জয়কে অপহরণ-হত্যাচেষ্টা: খালাস মাহমুদুর রহমান

স্টাফ রিপোর্টার: সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় সাজার বিরুদ্ধে করা আপিলে খালাস পেয়েছেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তারিক এজাজের আদালত তাকে খালাস ঘোষণা করে এ রায় দেন। রায়ের সময় সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মাহমুদুর রহমানের আইনজীবী তানভীর আহমেদ আল-আমিন।

গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে আপিলের শর্তে জামিন আবেদন করেন মাহমুদুর রহমান। শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

পাঁচ দিন কারাভোগের পর ৩ অক্টোবর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

জানা যায়, সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ এবং হত্যাচেষ্টার মামলায় ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরের আদালত আমার দেশ পত্রিকার সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ ৫ জনকে পৃথক দুই ধারায় সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত অপর তিন আসামি হলেন জাসাস নেতা মোহাম্মদ উল্লাহ, রিজভী আহমেদ সিজার ও মিজানুর রহমান ভুইয়া।

আসামিদের দণ্ডবিধির ৩৬৫ ধারায় (অপহরণ) পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। জরিমানার টাকা অনাদায়ে তাদের আরও এক মাসের কারাভোগ করতে হবে। এ ছাড়া একই আইনে ১২০-খ ধারায় (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) দুই বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দুই ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যেকোনও সময় থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্য দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার একত্রিত হয়ে যোগসাজশে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তার সাবেক প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন। ওই ঘটনায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় মামলাটি করেন।

২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি এই পাঁচ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১২ জন সাক্ষ্য দেন এ মামলায়।

এদিকে গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর এ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি সাংবাদিক শফিক রেহমান ও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়ার সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মাহমুদুর রহমান কারাগারে যাওয়ার পরদিন ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকার আদালতে এ মামলায় সাজার বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের শর্তে আত্মসমর্পণ করেন শফিক রেহমান। শুনানি শেষে বিচারক তার বিরুদ্ধে জারি হওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করেন। একইসঙ্গে স্থগিত করেন সাজা পরোয়ানাও।

আবারও ডাকসু নির্বাচন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট

আবারও ডাকসু নির্বাচন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট

ডেস্ক রিপোর্ট:

আবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। নির্বাচনে প্রার্থিতা ও ব্যালট নম্বর পুনর্বহালের নির্দেশনা চেয়ে বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টে এই রিট করেছেন মো. জুলিয়াস সিজার তালুকদার। একইসঙ্গে তার নাম ও ব্যালট নম্বর পুনর্বহাল না করা পর্যন্ত ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে। রিট আবেদনে বলা হয়েছে, জুলিয়াস সিজার তালুকদারের নাম ও ব্যালট নম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত এবং তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের তিন সদস্যের কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না মর্মে রুল জারির আরজি জানানো হয়েছে।

ডাকসু নির্বাচনে ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন জুলিয়াস সিজার তালুকদার। গত ২৬ আগস্ট যাচাই বাছাই শেষে নির্বাচন কমিশন ডাকসুর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে। সেখানে ভিপি প্রার্থী হিসেবে তার নাম অন্তর্ভুক্ত ছিল এবং ব্যালট নম্বর নির্ধারণ করা হয় ২৬। কিন্তু চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের হাউস টিউটর ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেন, জুলিয়াস সিজার নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত। পরে অভিযোগের বিষয়ে নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনালে শুনানি হলেও ট্রাইব্যুনাল কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না দিয়ে কমিশনে সুপারিশ পাঠায়। সেই সুপারিশের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন জুলিয়াস সিজারের প্রার্থিতা ও ব্যালট নম্বর বাদ দেয়।

অভিযোগের বিষয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দেওয়ার অভিযোগ তুলে গত ২৭ আগস্ট চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তাকে আইনি নোটিশ পাঠান জুলিয়াস সিজার তালুকদার। তাতে সাড়া না পেয়ে শেষ পর্যন্ত প্রার্থিতা ফিরে পেতে ও নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ নিশ্চিত করতে হাইকোর্টে রিট করেন তিনি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম