

স্টাফ রিপোর্টার:

রমনা পার্কের ভেতরে থাকা রেস্তোরাঁটি পাঁচ বছরের জন্য ইজারা দেওয়ার জন্য গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। রেসপনসিভ’ চারটি প্রতিষ্ঠানকে বিবেচনা করে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি। সূত্র মতে, সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৭৬ লাখ ১৯ হাজার ৭৮০ টাকা দর প্রস্তাব করে হাবিব হোটেল ইন্টারন্যাশনাল, কিন্তু সর্বোচ্চ দর হাঁকিয়েও কাজে অনাগ্রহ দেখায় প্রতিষ্ঠানটি।

এমনকি সাত সদস্যের দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশ পেয়েও হাবিব হোটেল ইন্টারন্যাশনাল অজানা কারণে আর কাজে আগ্রহ দেখায়নি। প্রতিষ্ঠানটির অপেশাদার আচরণের কারণে সরকারের রাজস্ব হারানোর সম্ভবনা তৈরি হয়। তখন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তখন সিদ্ধান্ত নেয় শুধু বাজেট না পেশাদারিত্ব ও বিবেচনায় নিতে হবে, তারপর রি-টেন্ডার না করে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতাকে কাজ দেওয়ার চূড়ান্ত পক্রিয়া শুরু হলে বলে জানান দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির নির্বাহী প্রকৌশলী স্বর্ণেন্দু শেখর মণ্ডল।

গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার বলেন, ‘আমরা রাষ্ট্ররে ন্যাস্ত দায়িত্ব পালন করি, যারা আমাদের সাথে নানা ভাবে কাজ করতে আসেন তাঁদের কাছে আমরা পেশাদারিত্ব আশা করি, আর রমনা পার্ক নিয়ে আমি কি বলবো আপনি নিজে গিয়ে ঘুরে দেখে আসুন, গণপূর্ত অধিদপ্তর ঢাকার নাগরিক জীবনে রমনা পার্ককে রি-ফর্ম করে উপহার দিয়েছে।’

খোঁজ নিয়ে যান গেছে, মুনাফার হিসেবে নিজেদের দরে বড় চ্যালেঞ্জে হয়ে দাঁড়ায় হাবিব হোটেল ইন্টারন্যাশনালের জন্য। গণপূর্তের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে হাবিব হোটেল ইন্টারন্যাশনাল দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির নিকট বরাদ্দ না নেওয়ার কথা উল্লেখ করে চিঠিও দিয়েছে।

উল্লেখ্য, গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার যোগাদানের কিছু দিনের মধ্যে রমনা পার্কের সংস্কার সহ নানা উদ্যোগ নিয়ে একটা গণমানুষমুখী চিত্ত বিনোদন পার্কে রুপান্তর করে। অল্পসময়ের মধ্যে রমনার কৃত্রিম লেকের নান্দনিকতার সঙ্গে মিল রেখে ১৫ ফুট প্রস্থ মাইক্রো পাইল আর সিসি ফেয়ার ফেস ফ্রেম, স্টিল জয়েন্ট দিয়ে এমএস পাইপের মাধ্যমে দুটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। লেকের মাঝামাঝিতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সৃষ্টির লক্ষ্যে পানিতে ডুবন্ত একশ ফুট ডায়াগ্রামের ৮ ইঞ্চি পুরু রিটেইনিং ওয়ালের ভেতর মাটি ভরাট ও বনায়ন করা হয়েছে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম