গুলশান বনানী স্পা মাদক সহ গডফাদার কে এই শহীদ?  খুঁটির জোর কোথায়!

স্টাফ রিপোর্টার:

গুলশান বনানীতে স্পার আড়ালে দেহব্যবসার প্রবণতা ক্রমাগত ভাবে বেড়ে চলেছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তাঁরা বলছেন প্রতিনিয়ত এসব প্রতিষ্ঠানে অসামাজিক কার্যকলাপ ঘটলেও নির্মূলে পুলিশের নজরদারি একেবারে নেই বললেই চলে।গত কয়েক মাস ধরে এতোটাই উন্মুক্ত ভাবে এসব ব্যবসা নামক প্রতিষ্ঠানগুলোতে অশ্লীল কার্যক্রম চলছে তা বলার মতো নয় ।

ছেলে মেয়েদের হাতে স্মাট ফোন তুলে দিয়ে আরো বিপাকে পড়েছি আমরা পিতামাতারা এসব ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন ইঙ্গিত দিয়ে যে ভাবে তাদের প্রচারণা করছে তাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ব্যবহার করা অনিরাপদ হয়ে পড়েছে।এই সমস্ত কার্যকলাপ পরিচালিত প্রতিষ্ঠান ও জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নির্মূলকারী সংস্থার কাছে লিখিত অভিযোগ করেও কোন লাভ হচ্ছে না।যেহেতু আমরা এখানকার বাসিন্দা নিরাপত্তা জনিত কারণে নিজেরা সরাসরি অভিযোগ না করলেও বিভিন্ন ভাবে সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রতিকারের লক্ষে অভিযোগ করানো হয় কিন্তু কোন সুফল পাওয়া যাচ্ছে না।

যেমন এই রকম ব্যবসা পরিচালিত হয় এমন কিছু প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা ও জড়িত ব্যক্তিদের নাম উল্লেখ করে গত কয়েক মাস পূর্বে একটি সাংবাদিক সংগঠন ও কয়েক জন গণমাধ্যম কর্মী এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধের দাবি জানিয়ে গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার বরাবর! আলাদা ব্যক্তিরা দরখাস্ত করেন। অনেকে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে অভিযোগ করলেও প্রতিষ্ঠানগুলো আরো বেপরোয়া ভাবে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

যে সকল অবৈধ স্পা প্রতিষ্ঠানগুলো মূল নায়ক এবং খলনায়ক হিসেবে পরিচালিত অপ্রতিরোধ্য ভাবে তাদের অশ্লীল উম্মাদনা চালিয়ে যাচ্ছে তার ভিতরে এক নম্বরে খলনায়ক শহিদ।
বনানী কবরস্থান ২৭ নং রোডের ৩৭ নং বাড়ির ৫ম তলায় দীর্ঘদিন যাবৎ অসামাজিক কার্যকলাপ চলছে। বিভিন্ন ঝুটঝামেলায়া পড়ে মালিকানা পরিবর্তন হয় ব্যবসা কার্যক্রম থামেনা প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে শহীদ নামে এক বহুরূপী ব্যক্তি পরিচালনা করছে।
শহীদ শুধু ইস্পা ব্যবহার করেন নাই অপরাধ জগতের গডফাদার। শহীদ কখনো পরিচয় দিয়ে থাকেন আমি সাংবাদিক আমাকে চেনো আমি অনেক কিছু করতে পারি। সাইনবোর্ড ব্যবহার করে একের পর এক অপকর্ম করেই যাচ্ছেন। কখনো ইয়াবা কখনো গাজা মাদক সহকারে অপরাধ জগতের গডফাদার।

স্পার আড়ালে অনৈতিক কর্মকাণ্ড ও নিরাপদ মাদক সেবনের অন্যতম অভয়ারণ্য হিসেবে পরিণত হচ্ছে এসব সেন্টারগুলো। মানবপাচার আইনের একাধিক মামলায় জর্জরিত হয়ে ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়া ব্যক্তিরা আবারো তাদের আগড়া গড়ে তুলতে শুরু করেছে।

গুলশান এলাকায় যে ভাবে স্পা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হচ্ছে তাতে মনে হয় অসামাজিক কার্যকলাপ বৈধতার স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছে ‌।মূল কথা হচ্ছে আইন বহির্ভূত এমন কর্মকাণ্ড নির্মূল করা যাদের উপর ন্যাস্ত করা হয়েছে তারাই হয়তো চায় না এগুলো নির্মূল হোক।

বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে এসব নিষিদ্ধ কার্যক্রম নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হলে আগে যাও তারা একটু লোকদেখানো ধড়পাকড় করতো কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে তার কোন চিহ্ন আর চোখে পড়ে না। দায়িত্ব এখন বখড়াবাজির গ্রাসে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে।

আবার সমাজে গণমাধ্যমের প্রয়োজনীয়তা নিষ্কিয় করতে অবৈধ ব্যবসায়ীদের কাতারে যোগ দিয়েছে এক শ্রেনীর গণমাধ্যম নামধারী দালাল চক্রের কতিপয় সদস্যরা তার ভিতরে শহীদের নাম বারবার উঠে আসছে। শহীদের সাথে বিভিন্ন ধরনের কিছু অপসংবাদিকতা ব্যবহার করে দিন রাত যাপন করছে ! এখানে এমন একটি তথ্য হাতে এসেছে। অসামাজিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে বস্তনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে অবিচল সংবাদ কর্মীদের থামানোর জন্য নানা ভাবে অর্থ প্রলোভনে ফেলছে তারা। তাদের প্রস্তাবে রাজি না হলে চলে বিপাকে ফেলার অভিনব কৌশল।এই দালাল চক্রের সদস্যরা এসব ব্যবসায়ীদের নানা রকম চটকদার আশ্বাস দিয়ে তাদের রক্ষাকবজ হয়ে পাশে থাকার আস্থা অর্জনে তৎপরতা শুরু করেছে।

নিজেদের ছত্রছায়ায় স্পা ব্যবসা রয়েছে চক্রের এমন সদস্যরা অত্যন্ত সূ-কৌশলী পন্থা অবলম্বন করে কিছু পুলিশ সদস্যদের সাথে ভিন্ন বিষয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎতের নামে পরিকল্পিত উদ্দেশ্য নিয়ে ছবি তুলে তা স্পা ব্যবসায় জড়িতদের কাছে উপস্থাপন করে তাদের কর্তৃত্ব বাড়ানোর অপচেষ্টায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে একটি বিশ্বাসযোগ্য সুত্র জানিয়েছে। কখনো কোন গণমাধ্যম তাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করবে না বলে সাপোর্ট দেওয়ার নামে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে ও অন্যান্য ব্যবসায়ীদের একই আশ্বাস দিয়ে তাদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা যায়।

চক্রের সদস্যরা নামসর্বস্ব গণমাধ্যমের কার্ড ব্যবহার করা দালাল চক্রের সদস্যদের নিয়ে সংগঠন করার পাঁয়তারা করছে। তাদের মূল উদ্দেশ্য অবৈধ কার্যকলাপ সংগঠিত হয় এমন প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ন্ত্রণের নামে কৌশলে অর্থ হাতিয়ে নেওয়াই একমাত্র লক্ষ্য। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।

বেশি বাড়াবাড়ি করলে সাংবাদিক ফিরোজ’কে ধর্ষণের মামলা দিবো-মাছ সাদ্দাম

 

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি।

সাংবাদিক ফিরোজ’কে ধর্ষণ মামলায় ফাঁসানোর হুমকি সাংবাদিক সংগঠনের উদ্বেগ
চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সংবাদপ্রকাশের জের ধরে সাংবাদিক ফিরোজ’কে ধর্ষন মামলায় ফাঁসানো হুমকি মাছ সাদ্দামের।
বন্দরনগরী চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকার শেরশাহ্ বাংলাবাজারের চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে স্থানীয় পত্রিকা “দৈনিক চট্টগ্রামের পাতার সহ-সম্পাদক মোঃ ফিরোজ খান” কে মিথ্যা ধর্ষণ মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকির অভিযোগ উঠেছে সাদ্দাম ওরফে “মাছ সাদ্দাম” এর বিরুদ্ধে। যার একটি অডিও রেকর্ড ছড়িয়ে পরেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

গুরুত্বপূর্ণ লিংকরোডের রাস্তা দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ শেরশাহ্ বাংলাবাজারের চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ঢালাওভাবে সংবাদ প্রকাশ হলে অবৈধ বাজারটির সিন্ডিকেটের মূল হোতা চাঁদাবাজ ও কিশোর গ্যাং লিডার সাদ্দাম ওরফে “মাছ সাদ্দাম” এর নেতৃত্বে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধেই মানববন্ধন করেন বাজারটির চাঁদা উত্তোলনকারী সংগঠনের সদস্যরা।

সংবাদগুলো দ্বায়িত্ব প্রাপ্তদের নজরে আসায় সড়কটিতে যানচলাচলের উপযোগী করতে থানা পুলিশের সহযোগিতায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভ্রাম্যমান ম্যাজিস্ট্রেট বাজারটি উচ্ছেদ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পত্রিকার প্রতিবেদনকারী সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক ও বিরূপ মন্তব্য করতে থাকে চাঁদাবাজরা। এতে স্থানীয় সাংবাদিক ফিরোজ খান’কে ইঙ্গিত করে কয়েকদিন আগে “বেশি বাড়াবাড়ি করলে ধর্ষণ মামলায় দিবো” বলে চাঁদাবাজ সাদ্দাম ওরফে “মাছ সাদ্দাম ” এর পক্ষ থেকে হুমকি প্রদান করা হয়।
পরবর্তীতে নিজের নিরাপত্তায় সেই চাঁদাবাজ ও কিশোর গ্যাং লিডার সাদ্দামের বিরুদ্ধে গত ২৬ ডিসেম্বর রাতে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন সাংবাদিক ফিরোজ খান। যার জিডি নং – ১৮০৩।

সাংবাদিক ফিরোজ খান বলেন, বাংলাবাজারের চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় অনেক আগে থেকেই আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এর আগে চাঁদাবাজরা সকলে একত্রিত হয়ে আমাকে ফাঁসানোর জন্য একটি মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা করেছে।
এই বাংলাবাজারের চলমান অপকর্মের বিষয়ে আবারো সাংবাদপত্রে আলোচনা শুরু হলে চাঁদাবাজরা আমাকে টার্গেট করে আবারো মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো পাঁয়তারা শুরু করেছে। প্রকাশ্যে আমাকে ধর্ষন মামলায় ফাঁসানো হবে বলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমি ইতিমধ্যে থানায় নিজের নিরাপত্তার জন্য সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছি।

এ বিষয়ে চাঁদাবাজ ও কিশোর গ্যাং লিডার সাদ্দাম এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মুঠোফোনে কিছু বলতে চাননি। প্রতিবেদকে সরাসরি দেখা করার জন্য বলেন তিনি।

বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস জাহান এবিষয়ে দ্রুত তদন্তের জন্য একজনকে দ্বায়িত্ব দিয়েছেন বলে তদন্ত পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা হবে বলে জানান।

এদিকে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে স্থানীয় পত্রিকা “দৈনিক চট্টগ্রামের পাতার সহ-সম্পাদক মোঃ ফিরোজ খান” কে মিথ্যা ধর্ষণ মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার প্রকাশ্যে হুমকির বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটি, বঙ্গবন্ধু সাংবাদিক সোসাইটিসহ সাংবাদিক সংগঠন সমূহ। চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে সরাসরি মিথ্যা ধর্ষণ মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার প্রকাশ্যে হুমকিটি সাংবাদিকতা পেশার উপরই হুমকি বলে মন্তব্য করেন সাংবাদিক নেতারা। তারা বলেন, প্রশাসন কি ব্যবস্থা নেয় তা নজরে রেখে প্রয়োজনপ আমাদের কর্মসূচি পালন করবো।
তথ্যমতে, বাংলাবাজার থেকে চাঁদা উত্তোলনসহ নানান অপরাধ অপকর্মে সরাসরি সম্প্রিক্ততার কারনে সাদ্সামের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। বাংলাবাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী কল্যান সমবায় সমিতি সমিতির আড়ালে পুরো সড়ক দখল করে বসানো হয়েছে ভ্যান গাড়ির ভাসমান অবৈধ বাজার। আর এ অবৈধ ভাসমান বাজার থেকে মাসে চাঁদা তোলা হয় সাড়ে চার লাখ টাকা। প্রতিটি ভ্যান বসানোর শুরুতে নেয়া হয় পাঁচ থেকে ১০ হাজার টাকা। এছাড়া ভ্যানে সংযোগ দেয়া বিদ্যুতের বাল্বপ্রতি দৈনিক বিল নেয়া হয় ২০ টাকা। বাজারে ৫ শতাধিক বাল্ব রয়েছে। সেই হিসাবে মাসে ৩ লক্ষাধিক টাকার চাঁদা তোলা হয় বিদ্যুৎ খাতে। যার সাথে প্রত্যেক্ষও পরোক্ষভাবে জড়িত চাঁদাবাজ ও কিশোর গ্যাং লিডার সাদ্দাম ওরপে মাছ সাদ্দাম।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের বিদেশ যেতে না পারায় মাইক ভাড়া করে এলাকাবাসিকে গালিগালাজ করলেন কিশোরগঞ্জের যুবক জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কুমিল্লায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পালিয়েছেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন ঢাকা এলজিইডিতে দুর্নীতির একচ্ছত্র অধিপতি বাচ্চু মিয়া বিমান বন্দরের সামনে এখোনো উৎসুক জনতার ভীড় নেভেনি আগুন