এখন পর্যন্ত প্রশ্নফাঁসের কোনো ঘটনা ঘটেনি: শিক্ষা উপদেষ্টা

স্টাফ রিপোর্টার:

এবারের এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস যাতে না হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সি আর আবরার।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকালে মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আজ থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। ৩ হাজার ৮১৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যা বিশাল এক কর্মযজ্ঞ। এই কর্মযজ্ঞে যাতে কোনো ব্যত্যয় না ঘটে, সে লক্ষ্যে আমার সহকর্মীরা সুচারুভাবে কাজ করেছেন। আমরা আশা করছি পরীক্ষার শেষ দিন পর্যন্ত এমন পরিবেশ বজায় থাকবে।

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, আমাদের একটা পরীক্ষার তারিখ ইস্টার সানডেতে পড়েছিল। সে বিষয়টি বিবেচনা করে ইস্টার সানডের পরদিন পরীক্ষা রেখেছে। এতে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের লোকজন বিশেষভাবে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সুতরাং আজ থেকে শিক্ষার্থীদের যেমন পরীক্ষা শুরু হলো, পুরো ব্যাপারটা কীভাবে সম্পন্ন করলাম, আমাদেরও সে পরীক্ষাটা শুরু।

প্রশ্নপত্র ফাঁস বিষয়ক এক প্রশ্নে তিনি তিনি বলেন, অতীতে যেসব সূত্র থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে, আমরা চেষ্টা করেছি সে সূত্রগুলোকে প্লাক করার। সুতরাং এখন পর্যন্ত প্রশ্নফাঁসের কোনো ঘটনা ঘটেনি এবং এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি।

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও অনেকে প্রশ্নফাঁসের গুজব ছড়ায়। তাদের প্রতি অনুরোধ থাকবে, এমন কাজ করবেন না। কারণ এই পরীক্ষা অনেক প্রস্তুতির পর অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষার্থী-অভিভাবক সবাই এক ধরনের চাপে থাকেন। সুতরাং গুজব ছড়িয়ে তাদের চাপটা দয়া করে বাড়াবেন না।

রাকসু নির্বাচনের এক দফা দাবিতে রাবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

নির্বাচনের এক দফা দাবিতে রাবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

রাজশাহী সংবাদদাতা:
রাকসুর তফসিল ঘোষণাসহ ৯ দফা দাবি আদায়ে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি। রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের তফসিল, পূর্ণাঙ্গ আবাসিকতার রোডম্যাপ ঘোষণাসহ ৯ দফা দাবিতে প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে ‘রাবি সংস্কার আন্দোলন’ ব্যানারে এ কর্মসূচি শুরু হয়। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এর আগে শিক্ষার্থীরা প্যারিস রোডে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে সেখান থেকে মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনের সামনে এসে অবস্থান নেন।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘অবৈধ সিন্ডিকেট, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও এই মুহূর্তে দরকার রাবি সংস্কার জুলাইয়ের অঙ্গীকার, রাবি হবে সংস্কার’ ইত্যাদি স্লোগান দেন। শিক্ষার্থীরা তাঁদের এ কর্মসূচির নাম দিয়েছেন মার্চ ফর আওয়ার রাইটস। কর্মসূচির নেতৃত্ব দিচ্ছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার। গতকাল শনিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সমাজকর্ম, ইসলামিক স্টাডিজ, লোকপ্রশাসন, দর্শনসহ বিভিন্ন বিভাগের কয়েকটি ব্যাচ ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে এ আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে।

শিক্ষার্থীদের অন্য দাবিগুলো হলো পরীক্ষায় রোলবিহীন খাতা মূল্যায়ন ও খাতা চ্যালেঞ্জের সুযোগ নিশ্চিত করা; ক্যাম্পাসে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করা; বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রকে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল হিসেবে কার্যকর করা প্রশাসনিক সব কার্যক্রম ডিজিটাল ও অনলাইনভিত্তিক করা মানসম্মত খাবারের জন্য পর্যাপ্ত ভর্তুকি দেওয়া; কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের অবকাঠামোগত ও প্রযুক্তিগত সংস্কার এবং পূর্ণাঙ্গ টিএসসিসি দ্রুত কার্যকর করা। কর্মসূচিতে সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন এই দাবিগুলোর বিষয়ে প্রশাসনকে এক মাসের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়া ১৫ দিন প্রত্যেক হল ও একাডেমিক ভবনে গিয়ে শিক্ষার্থীদের বুঝিয়েছি। প্রশাসনের সদিচ্ছা থাকলে কেবল এই যৌক্তিক দাবিগুলো পূরণ করা সম্ভব।

এসব ব্যাপারে প্রশাসনের অবস্থান স্পষ্ট ও বাস্তবায়ন না হলে আমরা সর্বোচ্চ অবস্থানে যাব। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী সজীব বলেন শিক্ষার্থীদের এ দাবিগুলো বাস্তবায়িত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আমূল পরিবর্তন ঘটবে। প্রশাসনকে বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কারে দাবিগুলো বাস্তবায়ন করতেই হবে। অন্যথায় তাঁরা আরও কঠোর আন্দোলনের দিকে যাবেন। রাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা ও তা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা সেখানে বসে বিভিন্ন স্লোগান দেন। পরে দুপুর ১২টার দিকে সড়ক ছেড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের প্রধান ফটকে গিয়ে অবস্থান নেন তারা।

বিক্ষোভকারীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও রাকসু নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণায় টালবাহানা করছে। তাদের অভিযোগ, লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি করা সংগঠনগুলোর বাধার মুখে রাকসু নির্বাচন আটকে দিতে সচেষ্ট প্রশাসন। তারা বলেন, এই আন্দোলনের মাধ্যমে প্রশাসনকে রাকসুর তফসিল ঘোষণায় বাধ্য করা হবে উল্লেখ্য, সবশেষ ঘোষণা অনুযায়ী গত ৩০ জুনের মধ্যে রাকসুর তফসিল ঘোষণা করার কথা থাকলেও নির্বাচন কমিশন তা এখনও করেনি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম