কিডনি সুস্থ আছে কিনা ২ টেস্টেই জানুন

স্টাফ রিপোর্টার: ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের ক্ষেত্রে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা আরও বেড়ে যায়। এছাড়াও যাদের বংশে কিডনির রোগী রয়েছে তাদেরকেও কিডনির বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। অন্যদিকে যাদের এসব কোনো সমস্যা নেই তাদের বয়স ৬০ বছর পার হলেই বছরে দুইবার কিডনি পরীক্ষা করা জরুরি।

ন্যাশনাল কিডনি ফাউন্ডেশনের তথ্যানুযায়ী, এসিআর ও জিএফআর’ এর মতো দুইটি সাধারণ টেস্ট করালেই ধরা পড়বে আপনার কিডনি ঠিকঠাক কাজ করছে কি না।

মূত্র পরীক্ষা বা এসিআর হলো অ্যালবুমিন ও ক্রিয়েটিনিনের অনুপাত। অ্যালবুমিন হলো বিশেষ ধরনের প্রোটিন। মূত্রে অ্যালবুমিন আছে কি না তা পরীক্ষা করে দেখা হয়। আমাদের শরীরের যেহেতু প্রোটিন রয়েছে সেক্ষেত্রে রক্তেও প্রোটিন স্বাভাবিক। তবে এই প্রোটিন কখনোই মূত্রে থাকার কথা নয়। যদি এসিআর পরীক্ষায় প্রোটিন পাওয়া যায়, তার মানে হলো কিডনি ঠিকঠাকভাবে রক্তকে ছাঁকতে পারছে না। তাই ইউরিন টেস্টে প্রোটিন পজিটিভ হলে, নিশ্চিত হতে তার এনএফআর করাতে হবে। যদি, তিন মাস বা তার বেশি সময় ধরে রেজাল্ট পজিটিভ হয়, তা কিডনি অসুখের লক্ষণ।

জিএফআর কাউন্ট করতে রক্ত পরীক্ষা করা জরুরি। কিডনি খারাপ হলে, তা রক্ত থেকে ক্রিয়েটিনিন অর্থাত্‍‌ বর্জ্য পদার্থ ঠিক মতো বের করে দিতে পারে না। তবে, এই ক্রিয়েটিনিন পরীক্ষা হলো প্রথম ধাপ। এরপর গ্লোমেরুলার ফিলট্রেশন রেট বা জিএফআর দেখতে হবে। সেই রেজাল্ট দেখেই ডাক্তার বুঝতে পারবেন কিডনি কেমন কাজ করছে। কিডনি নিয়ে তাই কোনোরকম ভয় হলে, অযথা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত না হয়ে, এই পরীক্ষাগুলো করে নিতে পারেন।

মেঘনায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশুদের চিকিৎসায় মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ প্রয়োগ

মেঘনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

কুমিল্লা মেঘনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর বিরুদ্ধে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, গত (১৪ অক্টোবর) শনিবার ১৬ মাসের শিশু সোয়াদকে ঠান্ডা জনিত সমস্যায় হাসপাতালের বহিঃ বিভাগে চিকিৎসা নিতে গেলে কর্ব্যরত চিকিৎসক ওষুধের পাশাপাশি নেবুলাইজার দেওয়ার জন্য প্রেসক্রিপশনে লিখে দেন। ডাক্তারের নির্দেশ অনুযায়ী নেবুলাইজার দেওয়ার জন্য শিশুটিকে তার মা জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে তখনকার কর্তব্যরত ইমরান হোসেন (এসএসিএমও) শিশু সোয়াদকে নেবুলাইজার দেওয়ার জন্য ওয়ার্ডবয় জাকির হোসেনকে নির্দেশ দিলে জাকির ০.৫ সিসি ইপ্রাট্রোপিয়াম ব্রোমাইড (ইপ্রাটপ) এর মাধ্যমে সোয়াদসহ আরো কয়েকজন ঠান্ডা জনিত রুগীকে নেবুলাইজার দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

পরে ২৫ অক্টোবর টিকিট কেটে শিশু সোয়াদকে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী জরুরি বিভাগে নিলে একই ব্যক্তিরা সোয়াদকে নেবুলাইজার প্রয়োগ করতে গেলে টেবিলে রাখা ওষুধের দিকে চোখ যায় সোয়াদের মায়ের। ওষুধের বোতলের মোড়কে লেখা মেয়াদে দেখে, চলতি বছরের জুলাই মাস পর্যন্ত ওষুধের মেয়াদ শেষ। তাৎক্ষনিক শিশুর চিকিৎসা না নিয়ে সঙ্কিত হয়ে পড়ে শিশুটির মা।

এ বিষয়ে ইমরান হোসেন (এসএসিএমও) এর নিকট সত্যতা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি ওষুধের মেয়াদ নেই মর্মে সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কোন বিষয়ে বক্তব্য দিতে হাসপাতালের প্রধান কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া দেওয়া নিষেধ। এ শিশু সোয়াদের মায়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন বাচ্চা বর্তমানে কিছুটা ভালো কিন্তু আমি ও আমার পরিবার শঙ্কিত।

এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.সায়মা রহমানের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং কর্তব্যরতদের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
বিদেশ থেকে যতটুকু স্বর্ণ আমদানি করলে দিতে হবে না ভ্যাট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎতে যাচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব ফকরুল বাংলাদেশে ইতিহাস গড়ল উইন্ডিজ দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন রাজউক ইমারত পরিদর্শক শামীম রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে কে জিতবে, তা নিয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচেছ ট্রাম্প নাসার চন্দ্র মিশনে স্পেসএক্স জুলাই যোদ্ধা স্বীকৃতি পেতে নতুন করে দেড় হাজারের বেশি আবেদন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু প্রধান প্রকৌশলীর আস্থাভাজন ইএম ২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ সম্পদের পাহাড় জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি