অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হলে বিএনপির কিছু করার নেই: রুমিন ফারহানা

স্টাফ রিপোর্টার॥

বিএনপিসহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পরিস্কার বলেছেন- অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের গণমানুষের সরকার, এই সরকারকে কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না। তবে সরকার যদি নিজেই নিজেকে ব্যর্থ করে, তাহলে বিএনপির কিছু করার নেই।

এসময় তিনি বলেন, একটি গণতান্ত্রিক দেশ সবচেয়ে বেশি নিরাপদ থাকে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে। সেকারণে বিএনপি বারবার সরকারকে অনুরোধ করেছে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যেই পরিবেশ ও সংস্কার দরকার- সেটি করার জন্য।

শনিবার (০৯ নভেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সারকারখানার এমপ্লয়িজ ক্লাবে আয়োজিত এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
রুমিন ফারহানা বলেন, মানুষ যদি ভোট দিতে পারে এবং একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ যদি এই সরকার তৈরি করতে পারে তাহলে বিএনপি ২৫০টির বেশি আসন নিয়ে সরকার গঠন করবে। নতুন তরুণ নেতৃত্ব দিয়ে আমরা আমাদের সংসদ সাজাবো নতুন করে। কোনো দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ, কোনো অর্থপাচারকারী- কেউ এবার সংসদে যাবে না। এবারের সংসদ হবে গণমানুষের। এই সংসদে সাধারণ মানুষের কথা উচ্চারিত হবে।

রুমিন ফারহানা আরও বলেন, শেখ হাসিনার অত্যাচার মানুষ ১৪ বছর সহ্য করেছে। এরপর যখন ফুঁসে উঠেছে মানুষ, তখন দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। এখন পাশের দেশে বসে বসে বাংলাদেশে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করে। কিন্তু যতই ষড়যন্ত্র করেন- আর কিছুই করতে পারবেন না। বাংলাদেশের মানুষ অনেক সচেতন। তারা নেতা নির্বাচনে ভুল করে না।

আশুগঞ্জ সারকারখানা এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সভাপতি বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবু কাউসার ও আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান প্রমুখ।

সবা:স:জু-৭৪ /২৪

টাকা দিলেই হুবহু নকল পদক পাবেন, বাটপার আর কে রিপন এর প্রতারণার গল্প

স্টাফ রিপোর্টার:

সমাজে সৎ ও সম্মানিত মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন অত্যন্ত জরুরি। আমরা যারা প্রকৃত সম্মান প্রাপ্ত, তাদের অবমূল্যায়ন করে কোনো সমাজের উন্নতি সম্ভব নয়। দুঃখজনক হলেও, বর্তমানে কিছু অসৎ ব্যক্তি এই সুযোগ দান করে নকল পদক বা পুরস্কার বিক্রি করছেন, যা আসল সম্মানের মর্যাদাকে হেয় করে। কোন কাজ ছাড়াই ২/৩ হাজার টাকার বিনিময়ে এই পদক পাওয়া সম্ভব। সেরকমই একজন পদক বিক্রেতা আর কে রিপন। তার বিরুদ্ধে শুধু পদক বাণিজ্যের অভিযোগই নয়, বরং নকল পদক দেয়ার অভিযোগও রয়েছে। এছাড়াও আর কে রিপন দেহ ব্যবসা, মাদক বাণিজ্য, মানব পাচারের মতো ঘৃণিত কাজের সাথে জড়িত বলে জানা যায়।

আর কে রিপন এর জন্ম বরগুনা জেলায়। তিনি মো: হারুন মোল্লা ও সেলিনা বেগম এর সন্তান। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় তার কোন মনযোগ ছিল বলে এলাকাবাসী জানান। মারামারি ও ভয়ংকর সব কিশোর অপরাধে যুক্ত থাকায় পড়াশোনায় বেশিদূর এগোতে পারে নেই সে। তারপর গ্রামে টিকতে না পেরে চলে আসে ঢাকা শহরে। প্রতারণাকেই জীবিকার পেশা হিসেবে বেঁছে নেন তিনি। বড় বড় সংগঠনের সাথে নামের ২/১ টি শব্দের পরিবর্তন করে তৈরি করে নিজের মনগড়া হাজারো প্রতিষ্ঠান। সরকারি অনুমোদন তো দূরের কথা, তার অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স পর্যন্ত নেই। জনপ্রিয় সংগঠনের সাথে নিজের মনগড়া সংগঠনের নামের মিল রেখে দাওয়াত দেন দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিবর্গদের। ব্যস্ততার এই দুনিয়ায়, সেসব লোকেরাও কোনকিছু যাচাই-বাছাই ছাড়াই উপস্থিত হয়ে যায় সেসব অনুষ্ঠানে। আর তাতেই জমে উঠে এই প্রতারনার ব্যবসা। ১০০ টি এওয়ার্ড বিক্রি করলোই লাভ হয় ২/৩ লাখ টাকা। সংবাদপত্রগুলোকে ঘোলা জল খাইয়ে যাচ্ছে এই আর কে রিপন। প্রধান অতিথির চেহেরা বিক্রি করে নিয়ে নেন মিডিয়া কভারেজ।

পুলিশ-প্রশাসন ও আমাদের অনুসন্ধান দল একযোগে কাজ করছে ভুয়া, প্রতারক আর কে রিপন বিরুদ্ধে প্রমান খোঁজার। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু অভিযোগের সত্যতার প্রমান প্রশাসন ও আমাদের হাতে এসে পৌঁছেছে। একজন আর কে রিপন কে ধরতে পারলেই বাকি সব প্রতারক অনায়াসে শায়েস্তা হয়ে যাবে বলে বিশ্বাস করি আমরা।

সমাজ বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ ধরনের বাদপার আয়োজকদের জন্য দিনকে দিন কমে যাচ্ছে এওয়ার্ড এর মান। টাকার বিনিময়ে এরা যাকে তাকে সমাজসেবক বানিয়ে দিচ্ছে। সরকার শক্তহাতে এদের দমন না করলে অদূর ভবিষ্যতে সম্মানিত ব্যক্তিরা পেছনের সারিতে পড়ে যাবে আর সমাজে অন্ধকার ছড়িয়ে পড়বে।

এই ধরনের প্রতারণা শুধু অর্থনৈতিক ক্ষতি নয়, বরং এটি সমাজে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। মানুষের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাস হারিয়ে যায়, এবং প্রকৃত মানুষের সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়। আমাদের উচিত সচেতন হওয়া এবং এই ধরনের প্রতারণা প্রতিরোধে একসাথে কাজ করা, যেন সম্মান ও সঠিকতা বজায় থাকে। সমাজের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে, এবং আমরা এই প্রতারণার বিরুদ্ধে একসাথে লড়াই করব। প্রতারকের চক্রান্ত আমাদের সমাজকে কলুষিত করতে পারে না। আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, যে এমন অসৎ কর্মকাণ্ডের মুখোমুখি হলে আমরা তা উদঘাটন করব এবং প্রতিকার করব। এই প্রতারকের বিরুদ্ধে আরও তদন্ত চলছে, এবং আমরা নিশ্চিত যে, সত্যের জয় হবেই। আসুন, আমরা সকলে মিলে একটি ন্যায়পরায়ণ সমাজ গড়ে তুলি, যেখানে প্রতারক ও অসৎ ব্যক্তির স্থান নেই।

চলবে…..

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
বিদেশ থেকে যতটুকু স্বর্ণ আমদানি করলে দিতে হবে না ভ্যাট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎতে যাচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব ফকরুল বাংলাদেশে ইতিহাস গড়ল উইন্ডিজ দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন রাজউক ইমারত পরিদর্শক শামীম রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে কে জিতবে, তা নিয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচেছ ট্রাম্প নাসার চন্দ্র মিশনে স্পেসএক্স জুলাই যোদ্ধা স্বীকৃতি পেতে নতুন করে দেড় হাজারের বেশি আবেদন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু প্রধান প্রকৌশলীর আস্থাভাজন ইএম ২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ সম্পদের পাহাড় জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি