তারাকান্দায় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ

হুমায়ুন কবির,স্টাফ রিপুর্টার: ময়মনসিংহের তারাকান্দায় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা,পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সোমবার উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনা সভা তারাকান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড.ফজলুল হক,ভাইস চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম নয়ন,উপজেলা সহকারি কমিশনার(ভূমি) জিনাত শহীদ পিংকী,তারাকান্দা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রদিপ কুমার চক্রবর্ত্তী রনু ঠাকুর,তারাকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল খায়ের প্রমূখ।অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা একাডিমিক সুপারভাইজার সুধন কুমার বিশ্বাস।

আলোচনা সভা শেষে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ (১৯৭১ সনে) ঢাকা রেসকোর্স ময়দানে তারাকান্দার ৩ কৃতি সন্তান উপস্থিত থাকায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়েছে। সম্মাননা স্মারক গ্রহন করেন তারাকান্দার কৃতি সন্তান বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড.ফজলুল হক, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রদিপ কুমার চক্রবর্ত্তী রনু ঠাকুর,বীর মুক্তিযোদ্ধা এস.এম ফেরদৌস।

কার ইশারায় বহাল তবিয়তে ফায়ার সার্ভিসের দুর্নীতিবাজ এডি আনোয়ার!

# আমরা সব সময় দুর্নীতির মধ্যেই থাকি, এসব না খুঁজে অন্য কোন কাজ করেন- এডি আনোয়ার:

# মুঠোফোনে বক্তব্য জানতে চাইলে চরম অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন প্রতিবেদকের সঙ্গে:

বিশেষ প্রতিবেদক:

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের (ওয়্যারহাউজ ও ফায়ার প্রিভেনশন) সহকারী পরিচালক মোঃ আনোয়ার হোসেনের ঘুষ বাণিজ্য ও অনিয়মের রথ দিনকে দিন যেন লাগামহীন হয়ে উঠেছে। অধীনস্থ সহ বহুতল বিল্ডিং এর মালিকরা তার হাতে জিম্মি। আনোয়ার হোসেনের টেবিলে চলে কোটি কোটি টাকার ঘুষ বাণিজ্য। দীর্ঘদিন ধরে একই চেয়ার আঁকড়ে আসেন তিনি মাঝখানে বদলি হলেও কর্তৃপক্ষকে ভেলকি দেখিয়ে আবারো ফিরে শুরু করেছেন তার দুর্নীতির রাজত্ব করা ওয়ারহাউজের একই টেবিলে।

রাজধানী ঢাকার বহুতল ভবন বিল্ডিং নির্মাণের জন্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ছাড়পত্রের প্রয়োজন বিধিতে থাকলেও এডি আনোয়ার এর পক্ষ থেকে মানা হচ্ছে না তার কানাকড়িও। যেকোনো বিল্ডিং সাত তলার উপরে করতে হলে তাদের প্রত্যেকেরই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের অনুমোদন অর্থাৎ ছাড়পত্র বাধ্যতামূলক নিতে হবে। আর এই ছাড়পত্র প্রদানের দায়িত্বে রয়েছে মোঃ আনোয়ার হোসেন, সহকারী পরিচালক ওয়্যারহাউস ও ফায়ার প্রিভেনশন।

অভিযোগ রয়েছে যেসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করেন তাদের প্রত্যেকেই মোঃ আনোয়ার হোসেনকে ২/৩ লক্ষ টাকা ঘুষ প্রদান করতে হয়। ঘুষের টাকা দেয়া না হলে মাসের পর মাস ঘুরতে হয় ছাড়পত্র পাওয়ার জন্য, তারপরও মেলেনা কাঙ্খিত ছাড়পত্র। অন্যদিকে সেফটি প্লান বিদ্যমান ভবনের সেফটি প্ল্যান বাবদ ৩ থেকে ৫ লক্ষ টাকা ঘুষ নেন এই মোঃ আনোয়ার হোসেন। কাঙ্খিত ঘুস প্রদান না করা হলে ফাইল আটকে রেখে ওইসব ভবন মালিকদের কে এক প্রকারে জিমি রাখা হয়।

সম্প্রতি আনোয়ারের ঘোষ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে বেশ কিছু ভুক্তভোগী প্রতিবেদকের কাছে তাদের বক্তব্যে এমন ভয়াবহ তথ্য প্রকাশ করেন। ভুক্তভোগীদের মধ্যে একজন বাড়ির মালিক জানান, এটি আনোয়ার ফায়ার সার্ভিসের সেবা নিতে আসা প্রত্যেকের সাথেই চরম বাজে ব্যবহার করে থাকেন।

অন্য আরেকটি সুত্র জানায়, সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেনের বিশ্বস্ত ৩৩ টি কনসালটেন্সি ফার্ম এর মাধ্যমে এই ঘুষের টাকা নেয়া হয়। তার ব্যক্তিগত ও ঘনিষ্ঠজনদের এইসব ফার্মের বাইরে কাউকে কোন প্রকার কাজ দেয়া হয় না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক কনসালটেন্সি ফার্ম এর কর্মকর্তারা বলেন, কোন উপায় নেই এই কর্মকর্তাকে টাকা না দিলে কোন কাজই হবে না আপনি যত চেষ্টাই করেন না কেন। বাধ্য হয়েই আমাদেরকে এই টাকা মোঃ আনোয়ার হোসেনকে খুশি করতে দিতে হয়। এই কর্মকর্তা নিজেই মাঠে পরিদর্শনে বেরিয়ে যান। যদিও এর আগে কোন পরিচালক এভাবে পরিদর্শনে যাননি বা যাওয়ার কোন নজির নেই । ভাবটা এমন যে তিনি কাজের বিষয়ে বেশ সিরিয়াস। আসলে ওইসব কাজে যে ঘুষ নেওয়া হয়েছে সেটি কম হয়েছে কিনা তা দেখার জন্যই মাঠে যান। এতে বিরক্ত অনেক কনসালটেন্সি ফার্ম। ফায়ার রিপোর্ট বাবদ শতকরা ৫ টাকা কমিশন ছাড়া কোন রিপোর্ট প্রদান করেন না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ও ফায়ার সার্ভিস ও ডিফেন্স অধিদপ্তরের কর্মচারীগণ তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ।

ভুক্তভোগী সেবা প্রার্থী ও কর্মচারীদের সূত্র জানায়, মোঃ আনোয়ার হোসেন একজন সিনিয়র সহকারী পরিচালক হওয়ার পরও সিনিয়র ও জুনিয়র কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রায়ই অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এই গালিগালাজ থেকে বাদ যায় না অধীনস্থ কেউ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক কর্মচারী বলেন, চাকরি করতে এসেছি মা-বাবা ভাই-বোনকে গালি শোনাতে নয়। অন্যায় করলে আমাকে বলা হোক কিন্তু এভাবে মা-বাবা তুলে কেন গালাগালি করবে। উপরোক্ত বিষয় ফায়ার সার্ভিস ও ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ভুক্তভোগী সেবা প্রার্থী ও জুনিয়ার কর্মচারীগণ।

মোঃ আনোয়ার হোসেন দীর্ঘদিন এই পথে থেকে কোটি কোটি টাকা অনিয়মের মাধ্যমে বলেছেন সম্পদের পাহাড়। পরিবারের লোকজনের নামে করেছেন সম্পদ ও নগদ অর্থ।

এসব অভিযোগের বিষয়ে এডি আনোয়ার হোসেনের মুঠোফোন 017 12….58 নাম্বারে যোগাযোগ করা হয়, তার বিরুদ্ধে এসব দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ সম্পর্কে মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সব সময় দুর্নীতির মধ্যে থাকি। এসব না খুঁজে ভালো কাজ করেন। এসময় প্রতিবেদকের সাথে চরম অশালীন ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন এবং ফোন কেটে দেন।

আনোয়ার হোসেনের দুর্নীতি অনিয়মের বিস্তারিত চিত্রসহ তুলে ধরা হবে আগামী পর্বে….

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম