শেখ হাসিনা হেরে গেলে বাংলাদেশ হেরে যাবে: কাদের

‘শেখ হাসিনা হেরে গেলে বাংলাদেশ হেরে যাবে’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা এটা হয়তো জানে না বঙ্গবন্ধুর মতো শেখ হাসিনাও পিছু হটতে জানেন না, ভয় পান না। যদি শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না থাকেন, বাংলাদেশ আর বাংলাদেশ থাকবে না। তিনি (শেখ হাসিনা) হেরে গেলে বাংলাদেশ হেরে যাবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা হেরে যাবে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হেরে যাবে।

মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর লালবাগের নবাবগঞ্জ পার্কে লালবাগ থানা ও ২৩, ২৪, ২৫ ও ২৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এরআগে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবু আহমেদ মন্নাফী।

‘রাজপথ এখন থেকে বিএনপির দখলে থাকবে’ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আন্দোলন করতে চাইলে শান্তিপূর্ণভাবে রাজপথে আন্দোলন করুন। আন্দোলনের নামে কোনো ধরনের নৈরাজ্য সৃষ্টি করবেন না। রাজপথ কাউকে ইজারা দেওয়া হয়নি। আপনারা ফাঁকা মাঠে আন্দোলন করবেন, আর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বসে বসে আঙুল চুষবে, তা তো হবে না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আন্দোলন করার জন্য মাঠে কিছু লোক নামিয়েছে। কারা কত দিন থাকেন আমরাও দেখবো। গতবার নির্বাচনের সময়ে ২০ দলীয় জোটের অবস্থা ছিল জগাখিচুড়ি। এখন তাদের অবস্থা আষাঢ়ের তর্জন-গর্জনের মতো।

দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করতে নেতাকর্মীদের হুঁশিয়ার করে তিনি বলেন, যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবেন, তাদেরকে শেখ হাসিনা ছাড় দেবেন না। স্লোগান দিয়ে, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে, শক্তি প্রদর্শন করে নেতা হতে পারবেন না। যে যার এলাকায় জনপ্রিয়, তিনিই সেখানে নেতা হবে।

এই ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক (এম পি), বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম (এম পি), বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম (এমপি), বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা -৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট কাজী নজিব উল্লাহ হিরু।

এই ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবু আহমেদ মন্নাফী। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ হুমায়ুন কবির।

সম্মেলনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাজী মোঃ সাহিদ, সহ-সভাপতি আব্দুস সাত্তার মাসুদ, সহ-সভাপতি শরফুদ্দিন আহমেদ সেন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আশরাফ তালুকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আক্তার হোসেন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আনিস আহম্মেদ, কার্যনির্বাহী সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আনিসুর রহমান সরকার, মোঃ রাকিব হাসান সোহেল, অপু বড়ুয়া, আমিনুল ইসলাম শামীম, লাভলী চৌধুরী, গোলাম রব্বানী।

সম্মেলনে নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি বক্তব্য প্রদান করেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর ২৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি ইয়ার মোহাম্মদ, ২৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি মোঃ ইকরাম উল্লাহ সরওয়ার্দী, ২৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি আব্দুর রহমান বাবলা, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এর ২৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ মকবুল হোসেন, ২৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ মোকাদ্দেস হোসেন জাহিদ, ২৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ আনোয়ার ইকবাল সান্টু।

সম্মেলনে মুজিবীয় শুভেচ্ছায় ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর ২৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন, ২৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক সুলতান আহম্মদ বিপুল, ২৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিক।

এছাড়াও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের লালবাগ থানা এবং ২৩, ২৪, ২৫ ও ২৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ ও কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

লালবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্যে রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক ও কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, আইন বিষয়ক সম্পাদক নজিবুল্লাহ হিরু, কেন্দ্রীয় নেতা ডা. মোস্তাফা জালাল মহিউদ্দিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমদ মন্নাফি, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ।

গাজীপুরের মতোই সকল নির্বাচন সুষ্ঠু করবে (ইসি)

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে বিদেশিদের চাওয়া গুরুত্বপূর্ণ না। আমরা স্বাধীন বা মুক্ত। আর সরকারের কাছ থেকে আমাদের কাছে কখনোই কোন চাপ আসেনি।

রোববার (২৮ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ইসির সাবেক সচিব থেকে নির্বাচন কমিশনার হওয়া মো. আলমগীর।

তিনি বলেন, নির্বাচনে যারা আসবেন তাদের সবার জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করবে নির্বাচন কমিশন। ভোটাররাও যেন ভোট দিতে পারে তা নিশ্চিত করা হবে। গাজীপুরের মতোই আসন্ন সব নির্বাচন সুষ্ঠু করবে ইসি। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা করার সবকিছুই করা হবে।

ইসি আলমগীর বলেন, যারা সমালোচনা করেন তারা সবসময়ই সমালোচনা করেন। নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হয় ৪৫ দিন আগে থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি কি হয়েছে তা আমাদের জানা নেই। আমরা পড়ারও সুযোগ পাইনি, নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। ভিসা নীতির সঙ্গে গাজীপুরে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পর্কিত নয়। নির্বাচনে আইন মেনে না চললে তিনি যেই হোন না কেন ইসি ব্যবস্থা নিবে।

তিনি আরও বলেন, গাজীপুরে সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশন, সরকারসহ সব পক্ষের ভাবমূর্তি ভালো হয়েছে। বিদেশিরা কী চাইলো সেটা নির্বাচন কমিশনের কাছে গুরুত্বপূর্ণ না। সংবিধান ও আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন কাজ করে ও ভবিষ্যতেও করবে। নির্বাচন কমিশন মুক্ত ও স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। এজন্য সরকারের কাছ থেকে কোন চাপ কখনোই আসেনি বলে উল্লেখ করেন আলমগীর।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডে অত্যন্ত হতাশাজনক : মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক দের মাঝে যে অনৈক্য কুমিরের দেখা মিলল রাজশাহীর পদ্মায় সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান