নারী পুলিশ সদস্যের মরদেহ ঝুলছিল

স্টাফ রিপোর্টার:

কুষ্টিয়া শহরের কমলাপুর থেকে রুবিনা খাতুন নামের এক পুলিশ কনস্টেবলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে দরজা ভেঙে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রুবিনা খাতুন কুষ্টিয়া আদালতের জিআরও অফিসের পুলিশ কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন।

তিনি মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর থানার রামনগর গ্রামের আব্দুল শেখের মেয়ে। একই উপজেলার রতনপুর গ্রামের বাসিন্দা আলাল শেখ (৩০) তার স্বামী। তারা কুষ্টিয়া শহরের কমলাপুর এলাকার আমজাদ হোসেনের বাসায় ভাড়ায় থাকতেন।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিহাবুর রহমান শিহাব বলেন, ‘রুবিনা কুষ্টিয়া আদালতে নারী কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন।

তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে সে আত্মহত্যা করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।’

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়া শহরের কমলাপুর এলাকার একটি বহুতল ভবনের তৃতীয় তলায় স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন পুলিশ সদস্য রুবিনা। ছেলে-মেয়েরা নানা বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ায় বুধবার ছুটির দিনে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই বাড়িতে ছিলেন। সারাদিন সহকর্মীরা রুবিনাকে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে না পেয়ে পাশের ফ্ল্যাটের পরিচিত এক প্রতিবেশীকে ব্যাপারটি জানায়। এরপর ওই প্রতিবেশীর স্ত্রী এসে রুবিনার স্বামীকে জানায়।

তখন স্বামী আলাল জানায়, শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় সকাল থেকে সে রাগ করে ঘরের দরজা বন্ধ করে আছে। সন্ধ্যায় এ ঘটনা জানার পর সহকর্মীরা এসে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে ফ্যানের সঙ্গে রুবিনাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটি উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

নিহতের স্বামী আলাল শেখ বলেন, ‘আমার স্ত্রী খুব রাগী মানুষ ছিল। একটু রাগ হলেই ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর করতো। আজকে সকালের দিকেও তার সঙ্গে আমার রাগারাগি হয়। এরপর সে ঘরের জিনিসপত্রও ভাঙচুর করে। পরে দুপুরের দিকে সে একটি কক্ষে ঢুকে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়। অনেকবার ডাকাডাকি ও মোবাইলে কল করলেও সে সাড়া দেয়নি। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘরের দরজা বন্ধ ছিল। এরপর সন্ধ্যার দিকে দরজা ভেঙে দেখা যায় তার মরদেহ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে। সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।’

সবা:স:জু- ৫১০/২৪

রাজধানীর চকবাজারে বাসা থেকে ব্যবসায়ীর হাত-পা বাধা মরদেহ উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার: 

রাজধানীর চকবাজারের একটি বাসা থেকে নজরুল ইসলাম (৪৬) নামে এক ব্যবসায়ীর হাত-পা বাধা ও গলায় কাপড় প্যাঁচানো মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে চকবাজার ইসলামবাগ আরএনডি রোডের ৬৬/১ নম্বর বাসার পঞ্চম তলার একটি রুম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য আজ বুধবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।

চকবাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জিল্লুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রাতে খবর পেয়ে ইসলামবাগের বাসা থেকে ওই ব্যক্তির মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ সময় ওই ব্যক্তির হাত-পা, মুখ বাধা ও গলায় কাপড় প্যাঁচানো অবস্থায় ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, ২ ডিসেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে যে কোনো সময় কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে। বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

নিহত নজরুল ইসলামের ছোট ভাই তৌহিদুল ইসলাম তাপস জানান, ইসলামবাগ মাদ্রাসা গলিতে তার ভাইয়ের নজরুল ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ ছাড়া শেয়ারে প্লাস্টিকের আরও একটি ব্যবসা রয়েছে। গত শুক্রবার স্ত্রী সুমি আক্তার, দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি নরসিংদীতে বেড়াতে যান। এরপর থেকে ওই বাসায় একাই ছিলেন নজরুল। সোমবার রাত দশটার দিকে তার ওয়ার্কশপ থেকে বের হয়েছিলেন। এরপর গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তাকে ফোন করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায় এবং তার বাসায় গিয়েও বাইরে থেকে তালাবদ্ধ দেখা যায়। পরে ঘটনাটি ফোনে গ্রামে থাকা তার ছেলে এবং স্ত্রীকে জানানো হয়।

তাপস আরও জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার ছেলে সুমিত ঢাকায় আসে। তার কাছে থাকা চাবি দিয়ে ঘরে ঢুকে একটি রুম থেকে বাবার এনআইডি কার্ড নিয়ে চকবাজার থানায় যান নিখোঁজের জিডি করতে। তবে পুলিশ জিডি নেয়নি। পরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে রাত দেড়টার দিকে বাসায় ফেরেন। বাসায় ঢোকার পর অন্য একটি রুমে গিয়ে দেখতে পায় বিছানার ওপর তার বাবা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। পরে খবর পেয়ে তাপসও ওই বাসায় গিয়ে দেখেন হাত-পা ও মুখ বাধা এবং পুরুষাঙ্গ কাটা অবস্থায় বিছানায় পরে আছে। পরে তারা থানায় খবর দেন।

তাপস জানান, ওই বাসার দারোয়ানকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, সোমবার রাত ১২টার দিকে নজরুল বাসায় ঢুকেছেন। মঙ্গলবার সকালেই তার গাজীপুরে যাওয়ার কথা ছিল। তবে তিনি তাকে আর পরে দেখেননি। এরপর বাসায় কে বা কারা ঢুকেছে তিনি কিছুই বলতে পারেন না।

সবা:স:জু-১৭৯/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম