প্রথমবারের মতো এফডিসিতে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা

স্টাফ রিপোর্টার: 

চলতি বছরের ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নির্বাচন। নির্বাচন ঘিরে এফডিসিতে আসা-যাওয়া বেড়েছে নির্মাতাদের। এর মাঝেই হঠাৎ এফডিসিতে হাজির হয়ে চমকে দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। এবারই প্রথম এফডিসিতে গেলেন তিনি।

রোববার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির (বাচসাস) সঙ্গে মত বিনিময় করে পরিচালক সমিতি। দুই পক্ষের উপস্থিতিতে এ দিন বেশ আনন্দঘন হয়ে ওঠে এফডিসির পরিবেশ।

তাদের বিদায়ের পরপরই এফডিসির স্টাডি রুম (পরিচালক সমিতি) প্রাঙ্গণে উপস্থিত হন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। এ সময় সমিতির অভ্যন্তরে তাকে স্বাগত জানান পরিচালক সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমন।

এ বিষয়ে উপমহাসচিব কবিরুল ইসলাম রানা বলেন, তথ্য উপদেষ্টা মহোদয় আসবেন এমন কোনো খবর আমাদের কাছে ছিল না। হঠাৎ করেই এফডিসি ভিজিটে আসেন তিনি। আমাদের মধ্যে হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা হয়েছে। প্রায় বিশ মিনিটের মতো এফডিসিতে ছিলেন। এ সময় আমাদের কথাগুলো মনোযোগ সহকারে শুনেছেন তিন। একপর্যায়ে চলচ্চিত্র উন্নয়নে তার কিছু পদক্ষেপের সার-সংক্ষেপ আমাদের সামনে তুলে ধরেন।

তিনি আরও বলেন, খুব শিগগিরই চলচ্চিত্রের উন্নয়নে বর্তমান সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলো নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের সঙ্গে বসবেন বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা।

এর আগে, গত ১৩ অক্টোবর এই মন্ত্রণালয়ের ‘চলচ্চিত্র সার্চ কমিটি’র আহ্বায়ক আল আমিন রাকিব তনয়ের সঙ্গে এফডিসিতে অবস্থানরত নবগঠিত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন ফোরামের সঙ্গে আলোচনা হয়।

এ দিন আলোচনায় সরকারের নেওয়া চলচ্চিত্র এবং এফডিসির সংস্কারে কিছু পদক্ষেপ নিয়ে শিগগিরই সকলের সঙ্গে বসবেন বলে আশ্বস্ত করেছিলেন তনয়। ওই বৈঠকের প্রায় দুই মাস পর গতকাল এফডিসিতে আন অফিসিয়াল সফর করেন।

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টার এই সফরকে গুরুত্বপূর্ণ আখ্যা দিয়ে পরিচালক সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমন বলেন, সংক্ষিপ্ত হলেও আমাদের মাঝে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। ভীষণ আন্তরিক তিনি। আমাদের থেকেও চলচ্চিত্র উন্নয়নে মতামত চেয়েছেন। আমরা চেষ্টা করব আমাদের মতামতগুলো দ্রুত উপদেষ্টার সামনে তুলে ধরতে।

 

সবা:স:জু-২৬৪/২৪

 

 

কুমিল্লার অবৈধ ব্রিজ অপসারণের সময় প্রশাসনের সাথে দফায় দফায় সংর্ঘষ। সাংবাদিকের বাড়ীতে হামলা

বিপ্লব নিয়োগী তন্ময়, নবীনগর ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:

মাছরাঙা টিভিসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের পর অবশেষে কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার সীমান্ত এলাকা মুরাদনগরে অদের খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছে প্রশাসন। এ সময় অদের খালের উপর ব্যক্তিগত উদ্যোগে নির্মিত একটি অবৈধ ব্রীজকে ভেঙে দিয়েছে মুরাদনগর উপজেলা প্রশাসন।
কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার জনগুরুত্বপূর্ণ নদী অদের খালে নৌ-রুট বিঘ্নিত করে ব্যক্তিগত উদ্যোগে নির্মিত একটি অবৈধ ব্রীজকে অপসারণের লক্ষ্যে বুধবার বিকেলে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করতে যায় মুরাদনগর উপজেলা প্রশাসন। এসময় উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি নাসরিন সুলতানা নিপা, আকুবপুর ইউপি চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লাল শিমুলসহ বাংগরাবাজার থানা পুলিশের কয়েকজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে অবৈধ ব্রীজটি উচ্ছেদ করতে গেলে ব্রিজটির নির্মাণকারীরা মারমুখী হয়ে উঠে। স্থানীয়রা জানায়, সুমন বাবু, জয়নাল, বাছির, জাহাঙ্গীরসহ বেশকিছু লোক দলবলে এসে হামলা চালায় এবং মরিচেরগুড়া মিশ্রিত পানি ও ইটপাটকেল কাঁচের বোতল নিক্ষেপ করতে থাকে। এ সময় পুলিশের সাথে কয়েক দফায় ধাওয়া পল্টা ধাওয়া চালে। তাদের ছোঁড়া মরিচের গুড়া মিশ্রিত পানি ও ইটপাটকেল স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লাল শিমুল সহ কয়েকজনের গায়ে আঘাত লাগে। এসময় মাছরাঙা টিভির কুমিল্লা প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম ইমরুলসহ কয়েকজনকে বেশ কিছুক্ষন অবরুদ্ধ করে রাখে তারা। পরে ইন্সপেক্ট অমর চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে বাংগরা বাজার থানা পুলিশের আরেকটি টিম এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
অবশেষে অনেক নাটকীয়তা শেষে অতিরিক্ত পুলিশ এনে বুধবার রাতে ব্রিজটিকে অপসারণ করা হয়। রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত উদ্দিন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত উদ্দিন বলেন, অবৈধ ব্রিজটি অপসারণই ছিলো আমাদের মূল টার্গেট। তাই, প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও ধৈর্যের সাথে মোকাবিলা করে কাজটি সম্পন্ন করা হয়েছে। এরপরও বারবার আইন অমান্য করতে থাকলে প্রত্যেককেই আইনের আওতায় আনা হবে।
উল্লেখ্য যে, কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার জনগুরুত্বপূর্ণ নদী অদের খালে পার্শ্ববর্তী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের আশ্রাফপুর গ্রামের সুমন বাবু, এরশাদ, আজাদ, রফিক, আতাউর সহ কয়েকজন মিলে ব্যক্তিগত উদ্যোগে নদীর রাজাবাড়ী অংশে একটি ব্রিজ নির্মাণ করে। এতে নদীতে নৌ-চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ব্রিজটি অপসারন সহ নদীটির নাব্যতা পূনরুদ্ধারে দাবী জানায় সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ঐতিহ্য কুমিল্লা। এদিকে নদী ও প্রকৃতি বিষয়ক সংগঠন তরী বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অদের খালের রাজাবাড়ী অংশে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়।
এনিয়ে গত ২৮ এপ্রিল মাছরাঙা টেলিভিশনসহ বেশকিছু গণমাধ্যমে সচিত্র প্রতিবেদন প্রচার হলে বিষয়টি নজরে আসে কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের। জেলা প্রশাসক খন্দকার মুহম্মদ মুশফিকুর রহমান এবং জেলা প্রশাসনের রাজস্ব বিভাগের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কাবিরুল ইসলাম খান দীর্ঘ তদন্ত শেষে ব্রিজটি অপসারণের নির্দেশ দেন।
এদিকে এ ঘটনার পর থেকে নবীনগরের আশ্রাফপুরের সুমন বাবু, বাছির, জয়নাল ও রাজাবাড়ীর কাইয়ুমসহ একদল সন্ত্রাসী নদী পাড় হয়ে এসে মুরাদনগরের রাজাবাড়ীতে সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম ইমরুলের বাড়ীতে এবং সাংবাদিক রাশেদ, জাকির, জাবেদ ও জিহাদের উপর কয়েক দফায় হামলা চালিয়ে আহত করে। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিলো।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম