মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক পাচ্ছেন আবরার ফাহাদ

স্টাফ রিপোর্টার:

স্বাধীনতা পদক ২০২৫-এ ভূষিত হচ্ছেন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নির্যাতনে নিহত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ।

সোমবার (৩ মার্চ) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি পোস্টে লেখেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সাহসিকতার প্রতীক, মুক্ত চিন্তার এক প্রতিচ্ছবি-আবরার ফাহাদ। মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক ২০২৫-এ ভূষিত হওয়া তার আত্মত্যাগের স্বীকৃতি। তার আদর্শ আমাদের আলোকিত করে, ন্যায়বিচারের পথে এগিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা দেয়। জাতি তোমাকে ভুলবে না, আবরার!

২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর রাতে বুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী পিটিয়ে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর বুয়েটের ২০ শিক্ষার্থীকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত।

হাতিয়ার নৌ পথে ফেরি চালুর দাবি

হাতিয়ার নৌ পথে ফেরি চালুর দাবি

ডেস্ক রিপোর্ট:

হাতিয়ার নদীপথে ঝুঁকিপূর্ণ নৌ পারাপার বন্ধ করে ফেরি চালুর দাবি জানিয়েছে হাতিয়া সম্মিলিত সামাজিক সংগঠন। শনিবার (৯ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, নোয়াখালীর উপকূলীয় উপজেলা হাতিয়ার সঙ্গে জেলা সদর মাইজদীসহ সারা দেশের সংযোগ রক্ষায় মূল নির্ভরতা নৌ-পথ। প্রতিদিন হাজারো যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রলার এই পথে চলাচল করে। কিন্তু হাতিয়া নোয়াখালী নৌ রুটে ফেরি না থাকায় মানুষ ঝুঁকিপূর্ণ ট্রলার কিংবা স্পিডবোট চলাচল করে। এতে প্রায়শ দুর্ঘটনা ঘটছে, প্রাণহানির ঘটনাও রয়েছে। এছাড়া দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় ট্রলার চলাচল বন্ধ থাকলে হাতিয়া কার্যত মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

বক্তারা আরও বলেন, হাতিয়ার নৌ পথে যাত্রীদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ, হয়রানি ও জিম্মি করে ভাড়া আদায় এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে। জরুরি রোগী, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, কর্মজীবী ও ব্যবসায়ীরা প্রতিদিনই ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বক্তারা সরকারের প্রতি অবিলম্বে দ্বীপ হাতিয়াতে স্থায়ী ফেরি সার্ভিস চালুর আহ্বান জানান এবং দেরি করলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।

বক্তব্যে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ বলেন, হাতিয়ার যাতায়াত ব্যবস্থা যেন ফিলিস্তিনের গাজার মতো। যেখানে জীবনের কোনও নিরাপত্তা নেই। একজন রোগী বা কোনও গর্ভবতী মায়ের ইমার্জেন্সি নদী পারাপার হতে গিয়ে সন্তান হারাতে হয় এবং মৃত্যুবরণ করতে হয়। হাতিয়া সম্মিলিত সামাজিক সংগঠনের সমন্বয়ক ডা. মো জোবায়ের বলেন, হাতিয়ার জীবনমান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে নৌ-পথ অপরিহার্য, আর নিরাপদ যাতায়াতে ফেরির কোনও বিকল্প নেই। তাই প্রধান উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে দ্রুত ফেরি চালুর জোর দাবি জানাচ্ছি।

সংগঠনের আরেক সমন্বয়ক মো. আয়াত হোসেন জুয়েল বলেন, ফেরি হাতিয়ার প্রায় ১০ লাখ মানুষের জীবনের সঙ্গে জড়িত। এই বৃহৎ জনগোষ্ঠীর নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করা সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার। সম্মিলিত সামাজিক সংগঠনের সমন্বয়ক ইসমাইল হোসাইন তাফসির ও মোহাম্মদ আলী বলেন, যদি ফেরি বাস্তবায়ন না করা হয় তাহলে সামনে আরও বড় কর্মসূচি দেওয়া হবে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডে অত্যন্ত হতাশাজনক : মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক দের মাঝে যে অনৈক্য কুমিরের দেখা মিলল রাজশাহীর পদ্মায় সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান