সাবেক এমপি আফিল উদ্দিন যেন এক মাফিয়া

★সিনেমা স্টাইলে পিটিয়েছেন ওসিকেও
★শাসনামলে রাজনৈতিক খুন=৬৪
★চলামান নেই একটি মামলাও
আলী রেজা রাজু,:

যশোরের ১ আসনের সাবেক বহুল আলোচিত এমপি আফিল উদ্দিন টানা চতুর্থ মেয়াদে সংসদ সদস্য হিসাবে ছিলেন যশোরের শার্শায়,তিনি ছিলেন এক মাফিয়া।২০০১ সালে আ.লীগের মনোনয়ন নিয়ে শার্শায় রাজনীতেতে সরব হন,আফিল উদ্দিন।পরবর্তীতে পুনরায় ২০০৮ সালে আ.লীগের মনোনীত নৌকা প্রতিক নিয়ে সংসদ সদস্য হিসেবে জয়ী হন,এরপর নির্বাচনে গুলোতে খোদ আ.লীগ নেতাকর্মীদের অভিযোগ ছিল নির্বাচনের অনিয়ম নিয়ে! অপরাধ সম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণে স্থানীয়ভাবে তৈরি করেন,গ্রুপ -উপগ্রুপ। ২০০৮ পরবর্তী থেকে সে মরিয়া উঠে প্রভাব আর ত্রাসের রাজত্ব তৈরি করতে, স্থানীয় মানুষদের উপর অত্যচার নির্যাতনে বিএনপি”র ২০অধিক নেতাকর্মী খুন,ও তার বিরুদ্ধে খোদ আ.লীগের দ্বিগ্রুপ তৈরি হলে দলীয় কোন্দলে জড়িয়ে ৪১ জন আ.লীগের নেতাকর্মীকে খুনের সরাসরি মদদ দিয়েছেন আফিল উদ্দিন।
তার বিরুদ্ধে রয়েছে সোনা চোরাচালান,মাদক ব্যবসা,অস্ত্র ব্যবসা,জমি দখল,সরকারি নদী-নালা দখল,স্কুল-কলেজের নিয়োগ বাণিজ্য,সংখ্যা লষুদের নির্যাতন,তাদের সম্পদ লুন্ঠন,দেশ ত্যাগে বাধ্য করাসহ,নারী কেল্ককারী মত সব ভয়ংকর অভিযোগ। সব শেষ ঝিনাইদহের সাবেক সংসদ সদস্য আনার হত্যার সাথে জড়িত থাকার ও গুঞ্জন ছিল! আফিল উদ্দিনের বিরুদ্ধে মুখ ছিল দু:সাহস বটে।২০১০ সালের লক্ষণপুর ইউনিয়নের পারুইখুপি গ্রামে খুন হন, বিএনপি কর্মী হামিদ সেই খুনের মামলায় তার সমর্থিত আ.লীগের কর্মীদের নামে এজাহার ভুক্ত করলে তৎকালীন শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)এনামুল হক,উপ-পরিদর্শক আসাদসহ ৬ পুলিশ সদস্যকে বেধড়ক মারপিট করেন।সব মিলিয়ে তামিল সিনেমার স্টাইলে ত্রাসের রাজত্ব করেছিলেন আফিল উদ্দিন। তার প্রভাবে খুনের একটি মামলাও চলমান নেই।বাদীদের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে মামলা পরিচালনা করা থেকে দূরে সরিয়ে রাখা,জোর পূর্বক আপোষ করানো হয়।মাফিয়া আফিল উদ্দিন যখন শার্শায় এসেছিলেন তখন তার শার্শার মাটিতে ১ কাটা জমি ছিল না,পরবর্তীতে শার্শায় তৈরি করেছেন বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানসহ হাজার বিঘা সম্পত্তি।ইতিমধ্যে দুদক তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চালাচ্ছে।

রাজধানীর নিউমার্কেটে অগ্নিকাণ্ড, কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ২৮টি ইউনিট

অনলাইন ডেস্কঃ

রাজধানীর নিউ মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের সূচনা হয়েছে। এরইমধ্যে আগুণ নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ২৮টি ইউনিট। এরইমধ্যে উদ্ধারকাজে যোগ দিয়েছে সেনাবাহিনী। ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন করা হয়েছে ১০ ইউনিট বিজিবি। সেখানকার ব্যবসায়ী, পুলিশ সদস্য, ফায়ার সার্ভিসকর্মী, বিজিবি ও সাধারণ মানুষ সবার সম্মিলিত চেষ্টায় এখন আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, শনিবার (১৫ এপ্রিল) ভোরে ৫টা ৪০ মিনিটে নিউমার্কেটের ৩য় তলা থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত বলে জানা গেছে। তবে কীভাবে এ আগুনের সূত্রপাত হলো বা এখন পর্যন্ত কেউ হতাহত হয়েছে কী না বা ক্ষয়ক্ষতি এখন পর্যন্ত কী পরিমাণ এসবের বিস্তারিত এখনও জানা যায়নি বলে জানিয়েছেন সেখানে অগ্নি নির্বাপনের দায়িত্বে থাকা ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা।

ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, আগুনের পরিসর বেশ বড়। এ সময় বেশ অনেকগুলো দোকান জ্বলতে দেখা গেছে। বেশ কয়েকজন দোকানিকে দেখা গেছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সাথে মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন। এখনও অক্ষত থাকা কিছু দোকান থেকে নিজেদের মালামাল বের করে নিতে দেখা গেছে কিছু ব্যবসায়ীকে।

ক্ষতিগ্রস্থ একজন ব্যবসায়ী জানান, ঈদ উপলক্ষে অনেক টাকার মালামাল তুলছিলাম। এখন সেগুলা জ্বলতে দেখতেছি। আমার সব শেষ হয়ে গেলো।

সেখানে উপস্থিত বিজিবি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আমরা এখানে মূলত মানুষের ভিড় নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি। এছাড়া মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতেও কাজ করছি আমরা। কিছুক্ষণের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে আশা করছি।

বিস্তারিত আসছে…

সূত্রঃ যমুনা টিভি

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম