কে এই শিমু, যার সঙ্গে বাগদান সারলেন সোহেল তাজ

বিনোদন ডেস্ক: 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে একটি ভিডিও। যেখানে দেখা যাচ্ছে, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ হাঁটু গেড়ে এক তরুণীর হাতে আংটি পরিয়ে দিচ্ছেন। এ সময় উপস্থিত সবাই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন।

জানা গেছে, ভাইরাল সেই ভিডিওটি ছিল সোহেল তাজের বাগদানের অনুষ্ঠানের। কনের নাম শেহনাজ পারভীন শিমু। ঠাকুরগাঁওয়ে বেড়ে উঠেছেন তিনি। কোচ হিসেবে কাজ করেছেন সেখানকার একটি রাগবি ক্লাবে।

এরপর ঢাকার বিভিন্ন ফিটনেস সেন্টারে ট্রেনার হিসেবে কাজ করেছেন শিমু। পাশাপাশি যুক্ত আছেন বাংলাদেশ রাগবি ফাউন্ডেশনের সঙ্গে। বর্তমানে সোহেল তাজের মালিকানাধীন ইনস্পায়ার ফিটনেসের ট্রেনার হিসেবে কাজ করছেন তিনি।

ধারণা করা হচ্ছে, সেখান থেকেই সোহেল তাজের সঙ্গে পরিচয় শিমুর। এরপর পরিণয়। সবশেষ গেল রোববার (২৯ ডিসেম্বর) শিমুর হাতে আংটি পরিয়ে দেন দেশের সাবেক এই স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।

নেটিজেনরা বলছেন, ফিটনেস নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসা সোহেল তাজের জীবনের সঙ্গে এই বিশেষ অধ্যায়ও জড়িয়ে গেল ইনস্পায়ার ফিটনেস সেন্টারের স্মৃতিতে।

যদিও বাগদান নিয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেননি সোহেল তাজ ও শিমুর কেউই। তবে দু’জনের শুভাকাঙ্খীরাই তাদেরকে শুভেচ্ছাবার্তায় ভাসাচ্ছেন। একইসঙ্গে আগামী দিনের জন্য মঙ্গল কামনা করেছেন।

উল্লেখ্য, সোহেল তাজ শহীদ তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে। তিনি ২০০১ সালের নির্বাচনে গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান।

২০০৮ সালে একই আসন থেকে আবারও সংসদ সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান সোহেল তাজ। একই বছরের ৩১ মে মন্ত্রিসভা থেকে ব্যক্তিগত কারণে তিনি পদত্যাগ করেন।

 

সবা:স:জু- ৫৯৫/২৫

ছাত্র-জনতার ওপর হামলা: আ.লীগের ৪০ নেতাকর্মী গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার: ছাত্র-জনতার ওপর হামলায় জড়িতদের ধরতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে গাজীপুরসহ সারা দেশে চলছে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’। এখন পর্যন্ত গাজীপুর থেকে আওয়ামী লীগের ৪০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছে গাজীপুর মহানগর পুলিশ (জিএমপি)।

গত শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে গাজীপুরে পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর নড়েচড়ে বসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ঘোষণা দেয় ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ অভিযানের। এরপর শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাত থেকেই সাড়াশি অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী। গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে টহল জোরদার করা হয়।

গাজীপুর জেলা প্রশাসকের অফিসের সামনে চেকপোস্ট বসিয়ে মোটরসাইকেলসহ সড়কে বিভিন্ন গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি চালান সেনা সদস্যরা।

ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ৪০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছেন গাজীপুরের পুলিশ সুপার চৌধুরী যাবের সাদেক।

শুক্রবার রাতে গাজীপুরের ধীরাশ্রমের দক্ষিণখানে পতিত স্বৈরাচারের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। এ সময় সমন্বয়কসহ ২৫-৩০ জন ছাত্র ও জনতাকে মোজাম্মেল হকের বাড়িতে ডেকে নেয়ার অভিযোগ ওঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।

আহতদের দাবি, কৌশলে তাদের বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করিয়ে মসজিদের মাইকে ‘ডাকাতি হচ্ছে’ ঘোষণা দিয়ে হামলা চালানো হয়। মুখে মাস্ক পরে, ধারালো অস্ত্র হাতে বেশ কয়েকজনকে মারধর করে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। এতে আহত হন অন্তত ২০ জন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে সেনাবাহিনী। আহতদের পাঠানো হয় গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।

এ ঘটনার পর ক্ষোভে ফুঁসছে ছাত্র-জনতা। জড়িতদের দ্রুত বিচার দাবিতে শনিবার সড়কে বিক্ষোভ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগকে দ্রুত নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি হামলাকারীদের ধরতে আলটিমেটাম দিয়েছেন তারা।

এদিকে শনিবার রাতে বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে ফিরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের সড়কে অবস্থান করছিলেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। হঠাৎ শহরের জোর পুকুরপাড়ের দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলে থেকে গুলি চালানো হয়। এতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী মোবাশ্বের হোসেন গুলিবিদ্ধ হন। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে আনা হয়।

ভুক্তভোগীর বন্ধু জানান, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এই গুলি ছুড়েছে। জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি তার।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম