হামলা ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে

আলী রেজা রাজু:

সাভার উপজেলার তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের চান্দলিয়া গ্রামে সনাতন ধর্মাবলম্বী সংখ্যালঘু পরিবারের উপরে স্থানীয় বিএনপির নেতারা মারধরের করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা যায়,তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের স্থানীয় বিএনপি নেতা মুরাদ হোসেন ও তার সহযোগী আমির হোসেন, শাওন নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ২/৩ জনের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

এ ঘটনায়(১১ নভেম্বর) রাতে সাভার মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে ভূক্তভোগী মা চন্দনা রানী ঘোষ । অভিযোগ দায়ের করার পর থেকেই হিন্দু ধর্মাবলি সংখ্যালঘু পরিবার ও তার আশপাশের বাড়ির লোকজনদের হিন্দু ধর্মাবলি সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদে সাহায্য করার কারণে বিএনপি নেতা মুরাদ নানা রকম গালাগালি ও জানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছে।

ভূক্তভোগী মা চন্দনা রানী ঘোষ জানান, আমার ছেলে শয়ন চান্দলিয়া রাস্তায় ঘুরতে বের হইলে হঠাৎ বিএনপির নেতা মুরাদ ও তার লোকজন আমার ছেলের পথ আটকাইয়া আমার ছেলেকে মারধর করিয়া জোরপূর্বক চান্দলিয়া রফিকের দোকানের পিছনে নিয়া যায়। মুরাদের লোকজন আমার ছেলের হাত, পা বেধে লোহার রড ও লাঠি সোটা দিয়া এলোপাতাড়ী পিটাইয়া শরীরের বিভিন্নস্থানে নীলাফোলা জখম করে। একপর্যায়ে ভুক্তভোগীর ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন আসলে মুরাদের লোকজন তাকে ছেড়ে দেয়। এলাকাবাসী ভূক্তভোগী শয়ন কে উদ্ধার করে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা ভর্তি করা হয়।

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল মিঞা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগেরষ হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কুমিল্লায় বৈষম্যবিরোধী নেত্রীর পদত্যাগ

কুমিল্লায় বৈষম্যবিরোধী নেত্রীর পদত্যাগ

কুমিল্লা সংবাদদাতা:

জুলাই মাসের আলোচিত গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক এবং মুরাদনগর উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র খাদিজা আক্তার কেয়া পদত্যাগ করেছেন শনিবার (২৬ জুলাই) বিকেলে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে এক আবেগঘন পোস্টের মাধ্যমে তিনি এই ঘোষণা দেন। খাদিজা আক্তার কেয়া কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার উত্তর ত্রিশ গ্রামের বাসিন্দা এবং মৃত কবির হোসেনের মেয়ে। তিনি বর্তমানে কোম্পানিগঞ্জ বদিউল আলম ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

নিজের পোস্টে কেয়া লেখেন, যার জন্য করলাম চুরি, সেই বলে চোর! এটা আমার ক্ষেত্রেই যে প্রযোজ্য হবে না, কে বললো? আপনারা সবাই জানেন আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন দায়িত্বশীল কর্মী ছিলাম। কিন্তু আজকের পর থেকে এই আন্দোলনের সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তিনি আরও বলেন, আমরা একটি গণ-অভ্যুত্থানের পর একটি প্লাটফর্মে এসেছিলাম মুরাদনগর থেকে। সেই অভ্যুত্থানে আমাদের হাজারো ভাই-বোন শহীদ হয়েছেন। আমি তাদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করতে পারি না। তাই আমি নিজেই এসব কিছু থেকে সরে দাঁড়ালাম। আজ থেকে এই প্লাটফর্মের সঙ্গে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা থাকবে না।

কেয়া তার বক্তব্যে স্পষ্ট করেন, তিনি কোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তি কেন্দ্রিক রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন না। তবে দেশের স্বার্থে ও সংস্কারের পক্ষে তিনি সবসময় সংগ্রামে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তিনি লেখেন, “দেশের স্বার্থে আমি সবসময় লড়াই করে যাবো। আমাকে সবসময় দেশের পক্ষে পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ। কেয়ার এই পদত্যাগে ছাত্র আন্দোলনের ভেতরে এক ধরনের আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এ বিষয়ে আন্দোলনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাননি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম