সেনাবাহিনীকে দুই মাসের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা

স্টাফ রিপোর্টার:

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমিশন পাওয়া কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রেষণ-২ শাখা থেকে সিনিয়র সহকারী সচিব জেতী প্রু স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা পাওয়া সেনা কর্মকর্তারা ফৌজদারি কার্যবিধির ১৮৯৮ এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫ (২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারা প্রয়োগ করতে পারবেন।

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন) অর্থাৎ প্রশাসন ক্যাডারের সদস্যগণ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিযুক্ত হন। এই কর্মকর্তাগণ নিজ অধিক্ষেত্রে ব্যাপক প্রশাসনিক ক্ষমতা ও সীমিত বিচারিক ক্ষমতার অধিকারী।

একই রকমের দায়িত্ব পাওয়ায় কমিশন পাওয়া সেনা কর্মকর্তারাও দুই মাসের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের মতো ক্ষমতার অধিকারী হলেন।

 

 

ঢাকায় পৌঁছেছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব

স্টাফ রিপোর্টার: 

বাংলাদেশ ও ভারতের চলমান উত্তেজনার মধ্যেই আজ দু’দেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এতে অংশ নিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি।

সকালে ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি বিশেষ ফ্লাইটে তিনি ঢাকায় পৌঁছান।

জানা গেছে, বেলা ১১টার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অনুষ্ঠেয় বৈঠকে উভয়পক্ষ রাজনৈতিক দূরত্ব কমানোর বিষয়ে জোর দেবে। এ ছাড়া ঢাকার পক্ষ থেকে ভারতে বসে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ, ভারতীয় গণমাধ্যমের বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচার প্রতিরোধ এবং ভিসার জট খোলার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে।

একইসঙ্গে দিল্লি সম্পর্ক স্বাভাবিক করে তোলার পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের স্বার্থ এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আর্জি জানাতে পারে।

খসড়া সূচি অনুযায়ী, বিক্রম মিশ্রি পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনার আগে একান্তে বৈঠক করবেন। এরপর সচিব পর্যায়ের বৈঠকে অংশগ্রহণ শেষে যোগ দেবেন মধ্যাহ্নভোজে। পরে তিনি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে রাতেই ঢাকা ছেড়ে যাবেন।

এদিকে, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যে এই সফরকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা। তাদের ধারণা, এই সফর ঘিরে ঢাকা-দিল্লির সম্পর্কের বরফ গলতে পারে। এমন ইঙ্গিত মিলেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলমের কথাতেও।

সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বিক্রম মিশ্রির সফরের মাধ্যমে চলমান অস্থিরতার নিরসন হবে, এমনটা আশা করছি। আমরা চাইব ভারতের সঙ্গে সম্পর্কটা আরও ভালো জায়গায় যাক। যেন দুই দেশের মানুষই এর সুফল ভোগ করে। একই সঙ্গে চাচ্ছি ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কটা ন্যায্যতা, সমতা ও মর্যাদাপূর্ণ হবে। সেদিকেই আমাদের ফোকাস থাকবে।

প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এটিই দুই দেশের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রথম বৈঠক।

 

সবা:স:জু-২৪৮/২৪

 

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম