দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ফের সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

স্টাফ রিপোর্টার:

ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ফের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থীকে সোমবার মারধরের ঘটনায় আজকের সংঘর্ষ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা কলেজের একদল শিক্ষার্থী সিটি কলেজের সামনে জড়ো হন। তখন সিটি কলেজের শিক্ষকরা তাদের আটকানোর চেষ্টা করেন। এ সময় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা সিটি কলেজের গেটে ইট-পাটকেল মারতে থাকেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহসিন উদ্দিন বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ ক্যাম্পাসে ফেরানোর চেষ্টা চলছে।

দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নানা ইস্যু নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে রেষারেষি চলছে বলেও জানান তিনি।

এর আগে, গত ৯ ফেব্রুয়ারি ‘কথা কাটাকাটির’ জেরে সায়েন্সল্যাব এলাকাতে দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে চলা এ সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছিলেন।

এরপর সোশ্যাল মিডিয়ার লেখালেখিকে কেন্দ্র করে গত ১৫ এপ্রিল দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ফের আজ শাহবাগ ব্লকেড

স্টাফ রিপোর্টার:

আওয়ামী লীগকে চিরতরে নিষিদ্ধ, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও আহতদের উন্নত চিকিৎসার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ ব্লকেড করেছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আহতরা।

রোববার (১১ মে) সকালে তারা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন।

রাজপথে চলমান আন্দোলনের আহত অংশগ্রহণকারীরা বলেন, তারা কোন রাজনৈতিক দলের ব্যানারে আন্দোলন করলেও ‘জুলাই সনদ’কে হারিয়ে যেতে দিতে চান না। আহতদের দাবি, তাদের জীবন থাকতেই আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর পুনর্বাসন কোনভাবেই মেনে নেয়া যাবে না।

তারা আওয়ামী লীগকে ‘ভারতের রাজাকার’ আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘কার্যক্রম নিষিদ্ধের নামে নাটক নয়, আইনের প্রয়োগ ঘটিয়ে দলটিকে চিরতরে নিষিদ্ধ করতে হবে।’ আন্দোলনকারীদের স্পষ্ট বার্তা, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ছাড়া তারা রাজপথ ছাড়বেন না।

এছাড়া তারা দাবি করেন, রাজপথে অবস্থানকালেই ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা করতে হবে। আহতদের চিকিৎসা নিশ্চয়তা দিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ঘোষণা আসা জরুরি বলেও তারা জানান। দাবি তোলা হয়, আহতদের আজীবন চিকিৎসার ব্যবস্থাও নিশ্চিত করতে হবে।

আন্দোলনকারীরা হুশিয়ারি দেন, যতদিন পর্যন্ত না তাদের সব দাবি পূরণ হবে, ততদিন পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বেন না।

এর আগে শনিবার (১০ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেসসহ আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরিপত্র পরবর্তী কর্মদিবসে জারি করা হবে। এর পাশাপাশি আজকের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জুলাই ঘোষণাপত্র আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত করে প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডে অত্যন্ত হতাশাজনক : মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক দের মাঝে যে অনৈক্য কুমিরের দেখা মিলল রাজশাহীর পদ্মায় সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান