সমাজসেবায় অবদানের জন্য এশিয়া আরব এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন প্রখ্যাত সমাজকর্মী মোশাররফ হোসেন

স্টাফ রিপোর্টার:

মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য…. এই কথাটিকে তিনি সারাটা জীবন মন্ত্রগুপ্তির মত মেনে চলেন। শৈশব, কৈশোর কেটেছে নিদারুণ কষ্টে।দিনমজুর জয়নাল আবেদিনের সন্তান মোসাররাফ হোসেন অভাবের তাড়নায় ওষুধের দোকানে কাজ করেছেন। পরবর্তীতে গ্রামীণ চিকিৎসক হিসেবেও জীবিকা নির্বাহ করেছেন।
তিনি বরাবরই পরিশ্রমী ছিলেন। ছিলেন পরোপকারীও।তিনি স্বপ্ন দেখতেন। স্বপ্ন দেখতেন জীবনের শেষ দিন অবধিও মানুষের পাশে থাকবো। মানুষের সেবা করবো।

মোসাররফ হোসেন।মুর্শিদাবাদের শিল্পনগরী ফারাক্কার অর্জুনপুরে ১৯৬৩ সালের এক শীতের ভোরে তাঁর জন্ম। সেখানেই তাঁর বেড়ে উঠা।
পড়াশোনা স্থানীয় খোদাবন্ধপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। পরবর্তীতে অর্জুনপুর হাইস্কুল ও ধুলিয়ানের ঐতিহ্যবাহী কাঞ্চনতলা জেডিজে ইনস্টিটিউশনে। তারপর অরঙ্গাবাদ ডিএন কলেজ থেকে স্নাতক। পরবর্তীতে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর।

একজন দিনমজুর পরিবারের সন্তান হিসেবে জন্ম নিয়ে তাঁর নিজ প্রচেষ্টায় কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পর তিনি সমবায় আন্দোলনের একজন অগ্রণী মানুষ হিসেবে রাজ্যজুড়ে পরিচিতি পান । ১৯৮৬ সালে স্থানীয় খোদাবন্দপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতিতে ম্যানেজার হিসেবে নিযুক্ত হন। অল্প দিনের মধ্যেই তাঁর প্রচেষ্টায় খোদাবন্ধপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি আমানত সংগ্রহ শুরু করে। মোসাররফ হোসেনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় খোদাবন্দপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি আজ গোটা মুর্শিদাবাদের মধ্যে অন্যতম সেরা সমবায় সমিতি হিসাবে পুরস্কৃত হয়েছে। তিনি একজন সমবায়ী ও সমাজকর্মী হিসেবে বহু পুরস্কারও ইতিমধ্যে পেয়েছেন। সমবায় আন্দোলন ও সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য তিনি পরপর দুইবার বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর তাঁর হাতে পুরস্কার তুলে দিয়েছেন। পাশাপাশি বলিউডের প্রখ্যাত অভিনেতা রাকেশ শর্মা, টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা শংকর রায় চৌধুরী ও অঙ্কুশদের মতো অভিনেতারাও তুলে দিয়েছেন মোশাররফ হোসেনের হাতে পুরস্কার। সাংবাদিকদের আন্তর্জাতিক সংগঠন সার্ক জার্নালিস্ট ফোরামের তরফেও মোশাররফ হোসেনকে সম্মাননা জানানো হয়েছে।
সমবায় আন্দোলনের এই অগ্রণী যোদ্ধাকে জেলার ঐতিহ্যবাহী সংস্থা মুর্শিদাবাদ ডিস্ট্রিক্ট হোলসেল কনজিউমারস কো-অপারেটিভ সোসাইটির ডিরেক্টর পদে নিযুক্ত করা হয়েছে। একসময় তিনি মুর্শিদাবাদ জেলা সমবায় কর্মচারী ফেডারেশনের জেলা সহ সভাপতি হিসেবেও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব সামলেছেন। অর্জুনপুর হাইস্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যও নির্বাচিত হয়েছিলেন। টানা ছয় বছর তিনি দক্ষতার সাথে স্কুলের উন্নয়নে কাজ করেছেন। ছাত্রাবস্থায় তিনি অরঙ্গাবাদ ডিএন কলেজের গভর্নিং বডি মেম্বারও নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি বর্তমানে সার্ক জার্নালিস্ট ফোরামের ওয়েস্ট বেঙ্গল চ্যাপ্টারের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যও।
মোসাররাফ হোসেনের প্রচেষ্টায় গ্রামীন পিছিয়ে পড়া মহিলাদের স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে গড়ে উঠেছে মুর্শিদাবাদের অগ্রণী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মুর্শিদাবাদ নারী উন্নয়ন সমিতি।

মোসাররাফ হোসেন স্পষ্টবাক মানুষ। সহজ, সরল, ঋজু। ভীষণ মানবিক ও দরাজ দিলের।
তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, যতদিন বাঁচবো পিছিয়ে পড়া গ্রামীণ মহিলাদের স্বাবলম্বী করার জন্য কাজ করবো। পাশাপাশি সমবায় আন্দোলনকে আরো জোরদার করার লক্ষ্যে এগিয়ে যাবো।

নানাবিধ জনকল্যাণমূলক কাজকর্মের জন্য তিনি দেশ-বিদেশের বহু পুরস্কার ও সংবর্ধনা পেয়েছেন।
মোশাররফ হোসেনের এহেন মানবিক কাজে আপ্লুত হয়ে এবার ফ্রান্সের একটি বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ তাঁকে সাম্মানিক ডক্টরেট ডিগ্রী তুলে দেবেন আগামী ১১ই মে। দুবাই এর একটি পাঁচতারা হোটেলে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এশিয়া আরব এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড এন্ড সামীট ২০২৫। সেখানে দেশ-বিদেশের বহু গুণী মানুষ উপস্থিত থাকবেন। সেখানেই হাজারো গুণী ও কৃতী মানুষদের সামনেই মোশাররফ হোসেনের হাতে তুলে দেওয়া হবে এশিয়া আরব এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ও সাম্মানিক ডক্টরেট ডিগ্রী।

এবার খোদ দুবাইয়ের মাটিতে পাঁচতারা হোটেলের বলরুমে মোসাররাফ হোসেনের সমবায় অন্দোলনের কথা, পিছিয়ে পড়া গ্রামীণ মহিলাদের স্বনির্ভর করার গল্প শুনবে গোটা পৃথিবী।

এই মহার্ঘ্য সম্মাননা প্রাপ্তির কথা শুনে কি বললেন মোশারফ হোসেন? শুনুন তাঁর কথা। তিনি বলেন, প্রান্তিক মানুষদের, বিশেষ করে আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া গ্রামীণ মহিলাদের স্বনির্ভর করার জন্য ও সমবায় কে জনপ্রিয় করে তোলার জন্য আজ আমার এই মহার্ঘ্য সম্মাননা প্রাপ্তি । আমি ভীষণ খুশি। আমার খুব ভালো লাগছে।আমার সমাজ সেবামূলক কাজকর্ম আগামীতে আরও বৃহৎ আকারে হবে। মোসাররাফ হোসেন বলেন, জীবনের সবচেয়ে বড় সুখ হচ্ছে, গরীব-দুঃখী,অসহায় – আর্ত মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। যতদিন বাঁচবো ততদিন গরিব ও অসহায় মানুষের সেবা করে যাবো।

দৈনিক দেড় টাকা বেতনের শ্রমিক এখন কয়েক হাজার কোটি টাকার মালিক: আওয়ামী লীগের একডজন মন্ত্রী,এমপি তার আশ্রয়ে!

বিশেষ প্রতিনিধি

……………………
একজন অশিক্ষিত লোক, দৈনিক দেড় টাকা মজুরির শ্রমিক কিভাবে মাত্র ১৫ বছরে (আওয়ামী শাসন আমলে) হাজার কোটি টাকার মালিক হতে পারেন? কোন অনৈতিক সুবিধা না নিয়ে? রাষ্ট্রের অর্থ আত্মসাৎ না করে? কর ফাঁকি ও চোরাচালানে সম্পৃক্ত না হয়ে? এই প্রশ্ন আজ সমগ্র দেশবাসীর। কিন্তু এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন পুরান ঢাকার লালবাগ এলাকার ৪৩/এ, নবাবগঞ্জ বাজার লেন এলাকার হাজী আলাউদ্দিন খাঁন ওরফে আলতু খাঁনের ছেলে হাজী মো. লোকমান হোসেন খাঁন।

একাধিক সুত্রে জানাগেছে, প্রাথমিক স্কুলের গন্ডি পার না হওয়া এই হাজী লোকমান এক সময় পুরান ঢাকার হাজী সেলিম এমপির ব্যাটারি তৈরির কারখানা আল-মদিনা ব্যাটারি ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন দৈনিক দেড় টাকা বেতনে। পরে মাসে বেতন পেতেন ১৫০ টাকা। একসময় তিনি ব্যাটারি কারখানায় কয়লা সরবরাহ শুরু করেন। পরে হাজী সেলিম তার কিছু অর্থ বেনামে গচ্ছিত রাখেন লোকমানের কাছে। লোকমান ওই সময় হাজী সেলিমের অর্থপাচারসহ নানান কাজে দুবাইসহ বিভিন্ন দেশে যাতায়াত শুরু করেন। সেখানে গিয়ে মানব পাচারে যুক্ত হন। তিনি সেখানে বেশ কয়েকটি ‘হেরেমখানা বা রংমহল’ খোলেন। বাংলাদেশ থেকে লোকজন নিয়ে সেখানে রাতে খাটাতেন তিনি। এর মাধ্যমে প্রতিমাসে আয় করেন লাখ লাখ টাকা। জড়িয়ে পড়েন স্বর্ণ চোরাচালন ও হন্ডির কারবারে। দুবাইতে তার বিশ্বস্থ সহযোগী চট্টগ্রামের দিদার হোসেন ও হাসানের মাধ্যমে দিরহাম সংগ্রহ করেন। ওই দিরহাম দিয়ে স্বর্ণের বার কিনে দেশে আনেন। এক্ষেত্রে তার ক্যারিয়ার হিসেবে কাজ করে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার ননক্ষীর গ্রামের সাইফুল ইসলাম ঠিকানা: আরিফাবাদ হাউজিং বাড়ি-৬, রোড-৭, ব্লক-জি, রূপনগর, মিরপুর,ঢাকা।
চট্টগ্রামের দিদার ও ঢাকার হাসান যেসব হুন্ডির দিরহাম, সংগ্রহ করেন সেগুলোর টাকা বাংলাদেশে দিয়ে দেন লোকমান ও তার ম্যানেজার হেলাল। এভাবে নানা অনৈতিক কারবারে জড়িয়ে অল্পদিনে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যান লোকমান। বাগিয়ে নেন রাষ্ট্রীয় সম্মান ‘সিআইপি’ পদ। লোকমান প্রতি সপ্তাহে বাংলাদেশ থেকে বড় অংকের ডলার দুবাই নিয়ে যান এবং দুবাই থেকে বিপুল পরিমানা ঋণ বাংলাদেশে আনেন। বিমানবন্দরে কয়েক দফায় তার ক্যারিয়ার ধরা পড়লেও গডফাদার লোকমান থেকে যান ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
হুন্ডি ও মানবপাচারের পাশাপাশি দেশে সিসা পুনঃপ্রক্রিয়াজাত ব্যাটারি কারখানাসহ বিভিন্ন ব্যবসা শুরু করেন লোকমান হোসেন। তার ভাতিজির নামে প্রতিষ্ঠা করেন পান্না গ্রুপ। পান্না ব্যাটারির উৎপাদক ও ভলবো ব্যাটারির আমদানী কারক তার কোম্পানী। এর মাধ্যমে নিজেকে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক দাবি করেন। এগুলো তার কথিত সফলতার গল্প। কিন্তু তার সফলতা ছাপিয়ে তার উত্থানের নেপথ্যে রয়েছে বড় ধরনের চোরাচালান ও জালিয়াতির ইতিহাস। তিনি মূলত: ভয়ানক একজন হুন্ডি ব্যবসায়ী, বৈদেশিক মুদ্রা, স্বর্ণ, মাদক ও মানব পাচারকারি। এই পাচারে নিজেকে জড়িত করে শনৈ শনৈ উন্নতি হয়েছে তারা। হয়েছেন হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক। তিনি মূলত: সংযুক্ত আরব আমিরাতে রাজধানী দুবাইতে ব্যাটারি পাঠানোর আড়ালে অর্থ, মাদক দ্রব্য ও মানবপাচার করেন। করেন ওভার ইনভয়েসিং। সেখানে রয়েছে তার বিশাল সিন্ডিকেট। ওই সিন্ডিকেটের মূল নিয়ন্ত্রক চট্টগ্রামের দিদার।

লোকমানের পান্না গ্রুপের অফিসে অফিস স্টাফরা জানান, তিনি ‘ব্যবসায়িক কাজে বিদেশে অবস্থান করছেন। অথচ বিশ্বস্থ সূত্রে জানা গেছে তিনি র্বতমানে দুবাই অবস্থান করছেন।’ দুবাইতে হাইপার ক্যাপিটাল ইন্টারন্যারশনাল ও রোজা ফিনান্স নামে দুটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার পাচার করেছেন। সম্প্রতি তিনি আড়ই মিলিয়ন ডলারের একটি চালান বাংলাদেশ থেকে দুবাই নেওয়ার চেষ্টা করছেন। দুবাই জনতা ব্যাংক, এইচএসবিসি ব্যাংক মিডিল ইস্ট লিমিটেড, ব্যংক অব বোরদা ইন্ডিয়া, আবর ব্যাংক পিএলসি, ন্যাশনাল ব্যাংক ও এডিসিবি ব্যাংকে তার একাউন্ট রয়েছে। রোজা ফাইনান্স গ্রুপের মাধ্যমে তিনি বিপুল  অংকের টাকা পাচার করেছেন। তিনটি ব্যাংকে তিনি দৈনিক ৩-৪ কোটি টাকা লেদদেন করেন। এছাড়া দুবাই ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, কমাসিয়াল ব্যাংক অব দুবাই, সারজাহ ইসলামী ব্যাংক পিজেএসসি, সাম্বা ফাইনান্স গ্রুপ-এর মাধ্যমে ওভার ইনভয়েসিংসহ নানা কৌশলে তিনি অর্থ পাচার করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
লোকমান হোসেন নানান কোম্পানীর আড়ালে দুবাইতে মানব পাচার, মুদ্রা পাচার ও সোনা চোরাচালানের কারবার করেন। বহুল আলোচিত ওয়ান ইলেভেনের পর ও পরর্বতীতে হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে দুদক অনুসন্ধানে নামলে দুবাই গিয়ে আত্মগোপন করেন লোকমান। তিনি প্রতিমাসে দুবাই, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর যান। প্রতিবার যাওয়ার সময় তিনি মানবপাচার করেন। আসার সময় নিয়ে আসেন স্বর্ণের বার ও যাওয়ার সময় নিয়ে যান বৈদেশিক মুদ্রা।

অবৈধপথে সম্পদের পাহাড়:
চোরাকারবার ও জালিয়াতির মাধ্যমে ঢাকার লালবাগের নবাবগঞ্জ বাজার লেনে কমপক্ষে ৬টি বাড়ির মালিক এই হাজী লোকমান। ঢাকার লালমাটিয়ার ডি- ব্লকের ৩/১২ নম্বর বাড়ি (কেয়ারটেকার রিপন), হাজারীবাগে পান্না টাওয়ার, ঠিকানা: হাজারীবাগ বেড়িবাঁধ (হাজারীবাগ ফায়ার স্টেশনের উল্টো পাশে) তার বিশাল ভবন রয়েছে। সদরঘাটে ও মতিঝিলেও রয়েছে ভবন। তার বেশ কয়েকটি ভবন খাস জমি ও সাধারণ মানুষের জমি দখল করে করা। কিন্তু হাজী সেলিমের বিশ্বস্থ ক্যাডার হওয়ায় কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পায় না। লোকমানের ধানমন্ডি ও গুলশানে আছে অভিজাত ফ্ল্যাট। যেটি তার ঢাকাই ‘হেরেমখানা’ হিসেবে পরিচিত। সেখানে দেশি-বিদেশি লোকজন নিয়ে আড্ডা দেন তিনি। এছাড়া বসুন্ধরায় রয়েছে ফ্ল্যাট ও প্লট। এছাড়া পান্না ডিস্ট্রিবিউশন, আলতু খান জুট মিল, পান্না ব্যাটারি লিমিটেড, লুবেন লিমিটেড, পিআরডিএফসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে তার। পান্না ডিস্ট্রিবিউশনের মাধ্যমে ভলবো, পিবিএল অ্যান্ড ম্যাক্স পাওয়ার, ইত্যাদি ব্যাটারি আমদানী ও বাজারজাত করেন। তার ভাইয়ের নামে মধুখালিতে ৫ শত বিঘা জমি কিনেছেন। তার দুই স্ত্রী, দুই মেয়ে এক ছেলে এবং দুই ভাইয়ের নামে অপ্রদর্শিত বিপুল সম্পদ রয়েছে।
ফরিদপুরের মধুখালীতে তার আলতু জুট মিলের অফিস। সেখানে যখনই যান হেলিকপ্টার নিয়ে যান। আলতু জুট মিলের নামে মুধখালীতে অসংখ্য কৃষকের জমি জোর করে দখলের অভিযোগ রয়েছে লোকমানের বিরুদ্ধে। সরেজমিন অনুসন্ধান করলে তার প্রমাণ পাওয়া যাবে।
লোকমান গংরা জমি দখল করার কারনে এলাকার বহু আগে মানববন্ধন ও ঝাড়– মিছিল করেছিল। হাজী লোকমান অনেক টাকা ব্যয় করে স্থানীয় প্রভাবশালীদের মাধ্যমে পরিস্থিতি সামাল দেন। এই জুট মিলের শ্রমিকদের ঠকানো ও তাদের প্রাপ্য পাওনা না দেওয়ার অভিযোগ বহু পুরনো। দুবাইতে পান্না গ্লোবাল ডিস্ট্রিবিউশন, ৪৯ এফজে+কিউ৩এইচ, দুবাই সিলিকন ওয়েসিস ঠিকানায় রয়েছে তার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী। এই কোম্পানীর আড়ালে তিনি দুবাইতে মুদ্রা ও নারী পাচার করেন। তার পাসপোর্ট নীরিক্ষা করলেই প্রিকুয়েন্ট ট্রাভেলার হিসেবে তার নাম চলে আসবে। পাসপোর্ট নং বি-০০০২১১৬৭ (বাংলাদেশ)। দুবাইতে তার বেশ কয়েকটি বাড়ী আছে বলে তথ্য পাওয়াগেছে। তিনি যতবারই দুবাই যান ততোবারই একজন সুন্দরী নারী সঙে করে নিয়ে যান। দুবাই ডনদের সাথেও তার ঘনিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে।
লোকমান নিজের অপর্কম আড়াল করার উদ্দেশ্যে নিজের ছেলে মেয়ের নাম বাদ দিয়ে নিজের ভাইয়ের মেয়ে (ভাতিজি) পান্নার নামে পান্না গ্রুপ খোলেন। তার এই পান্না গ্রুপ কোটি কোটি রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে। যার মাধ্যমে দ্রতই তার কোম্পানী ফুলে ফেঁপে আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে। কয়েকদিন আগে তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ১৫ কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। তখন হাজী লোকমান তুচ্ছ করে বলেন, এই ১৫ কোটি টাকা আমার হাতের ময়লা।

সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশ কর্মকর্তা কানেকশন:
হাজী লোকমান তার অপরাধ সাম্রাজ্য টিকিয়ে রাখার জন্য আওয়ামী লীগের দলীয় ফান্ডে প্রায় ২০ বছর যাবত অর্থ অনুদান বা চাঁদা দিয়ে আসছেন। যেহেতু তার বাড়ী ফরিদপুর জেলায় সেহেতু এই জেলার কমপক্ষে ৫ জন আওয়ামী দলীয় এমপিকে তিনি কেবল নির্বাচনী খরচ বাবদই শত কোটি টাকা চাঁদা দিয়েছেন। যা তার একজন বিশস্থ কর্মচারি সুত্রে জানাগেছে। তিনি আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষ ডোনার হিসাবে সর্বমহলে পরিচিত। যে কারণে তাকে সিআইপি মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। বিগত সময়ে তিনি আয়নাঘরের প্রধান সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল জিয়াউল হাসানের সাথে এবং র‌্যাবের সাবেক একজন মহাপরিচালক এর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এ ছাড়াও ডিএমপির সাবেক পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি মনিরুজ্জামান, ডিআইজি বাতেন ও ডিবির ডিআইজি হারুনের সাথে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান। তাদের মাধ্যমে বেশ কিছু বিএনপি,জামায়াত নেতা-কর্মীকে হত্যা ও গুম করিয়েছেন বলেও প্রচার আছে। এই দুই সেনা ও র‌্যাব কর্মকর্তার সাথে প্রায়ই তিনি মিলিত হতেন এবং জামায়াত- বিএনপিকে শেষ করার প্ল্যান করেন এমন অভিযোগ উঠেছে।

ধানমন্ডির বাড়ীতে অবৈধ মিনি চিড়িয়াখানা:
অনুসন্ধানে জানা যায, তিনি বাংলাদেশে প্রচলিত বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ আইন ভংগ করে তার ধানমন্ডির বাড়ীতে একটি মিনি চিড়িয়াখানা গড়ে তুলেছেন। সেখানে বেআইনী ভাবে ২ টি বাঘ, ১১ টি হরিণ ও ৩ টি ময়ুর খাঁচাবন্দী করে রেখেছেন। এ বিষয়ে তিনি বন বিভাগ থেকে কোন প্রকার ছাড়পত্র বা অনুমোদন গ্রহন করেন নি যা একটি দন্ডনীয় ফৌজদারী অপরাধ।

আওয়ামী লীগের একডজন মন্ত্রী,এমপি তার আশ্রয়ে:একাধিক সুত্রে জানাগেছে, আওয়ামী লীগের অধিকাংশ মন্ত্রী এমপি তার ঘনিষ্ঠজন। গত ৫ আগষ্ট ২০২৪ আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারত চলে যাওয়ার পর তিনি তার বাড়ীতে প্রায় এক ডজন আওয়ামী লীগ নেতা (মন্ত্রী,এমপি) কে আশ্রয় দিয়েছেন। কাউকে কাউকে বিদেশে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছেন যা একটি দেশদ্রোহী অপরাধ। তিনি অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারকে উতখাত করার আওয়ামী চক্রান্তেও যুক্ত রয়েছেন। তার সাথে প্রায়ই পুরান ঢাকার হিন্দু সংগঠন ইসকন এর নেতাদের বৈঠক করতে দেখা যায়। কিছুদিন আগে বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুন্সী তার অফিসে এসে মিটিং করেন। তিনি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনকে প্রতিহত করতে নিজের ফরিদপুর,গাজীপুর ও কামনাঙিরচর এলাকা থেকে টাকা দিয়ে শতশত লোক ভাড়া করে এনে তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দেন।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য তার সেল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি কল রিসিভ করেন নি। পরে তার ধানমন্ডির বাস ভবনে যেয়ে খোঁজ করলে বাসা থেকে জানানো হয় যে, তিনি এখন দুবাই আছেন।
দেশ প্রেমিক ছাত্র-জনতা অনতিবিলম্বে এই আওয়ামী ডোনার ও আওয়ামী সিআইপিকে গ্রেফতার করে সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করার জোর দাবী তুলেছেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
বিদেশ থেকে যতটুকু স্বর্ণ আমদানি করলে দিতে হবে না ভ্যাট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎতে যাচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব ফকরুল বাংলাদেশে ইতিহাস গড়ল উইন্ডিজ দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন রাজউক ইমারত পরিদর্শক শামীম রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে কে জিতবে, তা নিয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচেছ ট্রাম্প নাসার চন্দ্র মিশনে স্পেসএক্স জুলাই যোদ্ধা স্বীকৃতি পেতে নতুন করে দেড় হাজারের বেশি আবেদন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু প্রধান প্রকৌশলীর আস্থাভাজন ইএম ২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ সম্পদের পাহাড় জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি