
ডেস্ক রিপোর্ট:
উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ১১ জনের মরদেহ রাখা হয়েছে। সোমবার (২১ জুলাই) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) তথ্যমতে এখন পর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এরমধ্যে সিএমএইচ-ঢাকা থেকেই ১১ জনের মৃত্যুর তথ্য জানা গেছে। এছাড়া বার্ন ইনস্টিটিউটে ২, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ২, উত্তরার লুবনা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড কার্ডিয়াক সেন্টারে ২, উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে ১ জনসহ মোট ১৮ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছে আইএসপিআর।
এদিকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রি. জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল ১৯ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছেন। এরআগে, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ডা. সাইদুর রহমান ১৬ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছিলেন। তিনি আরও জানান, ৪৮ জনের মতো রোগী বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আছেন। এছাড়া দুর্ঘটনায় আহত ও দগ্ধদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিতে সরকার কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
আইএসপিআর জানায়, বিমানটি দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়ন করেছিল। কিছুক্ষণের মধ্যেই এটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। বিমানটির পাইলট ছিলেন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম সাগর। বিমানে তিনি একাই ছিলেন। তারও মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছে আইএসপিআর। ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি উদ্ধার অভিযানে পুলিশ, সেনাবাহিনী, নৌ বাহিনী, বিমান বাহিনী, বিজিবিসহ স্থানীয় জনতা এবং শিক্ষার্থী-অভিভাবকরাও যোগ দিয়েছেন।
ঢাকা: রাজধানীর উত্তরায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় ১৮ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ১৬৪ জন।
আহতদের মধ্যে এখন পর্যন্ত কোন হাসপাতালে কতজন ভর্তি রয়েছে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
সোমবার (২১ জুলাই) আইএসপিআর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিহতদের মধ্যে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ১১ জন, জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে দুজন, কুর্মিটোলা জেনারেল হসপিটালে দুজন, লুবনা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড কার্ডিয়াক সেন্টারে দুজন, উত্তরা আধুনিক হসপিটালে একজনের লাশ রয়েছে। আর আহতদের মধ্যে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ৭০ জন, উত্তরা আধুনিক হসপিটালে ৬০ জন, সিএমএইচে ১৪ জন, লুবনা জেনারেল হাসপাতালে ১১ জন, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল আটজন এবং উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে একজন চিকিৎসা নিচ্ছেন।