ব্রাজিলের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্রেপ্তার

সবুজ বাংলাদেশ ডেস্ক: 

অভ্যুত্থান চেষ্টা তদন্তে হস্তক্ষেপের অভিযোগে ব্রাজিলের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল ওয়াল্টার বারগা নেত্তোকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রোববার আলজাজিরা জানায়, অভ্যুত্থান চেষ্টা নিয়ে প্রমাণ সংগ্রহে বাধা দেওয়ার অভিযোগে শনিবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আলেকজান্দ্রে দে মোরেস জানান, তদন্তকারীরা কথিত অভ্যুত্থান ষড়যন্ত্রে নেত্তোর সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়ায় গ্রেপ্তারের আদেশ দেওয়া হয়। অবশ্য নেত্তো এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। গত মাসেই জেনারেল নেত্তো, বলসোনারোসহ আরও ৩৫ জনকে পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত করা হয়।

অভিযোগ রয়েছে, দক্ষিণ আমেরিকার দেশটিতে ২০২২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর ফলাফল সাবেক প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারোর পক্ষে বদলে দেওয়ার উদ্দেশ্যে অভ্যুত্থানের চেষ্টা করা হয়। এ নিয়েই তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

২০২০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বলসোনারোর চিফ অফ স্টাফ এবং ২০২১ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন নেত্তো।

 

সবা:স:জু- ৩৪৭/২৪

মুখে ভারতীয় পণ্য বয়কট, অথচ ভারতেই বাংলাদেশি পর্যটকের হিড়িক

মোঃ হাসানুজ্জামান:

বলা হয়ে থাকে, ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষ কিছুটা গাদ্দার। বিশেষ করে বাংলাদেশ সহ আশেপাশের বাঙালিদের এই তালিকাটা বেশ দীর্ঘ। পলাশীর যুদ্ধই আমাদের সে-কথা মনে করিয়ে দেয়।
আচ্ছা আমরা বাংলাদেশের বাঙালি হিসেবে কতোটা উচ্চ শ্রেণির ? সম্প্রতি ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাকের বিষয়েই তা বিবেচনা করা যাক। কারণ কথিত দেশপ্রেমীদের ফেইসবুকে ভারত বিরোধী প্রচারণার আচঁ কি আদৌ ভারতে স্পর্শ করেছে ? না, মোটেই তা ভারতকে প্রভাবিত করেনি। বরং পবিত্র ঈদ উল ফিতর ও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ভারতীয় পণ্য কেনায় রীতিমতো ধুম পড়ে গিয়েছিল। এমনকি লম্বা ছুটিতে ভারতের দর্শনীয় স্থানে ছিলো বাংলাদেশের পর্যটকদের হিড়িক। আর রমজানেও বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে বিএসএফ চালিয়েছে গুলি। তাহলে বলুন- বাংলাদেশী হিসেবে আমরা গর্বিত নাকি লজ্জিত ?

পর্যবেক্ষণ কি বলছে ?
সম্প্রতি পবিত্র ঈদ উল ফিতর, বৈশাখ ও শপিং নিয়ে খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করা হয়। ঈদ ও বৈশাখের কেনা-কাটা চলেছে পুরোদমে। যদি সহজ বাংলায় বলি তাহলে সরকার বিরোধী পক্ষগুলো ‘ভারতীয় পণ্য বর্জনের’ আহ্বানের কতটুকু প্রভাব পড়েছে তা দেখতে রাজধানীর শপিংমল, সুপার শপ গুলোতে ঘুরে ঘুরে দেখার ইচ্ছা হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশকে উদ্ধার করে ফেলা এই জাতির কেনাকাটার যে গতি দৃষ্টিগোচর হয়েছে, তাতে মনে হয়েছে জনগন এই ‘বর্জন’ আন্দোলনে মোটেই সাড়া দেয়নি। শুধু পোষাকপরিচ্ছদেই নয়, নিত্যপণ্যের বেলায়ও চিত্র একই। বিশেষ করে কোনো প্রসাধনী সামগ্রী ক্রয়ে বাঙালি ভারতীয় পণ্যকেই ব্রান্ড হিসেবে গ্রহণ করতে চেয়েছে বেশি। অথচ দেশি পণ্যের প্রতি এখনো অনীহা।

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন ও পরবর্তী…
বাজারের চিত্র বলছে- জাতীয় নির্বাচন বর্জনের পর ‘ভারতীয়পণ্য বর্জনে’র ডাক স্পষ্টত:ই খুব বেশি হালে পানি পায়নি। নির্বাচনে অংশ না নেয়া সিদ্ধান্ত সঠিক ছিলো কিনা সেটা ইতিহাসের সমীক্ষা ও বাংলাদেশের নীতিনির্ধারকেরা সিদ্ধান্ত নিবেন। ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক বাস্তব সম্মত ছিলো কিনা সেটা ক্ষমতাসীনদের বিরোধী পক্ষ এখন হারে হারে টের পাচ্ছে। দিনকে দিন এ জাতিকে সবাই আরো ভালভাবে চিনবে ও জানবে। কারণ গাদ্দার শব্দটা ভুলে গেলে চলবে না।

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কঃ
ভারত বাংলাদেশের বন্ধু না শত্রু এ নিয়ে অহেতুক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে এদেশের জনগণই। সীমান্ত হত্যা, আমদানি, রপ্তানি নীতি, ক্রিকেট খেলার সময় বৈরিতা সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে মতানৈক্য, বাড়ছে অন্তর্দ্বন্দ্ব। তবে সে প্রভাব কি সরকারি ও বিরোধী দলগুলোকে প্রভাবিত করে ? মোটেই না। কারণ রাজনৈতিক দলগুলো সবসময় তাদের সুবিধা নিয়ে ব্যস্ত।

ইতিহাস সত্য-মিথ্যা, পক্ষ-বিপক্ষ, আপাতদৃষ্টিতে সত্য, মনের বৈরিতা সবকিছুই পরম যত্নে আগলে রাখে। তবে আবহাওয়ার কারণে তা চাইলেও অনেক সময় প্রকাশ করা যায় না। আবার দেশের স্বার্থে অনেক কিছুই এড়িয়ে চলতে হয়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধসহ নানা সংকটে প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারত পাশে দাড়িয়েছে। জাতীয় নির্বাচনে ভারত সরকার আওয়ামী লীগের প্রতি দুর্বল ছিলো অথবা বিরোধী-দলের প্রতি বৈরী ছিলো এ নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে। কিন্তু ভারতীয়পণ্য বর্জনের আহ্বানের মধ্য দিয়ে সরকার বিরোধী শিবির কি বার্তা দিতে চেয়েছে? এই বর্জন কর্মসূচী কতটুকু জনস্বার্থে, কতটুকু নিছক ভারত বিরোধিতা- সে বিষয়টি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে বিবেচিত হয়েছে বলে মনে হয়নি। অবশ্য এবিষয়ে রয়েছে ভিন্নমতও।

বাজার বাস্তবতাঃ
উপরে ফিটফাট ভেতরে সদরঘাট এই জাতির জন্য ভারতীয় পণ্য বাংলাদেশের বাজারে না পাওয়া গেলে কোন দেশের পণ্য আমদানি করলে দেশবাসি সংকটাপন্ন হবে না সেটি বিরোধী পক্ষ থেকে স্পষ্ট করা হয়নি। ‘পণ্য বর্জনের’এই ঘোষণার পর সংগতকারণেই এই আশংকা তৈরী হয়েছিলো যে বাজার অস্থিতিশীল হবে। সুযোগ বুঝে কালোবাজারি বা অসাধূ ব্যবসায়ীরা কৃত্তিম সংকট সৃষ্টি করে সাধারন মানুষের পকেট কাটবে। বাজারে কোনসংকট ছিলো না, একথা বললে ভুল হবে। তবে একশ্রেণির অসাধু চক্র কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছিলো, কথাও অস্বীকার করার উপায় নেই। আর যদি বাস্তবতার কথা বলি, তাহলে দারিদ্র্যে জর্জরিত সাধারণ মানুষ এই “বর্জন” কর্মসূচীকে পুরোপুরি সমর্থন করতে পারেনি, কেউবা সমর্থন করতে চায়নি। তবে হ্যা, নিত্য পণ্যের বাজারে জনভোগান্তি ছিলো চরমে।

একটা বিষয় মনে রাখা প্রয়োজন। বাংলাদেশের বাজারে যেসব ভারতীয় পণ্য বিক্রি হয় সেগুলো ভারত সরকার উৎপাদন করে না। ভারতের কৃষকদের একটা বড় অংশ নিত্য পণ্য উৎপাদন করে। ‘বর্জন’ কর্মসূচী ভারতের ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে নাকি পণ্য উৎপাদনকারী কৃষক কুল বা শ্রমিক শ্রেণীর বিরুদ্ধে সেটা ভেবে দেখার অবকাশ অবশ্যই ছিলো।

নতুন বিতর্কের জন্মঃ
মূলত ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক ভারত বিরোধীতারই বহিঃপ্রকাশ। মুক্তিযুদ্ধ পূর্ববর্তী পাকিস্তান আমলে ভারত নামক জুজুর ভয় দেখিয়ে পাকিস্তানীরা এই অঞ্চলের মানুষকে ভারত বিরোধী করার সকল প্রয়াস চালিয়েছে। পাকিস্তানীদের আস্ফালন চূর্ণ করে বাংলাদেশের মানুষ মাতৃভূমিকে স্বাধীন করেছে। তাছাড়া ভারতীয় হিন্দুদেরকে মোক্ষম ঢাল বানাতে চাইলেও তা সম্ভব হয়নি। কারণ এ অঞ্চলের মানুষ ছিলো হুজুগে বাঙালি, আবেগী মুসলমান। আর নামে মুসলিম হলেও ক’জনই বা ইসলামকে আকঁড়ে ধরেছে ?

মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সাহায্য-সহযোগিতা নিয়ে এদেশের সাধারণ মানুষ পক্ষে-বিপক্ষে তর্ক করলেও স্মরণ অবশ্যই করে। বাংলাদেশকে শত্রু মুক্ত করতে হাজার হাজার ভারতীয় সৈন্য এ দেশের মাটিতে যুদ্ধ করে। মুক্তি বাহিনী আর মিত্র বাহিনীর সদস্যদের সর্বাত্নক চেষ্টায় দেখা মেলে লাল সবুজের পতাকা। অবশ্য মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে ভারতের নানা কর্মকান্ড নিয়ে রয়েছে নানা বিতর্ক। তবে সে বিতর্ক পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণের দাবি রাখে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
বিদেশ থেকে যতটুকু স্বর্ণ আমদানি করলে দিতে হবে না ভ্যাট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎতে যাচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব ফকরুল বাংলাদেশে ইতিহাস গড়ল উইন্ডিজ দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন রাজউক ইমারত পরিদর্শক শামীম রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে কে জিতবে, তা নিয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচেছ ট্রাম্প নাসার চন্দ্র মিশনে স্পেসএক্স জুলাই যোদ্ধা স্বীকৃতি পেতে নতুন করে দেড় হাজারের বেশি আবেদন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু প্রধান প্রকৌশলীর আস্থাভাজন ইএম ২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ সম্পদের পাহাড় জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি