নেত্রকোণা সাংবাদিক ফোরাম-ঢাকার নতুন কমিটি ঘোষণা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
ঢাকায় অবস্থানরত বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন নেত্রকোনা সাংবাদিক ফোরাম, ঢাকার নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

দৈনিক ইনকিলাব-এর বিশেষ প্রতিনিধি রফিক মুহাম্মদকে সভাপতি এবং বাংলাদেশ পোস্টের চীফ রিপোর্টার শওকত আলী খান লিথোকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে নতুন এই কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

শুক্রবার ৩১ জানুয়ারি দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় রয়েল এরোমা রেস্তোরা’য় সংগঠনটির সাধারণ সভা ও নতুন কমিটি ঘোষণা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেছেন সংগঠনটির সদ্য বিদায়ী সভাপতি ফারুক আহম্মেদ তালুকদার।

দুই বছরের জন্য ঘোষিত কমিটিতে রয়েছেন : সভাপতি রফিক মুহাম্মদ (ইনকিলাব), সিনিয়র সহ-সভাপতি দিলীপ সরকার (এশিয়ান এইজ), সহ-সভাপতি বিশ্বজিৎ দত্ত (আমাদের অর্থনীতি), সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী খান লিথো (বাংলাদেশ পোস্ট), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইমরান হাসান মজুমদার (মানবকণ্ঠ), মোজাম্মেল হক তুহিন (আজকালের খবর), সাংগঠনিক সম্পাদক বাহরাম খান (ডেইলি স্টার), কোষাধ্যক্ষ মুহম্মদ মোফাজ্জল (ফাইনান্সিয়াল এক্সপ্রেস), দপ্তর সম্পাদক মোক্তাদির হোসেন প্রান্তিক (ভিওডি বাংলা), প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো: আকবর আলী (আমাদের সময়), ক্রীড়া সম্পাদক আনোয়ার হোসেন (আবাস), নারী বিষয়ক সম্পাদক বনশ্রী ডলি (একুশে টিভি), তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক আসিফ উর রহমান (নাগরিক টিভি), সংস্কৃতি সম্পাদক মামুন খান (বাংলাভিশন), প্রশিক্ষণ ও জনকল্যাণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম কচি (আজকের সংবাদ), শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম (ফাইনান্সিয়াল এক্সপ্রেস) প্রমুখ।

কমিটিতে কার্য নির্বাহী সদস্যরা হলেন: সিনিয়র সাংবাদিক ফারুক আহমেদ তালুকদার (আজকালের খবর), মাসুদ করিম (যুগান্তর), আব্দুস সেলিম (দিনকাল), গোলাম মঈন উদ্দিন(বাসস), রাজন ভট্টাচার্য (বাংলাদেশ প্রতিদিন) প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্ম উৎসর্গকারী শহীদ, ২৪ সালের ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানে নিহত, কবি হেলাল হাফিজ ও অর্থনীতিবিদ ড আনিসুর রহমানের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সিনিয়র সাংবাদিক ও চারুশিল্পী কামাল পাশা চৌধুরী, আয়কর বার্তার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক শায়রুল কবির খান, সংগঠনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদ করিমসহ ৬৪ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

করিমগঞ্জ-তাড়াইলে আনন্দের জোয়ার মিষ্টি বিতরণ 

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বিগত ৫ আগস্ট রাজধানীর উত্তরায় গুলি করে আলমগীর হোসেনকে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,শেখ রেহানাসহ ২৮৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। উক্ত মামলায় নির্দেশদাতা হিসেবে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে এজাহারনামীয় ৬নাম্বার আসামি করা হয়েছে মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনের লক্ষ্যে শেখ হাসিনাসহ অন্য আসামিদের নির্দেশে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে আলমগীর হোসেন মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। উত্তরা পশ্চিম থানাধীন আজমপুর সাউথইস্ট ব্যাংকের সামনে ঘটনাস্থলেই শহীদ হন তিনি।।গত ৬ অক্টোবর রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় নিহতের মা মোসা. আলেয়া বাদী হয়ে এ মামলা করেন। একটি নির্ভর যোগ্য মাধ্যম মামলার এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আর এ খবর প্রচারিত হওয়ার সাথে সাথে তার নিজ নির্বাচনী এলাকায় আনন্দের জোয়ার বইতে শুরু করেছে, এমনকি এলাকায় মিষ্টি বিতরন করার খবর পাওয়া গেছে। পট পরিবর্তনের পর আওয়ামী লীগ ও তাদের জোটের সমস্ত দায়িত্বশীল নেতাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হলেও অদৃশ্য ও রহস্যময় কারনে তার নামে কোন মামলা হচ্ছিল না। আর এই সুযোগে চুন্নু ও তার সহযোগীরা এলাকায় প্রচার করতে থাকে যে,বিএনপির সাথে জাতীয় পার্টি জোট করে আগামী নির্বাচনে অংশ গ্রহন করবে এবং এই আসন থেকে চুন্নু জোটের নমিনেশান পাবে। এতে করে বিগত সময়ে চুন্নু ও তার বাহিনী দ্বারা নির্যাতিত মানুষের মাঝে এক রকম হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তার নিজ এলাকার অনেকেই তাকে ফ্যাসিস্ট হাসিনার একান্ত অনুগত ও পদলেহন কারী হিসেবে উল্লেখ করেন। সে বিগত সরকারের পুরোটা সময় গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পদে থেকে সমস্ত সুযোগ সুবিধা গ্রহন করেছে এবং অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছে। মাঝে মাঝে সে সরকারের সমালোচনা করে সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জনের চেষ্টা করেছে যা পরিস্কার ভণ্ডামি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার গ্রামের একজন সে যে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তার সঠিক অনুসন্ধান ও বিচারের দাবি জানিয়েছেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম