সেলিমের উত্থান ও চাঁদাবাজি

স্টাফ রিপোর্টার:

রাজধানীর মিরপুর এক- সড়ক থেকে শুরু করে চারাবাগ পর্যন্ত সর্বত্রই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সেলিমের নিয়ন্ত্রিত লেগুনা। এসব লেগুনার অধিকাংশরই নেই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, নেই চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই লেগুনা চালাচ্ছে অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোররা।

কে এই সেলিম

সেলিম মিয়া পিতা :মোহাম্মদ শামস উদ্দিন মিয়া
স্থায়ী ঠিকানা ৩১২/৪/s/২, লালকুঠি, মিরপুর এক, দারুস সালাম ঢাকা ১২১৬
গ্রাম:মোকশেদপুর, গোপালগঞ্জ
সেলিম মিয়া দারুস সালাম থানার শ্রমিক লীগের সভাপতি ছিলেন মিরপুরে সমস্ত লেগুনা গাড়ির চাঁদাবাজি করতো ডাইমেনশেন নামক ব্যানার মাধ্যমে, (যা এখনো চলমান)
অত্যন্ত দরিদ্র ফ্যামিলির থেকে বেড়ে উঠা সেলিম আজ শতকোটি টাকার মালিক হয়ে উঠেছেন মিরপুরের চাঁদাবাজির মাধ্যমে। সে দীর্ঘ একুশ বছর সেনাবাহিনীতে কর্পোরাল হিসেবে কর্মরত ছিলেন লোকে মুখে শোনা যায় কোন এক অপরাধের কারণে সে সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচিত হয়েছে,এবং তার বাবা ছিল সামান্য একজন গরুর দুধ বিক্রেতা কোনরকম সংসার চলত, বছরখানেক আগে ৭০/৮০ লক্ষ টাকা খরচ করে গ্রামের বাড়িতে করেছেন আলিশান অট্টালিকা করেছেন অনেক সহায় সম্পত্তি , ঢাকায় নিজস্ব ফ্লেট এবং সহায় সম্পত্তি। সেলিমর জন্মস্থান ফরিদপুরে উত্তর চন্ডী পদ্ধি গ্রাম,সালথা থানা, বছরখানেক আগে ফরিদপুর থেকে ভোটার আইডি কার্ড মাইগ্রেট করে গোপালগঞ্জে মোকসেদপুর নিয়ে আসেন বিগত সরকার আমলে গোপালগঞ্জের নাম ভাঙিয়ে চলতে শুরু করে এই সেলিম মিয়া, মুকসুদপুরে করেছেন অনেক সহায় সম্পত্তি, তিন ভাইয়ের মধ্যে সেলিম মিয়া বড়, বাকি দুই ভাইয়ের নামে করেছেন মুকসুদপুর সদর জসিমউদদীন প্লাজা দ্বিতীয় তালায় সোহেল ফ্যাশন নামে কয়েকটি কাপড়ের দোকান এবং মোটা অংকের টাকা বিনিয়োগ করেছেন মুকসুদপুর সদর খান প্লাজাতে ২য় তালায় ডান পাশে ক্লিনিকের ব্যবসায়।

২০১৬ সালে মিরপুরে ৮ হাজার টাকার বাসা ভাড়া নিয়ে থাকত এখন তার নিজের ফ্লাট, শশুর বাড়ি থেকে পেয়েছে আরো ২ টি ফ্লাট যা জোর করে নিয়েছে সে, বর্তমানে সে যে ফ্লাইটে থাকে তার চাঁদাবাজির টাকা দিয়ে কেনা এবং তার মূল্য প্রায় এক কোটি টাকা, বাসার ভেতরের ডেকোরেশনে খরচ করেছে ১ কোটি টাকা,২০২৩ সালের ট্রেক্স ফাইলে এই ফ্লাট টির মূল্য দেখিয়েছে অনেক কম, তার নির্দিষ্ট কোন ব্যবসা ট্যাক্স ফাইলে তিনি দেখাননি তাহলে এত টাকা এত সম্পত্তির মালিক হলো কিভাবে বর্তমানে তার আছে ১৪টি লেগুনা এবং একটি মোটর বাইক এগুলো তার ট্যাক্স উল্লেখ্য করেননি।

স্থানীয় লেগুনার গাড়ির মালিকগন বলেন বছরখানেক আগেও মিরপুর স্টাফ কোয়ার্টারে ৮ হাজার টাকার
বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতো সেলিম, ২০১৭ সালে সেলিমের ছিলো দুটি গাড়ি ঢাকা মেট্রো ছ ১১-৩৭৮৫, ঢাকা ছ ১১-০৩৫৯ গাড়ি দিয়ে শুরু করেন তার চাঁদাবাজির যাত্রা মাসখানিকের মধ্যে গাড়ি হয়ে যায় ছয়টি বর্তমানে আছে ১৪ টি গাড়ি, ১২ টি গাড়ি কিনেছে আমাদের কাছ থেকে জোরপূর্বক চাঁদ নিয়ে, মিরপুর ডাইমেনশন ব্যানারে চলে ১৩০ টি গাড়ি প্রতিটি গাড়ি থেকে বারোশো টাকা করে চাঁদা দিতে হয় সেলিম কে, যা মাসে দাঁড়ায় ৪৬ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা, যদি কেউ চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানায় তাহলে প্রশাসনের সাহায্যে গাড়িগুলো ডাম্পিংয়ে পাঠিয়ে দেয় এবং গাড়ি রাস্তায় চলতে দেওয়া হয় না। এতে তাকে সাহায্য করে তিনিটি থানা রূপনগর থানা/শাহাআলী থানা/দারুস সালাম থানা এবং বেশ কিছু টিআই ও সার্জেন্ট তারা প্রতি মাসে মোটা অংকের মাসোয়ারা নিয়ে থাকেন। ২০২৪ শে আগস্ট সরকার পতনের সাথে সাথেই তার যতগুলো গাড়ি ছিলো সবগুলো নিয়ে সে গা ঢাকা দিয়েছিল তার সঙ্গী সাথী ও কেউ ছিলনা কিছুদিন হলো আবার এসেছে তারা নতুন করে চাঁদাবাজি করতে।
সকল মালিকগণ ৮ বছর ধরে নির্যাতিত এবং নিপীড়িত এগুলোর পিছনে সকল ষড়যন্ত্রকারী এবং মাস্টারমাইন্ড হচ্ছে সেলিম,তিনি এক স্বর্গ রাজ্য গড়ে তুলেছিলেন যা এখনো তার নিয়ন্ত্রণে তার বাহিনী দিয়ে কোন ব্যক্তি চাঁদাবাজির ব্যাপারে কথা বললেই টাকার বিনিময় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে হয়রানিমূলক মামলা দিয়ে অনেক পরিবারকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে, ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে নিরীহ ছাত্রদের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এই সেলিম মিয়া যার প্রমাণ প্রত্যেকটি স্থানীয় মানুষের কাছে আছে,।

সেনাবাহিনীতে চাকরি করার সুবাদে বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে আর্মিদের দিয়ে ফোন করে ভয় দেখিয়ে যাচ্ছেন সাধারণ লেগুনা গাড়ির মালিকদের, এমনই দুইজনের তথ্য পাওয়া গেছে একজন হলেন সাভার বিরুলিয়া মান্নান আরেকজন মিরপুর রাসেল, মান্নানকে কল দিয়েছিলো ১০/৮/২০২৪ রাত ১১ টায় এবং রাসেলকে কল দিয়েছে সাভার ক্যান্টনমেন্ট থেকে সার্জেন্ট মামুন
01769093634 কল দিয়ে দেখা করতে বলেন এবং মিরপুর মাজার রোডের অস্থায়ী আর্মি ক্যাম থেকেও কল দেওয়া হয় রাসেলকে স্থানীয় বাসিন্দা হয়েও তিনি কিছু বলতে পারছেন না, তিনি আরো বলেন আমাদের নাম্বার তারা পেল কিভাবে আমরা তো সাধারণ মানুষ আমাদের আর্মি ক্যাম্পে ডাকার কি আছে এবং এই চাঁদাবাজ সেলিমের সাথে সমন্বয় করে চলতে বলছে আর্মি থেকেই। যেখানে বাংলার মানুষ নতুন স্বপ্ন বুনছেন সেখানে আজও সেলিম মিয়া চেষ্টা করে যাচ্ছেন মিরপুরের চাঁদাবাজির নিয়ন্ত্রণ রাখতে তাই আমরা মালিকগণ ডাইমনশন ব্যানার খুলে ফেলার পরও সেলিম তার সন্ত্রাসবাহিনীদের দিয়ে ডাইমনশন ব্যানার জোরপূর্বক প্রত্যেকটি গাড়িতে লাগিয়ে দিয়ে চাঁদা দাবি করছে।
আমরা মালিকগণ একক সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাদের গাড়ির ব্যবসা আমরা নিজেরা পরিচালনা করব এবং কোন ধরনের ব্যানারে আমরা থাকতে চাই না চাঁদাবাজীদের মিরপুরে কোন স্থান নেই সেলিম ও তার সন্ত্রাসী বাহিনাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে জোর দাবি জানাচ্ছি।

মিরপুরে লেগুলার চাঁদাবাজিতে যারা আছেন জাকির সিকদার যে কিছুদিন আগে এক অসহায় পরিবারের দুই ভাইয়ের নামে মামলা দিয়েছে দারুস সালাম থানায় সেলিমের কথায়, প্রতি মাসে জেলারের নাম বলে ১ হাজার টাকা গাড়ি প্রতি নিত জাকির। সুমন দেওয়ান,
সাগর সেলিমের বেতনভুক্ত ম্যানেজার যে
সমস্ত চাঁদার টাকা প্রতিদিন দুইবার করে বাসায় জমা দিয়ে আসে। আরো আছে শাহিন, আসাদ,রনি, ও মান্নান ২০২২ সালে চাঁদা তুলতে গিয়ে যাকে র‍্যাব হাতেনাতে ধরে দারুস সালাম থানায় সোপর্দ করে এই মান্নানকে যার মামলা এখনো চলমান। এগুলো সবাই বেতনভুক্ত কর্মচারী এগুলো সব কিছুর মাস্টারমাইন্ড সেলিম মিয়া,

বর্তমানে সেলিম মিয়া সালমান এফ রহমানের মত পাল্টে ফেলেছে তার ভোল ফেসবুকের প্রোফাইল পিকচার ও সমস্ত দলীয় ছবি পরিবর্তন করে সেজেছে দরবেশের সাজ বর্তমানে মিরপুরের গাড়ির চাঁদা নিয়ন্ত্রণ রাখতে ম্যানেজ করার চেষ্টা করছেন বিভিন্ন দলের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তাদের কাছে তিনি এখন নিজেকে ব্যবসায়ী বলে দাবি করেন অথচ ট্যাক্স ফাইলের ব্যবসায়ী কোন প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ্য করেননি, এবং ট্যাক্স ফাইলে ২০ ভরি স্বর্ণের কথা উল্লেখ্য করা আছে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেলিমের আত্মীয়-স্বজন জানান সে তো বিয়ে করেছে পালিয়ে আমরা যতটুক জানি, তেমন কোন বড় অনুষ্ঠানও হয়নি তাহলে এতো গুলো স্বর্ণ বিয়েতে গিফট পেল কিভাবে। ঢাকা, ফরিদপুর,ও গোপালগঞ্জ মিলে সম্পত্তি দেখিয়েছে দশ টিরও বেশি এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন সেলিমের বাবা বাজারে দুধ বিক্রি করতো আমি যতটুক জানি তেমন কোনো সহায়-সম্পত্তি ছিল না তাদের এত সম্পত্তি কিভাবে করেছে তা আমার জানা নেই।

লেগুনা চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আমরা গাড়ি রাস্তায় বের করলেই তাকে চাঁদা দিতে হয় চাঁদা না দিলে আমাদের উপরে নির্যাতন শুরু করে এবং পুলিশ দিয়ে গাড়ির ডাম্পিংয়ে পাঠিয়ে দেয় আমরা তো অসহায় আমরা কি করব।

ছাত্র সমাজ ও পরিবহন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, চাঁদাবাজি বন্ধ না হলে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো সম্ভব হবে না। এই চাঁদার টাকা জোগাড়ের জন্য চালকরা বেপরোয় গাড়ি চালায়। যে কারণে সড়কে বাড়ছে দুর্ঘটনা। আর গাড়ি চলার ক্ষেত্রে কমিশনিং সিস্টেম বন্ধ করতে হবে বলেও মত দেন তারা।

আওয়ামী দোসর পলাশ শিকদারের লাগাম টানবে কে?

স্টাফ রিপোর্টারঃ

শান্ত জনপদকে পুনঃরায় অশান্ত করার মিশনে নেমেছে আলোচিত সমালোচিত রাজউকের দূর্নীতিগ্রস্থ অথরাইজড অফিসার পলাশ শিকদার। দুর্নীতি আর ঘুষ বানিজ্যের মাধ্যমে অর্জিত টাকার জোরে সে নিজ পৈত্রিক নিবাস পিরোজপুরের নেসারাবাদ উপজেলার গুয়ারেখা ইউনিয়নকে সন্ত্রাসী জনপদে পরিনত করেছিল। জুলাই বিপ্লবে দেশের পট পরিবর্তনের ফলে তার সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী ছত্রভংগ হয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। নিজেও তার পর থেকে এলাকায় পা রাখেননি। এর পূর্বে বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে গত বছরের ১৩ জুন এক অফিস আদেশে তাকে জোন ২/১ থেকে বদলি করে প্রশাসন শাখার বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসাবে রাজউকের প্রধান কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়। অতি সম্প্রতি তাকে তার পূর্ব পদে পূনর্বহাল করা হয়েছে। এলাকা থেকে সদলবলে বিতাড়িত হয়ে সামাজিকভাবে বেকায়দায় পড়ে যায় ইন্জিনিয়ার পলাশ শিকদার।

কিছু দিন পূর্বে পিরোজপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল এবং নেছারাবাদ থানার পাটিকেলবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির একটি দল পলাশ বাহিনীর সদস্যদের গ্রেপ্তার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য পলাশের গ্রামের বাড়িতে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। একটি সূত্র জানায় পলাশ তার বাহিনীর পলাতক সদস্যদের নিয়ে নিয়মিত ঢাকায় মিটিং করে। অন্য একটি সূত্র জানায় পলাশ ও তার বাহিনীর সদস্যরা এলাকায় ফেরার জন্য স্বরুপকাঠী বিএনপির উপজেলা পর্যায়ের এক শীর্ষ নেতার সাথে দর কষাকষি চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে গুয়ারেখা ইউনিয়ন বিএনপি ও এর অংগ সংগঠনের একাধিক নেতাকর্মী জানান এটা নতুন কিছু নয়। অর্থের বিনিময়ে স্বরুপকাঠীতে আওয়ামী লীগ পূনর্বাসন প্রকল্প চলমান। অবৈধ অর্থ দিয়ে নীতিহীন নেতাদের ম্যানেজ করে পলাশ যে কোনো মুহূর্তে বিএনপি হয়ে যেতে পারে। কিন্তু পলাশ শিকদার ও তার বাহিনীর সদস্যদের এলাকায় আর সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করতে দেয়া হবে না।

অনুসন্ধান পরবর্তি বিস্তারিত আসছে…..

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
বিদেশ থেকে যতটুকু স্বর্ণ আমদানি করলে দিতে হবে না ভ্যাট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎতে যাচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব ফকরুল বাংলাদেশে ইতিহাস গড়ল উইন্ডিজ দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন রাজউক ইমারত পরিদর্শক শামীম রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে কে জিতবে, তা নিয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচেছ ট্রাম্প নাসার চন্দ্র মিশনে স্পেসএক্স জুলাই যোদ্ধা স্বীকৃতি পেতে নতুন করে দেড় হাজারের বেশি আবেদন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু প্রধান প্রকৌশলীর আস্থাভাজন ইএম ২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ সম্পদের পাহাড় জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি