কদমতলী থানা এলাকায় ওয়ার্কসপে করতেন দেশিও অস্ত্র তৈরি

 

স্টাফ রিপোর্টারঃ

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫৯ নং ওয়ার্ডের কদমতলী থানা এলাকার পশ্চিম মোহাম্মদ বাগের নিজস্ব ওয়ার্কসপে তৈরি করতেন দেশিও অস্ত্র, যা সরবরাহ করতেন আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মীদের নিকট।
৫৯ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর আকাশ কুমার ভৌমিক এর দলীয় ক্যাডার হিসেবে এলাকায় নিজেকে বুক ফুলিয়ে পরিচয় দিয়ে মানিক ও জসিমের সহযোগীতায় গরে তোলেন এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব। দোকান পাট কল কারখানায় ওপেনলী করতেন চাঁদাবাজি,
আওয়ামী লীগের সরকারের পতনের আগেও জমিস ফকির বৈশম্যবিরোধী ছাত্র আন্দলন কারিদের প্রানে মাড়ার জন্য আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের নিকট দেশিও অস্ত্র নগদ অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন জসিম ফকির,
সরে জমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায় মোঃ জসিম ফকির ঢাকা দক্ষিন সিটি করপোরেশনের ৫৯ নং ওয়ার্ড কমিশনার আকাশ কুমার ভৌমিক এর অতি কাছের লোক হিসেবে আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে মোঃ জমিস ফকির নিজের আখের গোছাতে কমিশনারের কথা মতো দেশিও অস্ত্রের যোগান দিতেন তার নিজ ওয়ার্কসপ থেকে।
প্রশাসনের লোকজন তার ওয়ার্কসপে দেশি অস্ত্র তৈরি হবার কথা জানলেও অদৃশ্য ক্ষমতার কারনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন স্টেপ নেওয়া হতোনা।
জসিম ফকিরের ব্যাপারে পশ্চিম মোহাম্মদ বাগের এলাকা বাসির কাছ থেকে এরাকোন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে, তারা আরো বলেন জমিসম ফকির আওয়ামী লীগের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে এলাকায় অস্ত্র তৈরি মানুষের কাছ থেকে চাঁদাবাজি ছিলো তার ওপেন সিক্রেট।
এলাকার চিহ্নিত অপরাধ জগৎ এর কিং জসিম ফকির এলাকার মানুষদের জিম্মি করে কামিয়েছেন প্রায় ১০ কোটি টাকা।
যা দেখে যে কোন ব্যক্তির চোখ কপালে উঠবে।
এ বিষয়ে জসিম ফকিরের মুঠোফোনে কল দিলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

ভবন নির্মাণে অনিয়মই যেন নিয়মে পরিনত হয়েছে,রাজউক চোখ থাকিতে অন্ধ

তাছলিমা তমাঃ-

রাজধানীর দক্ষিণখান থানাধীন পুরাকোর মৌজার গাওয়ার তেঁতুলতলা ইয়াসিন রোডে রাসেল ক্ষমতার অপব্যবহার করে একটি বহুতল ভবন নির্মাণ করছে। রাজউক থেকে সাড়ে তিন কাঠা জমিতে বহুতল ভবন নির্মাণের অনুমতি নেন।

যা রাজউকের নিয়ম মেনেই করার কথা। কিন্তু রাসেল প্রবাসী ভাইয়ের ক্ষমতা বলে রাজউকের আইন অমান্য করে নিজের ইচ্ছে মত তৈরি করছেন বহুতল ভবন।
৪০% জায়গা ছাড় দিয়ে ভবন নির্মাণ করার আইন থাকলেও,
তিনি তার ধারে কাছে না গিয়ে ২ তলা পর্যন্ত ভবন নির্মাণ করেছেন।
ভবন নির্মাণের সময় রাজউকের বিদ্যমান ইমারত নির্মাণ আইন তথা বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন অ্যাড ১৯৫২টাউন ইমপেমেন্ট অ্যষ্ট-১৯৫৩ ও ঢাকা মহানগর ইমারত (নির্মাণ উন্নয়ন সংরক্ষণ ও অপসারণ) বিধিমালা ২০০৮ বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোট ২০২০/সংশোধনী ইমারত নির্মাণ ২০০৮ এর বিধিমালা সু-স্পষ্ট ভাবে লংঘন করে ভবন টি ২ তালার ছাদের কাজ শেষ করে ৩ তালার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ভবন রাসেল গং।
যা ইমারত নির্মাণ আইন ও বিধিমালা সু-স্পষ্ঠ ভাবে লংঘন।

জায়গা অনুপাতে প্রতি তলায় সেটব্যাক সহ প্রায় ২৫২০ স্কয়ার ফিট এর অনুমতি থাকলেও ভবন মালিক প্রতি তলায় প্রায় ২৩০০ স্কয়ার ফিট করে ভবনটির ২ তলা পর্যন্ত কাজ সম্পন্ন করেছে। এতে করে ভবনটির প্রতি তলায় প্রায় ৪৪০ স্কয়ার ফিট বর্ধিত করা হয়েছে। সরো জমিনে গিয়ে দেখা যায়,ভবন নির্মাণে তথ্যসম্বলিত সাইনবোর্ড ও সেফটি নেট ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক থাকলেও তিনি তা ব্যবহার করছেন না।
ভবন নির্মাণে অনিয়মের বিষয়ে ভবন মালিক রাসেলকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন
আমি ২ তলার কাজ শেষ করে ৩ তালার কাজ চলমান রেখেছি, এখানে তুই কোন সাংবাদিক যে তোকে আমার তথ্য দিতে হবে এমন আরো অকথ্য ভাষায় কথা বলে তথ্য না দিয়ে হুমকি দিতে থাকে সাংবাদিকে বলে যে তোর বিরুদ্ধে মামলা করব কেন তথ্যের জন্য আমার বিল্ডিংয়ে এসেছো। রাজউকের সাথে যোগশাযোগ না থাকলে কি আমি ২ তালা পর্যন্ত ভবন নির্মাণ সম্পন্ন করতে পারতাম।
অন্য দিকে জোনাল ইন্সপেক্টর জানায় আমি তাকে ফোন দিয়েছিলাম নকশা নিয়ে রাজউকে আসার জন্য তিনি আমার সাথে অশোভনীয় আচরণ করেন, এমনকি আমাকে তার বিল্ডিংয়ে যেতে বলেন আমি সাথে সাথে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আদেশ নিয়ে সরেজমিনে গেলে সে নকশা দেখাতে ব্যর্থ হয় এরপর আমি তার কাজ বন্ধ করে দিয়ে আসলেও আবার শুনতে পারলাম সে এখন কাজ চলমান রেখেছে। তবে রাজউকের মোবাইল কোড চলমান আছে, যেকোনো সময় উক্ত ভবনে মোবাইল কোড পরিচালনা করা হবে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম