
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বিগত ৫ আগস্ট রাজধানীর উত্তরায় গুলি করে আলমগীর হোসেনকে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,শেখ রেহানাসহ ২৮৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। উক্ত মামলায় নির্দেশদাতা হিসেবে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে এজাহারনামীয় ৬নাম্বার আসামি করা হয়েছে মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনের লক্ষ্যে শেখ হাসিনাসহ অন্য আসামিদের নির্দেশে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে আলমগীর হোসেন মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। উত্তরা পশ্চিম থানাধীন আজমপুর সাউথইস্ট ব্যাংকের সামনে ঘটনাস্থলেই শহীদ হন তিনি।।গত ৬ অক্টোবর রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় নিহতের মা মোসা. আলেয়া বাদী হয়ে এ মামলা করেন। একটি নির্ভর যোগ্য মাধ্যম মামলার এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আর এ খবর প্রচারিত হওয়ার সাথে সাথে তার নিজ নির্বাচনী এলাকায় আনন্দের জোয়ার বইতে শুরু করেছে, এমনকি এলাকায় মিষ্টি বিতরন করার খবর পাওয়া গেছে। পট পরিবর্তনের পর আওয়ামী লীগ ও তাদের জোটের সমস্ত দায়িত্বশীল নেতাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হলেও অদৃশ্য ও রহস্যময় কারনে তার নামে কোন মামলা হচ্ছিল না। আর এই সুযোগে চুন্নু ও তার সহযোগীরা এলাকায় প্রচার করতে থাকে যে,বিএনপির সাথে জাতীয় পার্টি জোট করে আগামী নির্বাচনে অংশ গ্রহন করবে এবং এই আসন থেকে চুন্নু জোটের নমিনেশান পাবে। এতে করে বিগত সময়ে চুন্নু ও তার বাহিনী দ্বারা নির্যাতিত মানুষের মাঝে এক রকম হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তার নিজ এলাকার অনেকেই তাকে ফ্যাসিস্ট হাসিনার একান্ত অনুগত ও পদলেহন কারী হিসেবে উল্লেখ করেন। সে বিগত সরকারের পুরোটা সময় গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পদে থেকে সমস্ত সুযোগ সুবিধা গ্রহন করেছে এবং অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছে। মাঝে মাঝে সে সরকারের সমালোচনা করে সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জনের চেষ্টা করেছে যা পরিস্কার ভণ্ডামি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার গ্রামের একজন সে যে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তার সঠিক অনুসন্ধান ও বিচারের দাবি জানিয়েছেন।