নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে কাজ করছে সরকার

স্টাফ রিপোর্টারঃ

যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

তিনি বলেছেন, রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে একটা অনিশ্চয়তা চলে আসছে। শিগগিরই একটা রোডম্যাপ আসবে। যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে সরকার কাজ করছে।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরো বলেন, গত চার মাসে বিদেশে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতীয় মিডিয়া ব্যাপক নেতিবাচক প্রচারণা চালিয়ে আসছে। তারা এমন তথ্য প্রচার করছে, যাতে মনে হচ্ছে সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে। বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষকে কচুকাটা করা হচ্ছে।

ভারতীয়দের অপপ্রচার রুখতে গণমাধ্যমের সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে এত রাজনৈতিক দলের শাখা নেই মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেন, যত বাংলাদেশি শাখা রয়েছে বিদেশে। এসব বাঙালিদের ইমেজ নষ্ট করে। বিএনপি ‍ও আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের পক্ষে মিছিল-স্লোগান কিংবা ডিম ছোড়ার মতো ঘটনা দেশের ব্র্যান্ডিংয়ে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

তৌহিদ হোসেন বলেন, বিদেশে দূতাবাসগুলোতে প্রবাসীদের প্রয়োজনীয় সহায়তা না পাওয়ার অনেক অভিযোগ সত্য। তবে সব না। এর বাইরেও বিমান বন্দরে প্রবাসীদের হয়রানি করলে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেবে সরকার।

 

সবা:স:জু- ৭৩৫/২৫

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের জন্য আ.লীগ দায়ী: নাহিদ ইসলাম

স্টাফ রিপোর্টার:

নারায়ণগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম দাবি করেছেন, আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করে দলটিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করা উচিত। তিনি বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের জন্য আওয়ামী লীগ দায়ী। তাই সরকারের উচিত তাদের নিবন্ধন বাতিল করা এবং সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দেওয়া।”

সোমবার ভার্চুয়ালি আয়োজিত এ ইফতার মাহফিলে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্থা শারমিন, যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন, দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক শওকত আলী এবং সদস্য আহমেদুর রহমান তনু।

অনুষ্ঠানে বক্তারা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন এবং সরকারের নানান কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেন।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সুনির্দিষ্ট তিনটি এজেন্ডা নিয়ে কাজ করছি। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বিচার, রাষ্ট্রের কাঠামোগত সংস্কার এবং নতুন সংবিধানের জন্য গণপরিষদ নির্বাচন। ‘আওয়ামী ফ্যাসিজমের বিচার যদি নিশ্চিত না করা হয়, তাহলে আরেকটি স্বৈরাচার কিংবা ফ্যাসিবাদ যে দেখব না, সেই নিশ্চয়তা পাব না। নির্বাচনের আগে দৃশ্যমান বিচার দেখা আমাদের দাবি। আমরা মানুষের প্রত্যাশা ও ভালোবাসা নিয়ে নতুন রাজনীতি করতে চাই, যা বাংলাদেশকে নতুনভাবে তৈরি করবে। জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সমস্যা সমাধান আমরা করব। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যতটুকু সহযোগিতা প্রয়োজন, ততটুকু আমরা করব। সমাজে যে চাঁদাবাজি, দখলদারিত্বের রাজনীতি রয়েছে তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে মানুষের অধিকারের পক্ষে কথা বলতে হবে।

আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের জন্য নানা ধরনের ষড়যন্ত্র বিভিন্ন দিকে চলছে। জাতীয় নাগরিক পার্টি এ বিষয়ে সুস্পষ্ট অবস্থান ব্যক্ত করেছে। কোনোভাবেই আওয়ামী ফ্যাসিজমকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করা হলে জাতীয় নাগরিক পার্টি তা রুখে দিবে।’ ‘আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছর এবং ইতিহাসের দিকে তাকালে পাওয়া যায়, এর আগেও তারা বাকশাল তৈরি করেছে। আওয়ামী লীগের গত ১৫ বছরের গণহত্যা, গুম এবং জুলাই হত্যাকাণ্ডের পরে তারা কোনোভাবেই আর রাজনৈতিক দল হিসেবে বিবেচিত হতে পারে না।’

তিনি বলেন, ‘মানুষ আসলে পরিবর্তন চায়। একই সিস্টেমে আবারও ফেরত যেতে চায় না। কিন্তু আমরা দেখছি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল পুরোনো বন্দোবস্তের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে, সংস্কারে তাদের অনাগ্রহ। যাদেরই অনাগ্রহ থাকুক না কেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা একসঙ্গে ছিলাম তারা সংস্কার ও পরিবর্তনের লক্ষে কাজ করে যাব।’

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম