
মাহতাবুর রহমানঃ
আজ মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের অবৈধ দুটো চুনা কারখানাতে অভিযান চালিয়েছে সোনারগাও জোন তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ । মধ্যম বাউশিয়ার মানাবে পার্কের বিপরীত পাশে গ্যাস চোর মাসুদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটিতে সকাল দশটায় শুরু করে এই অভিযান , চলে দুপুর পর্যন্ত । সোনারগাও উপজেলার লাঙ্গলবন্ধের মাসুদ দীর্ঘ বছর ধরে অবৈধ গ্যাস লাইন ব্যবহার করে অবৈধ চুনা কারখানার মাধ্যমে হাতিয়েছে কোটি কোটি টাকা। তার এই অবৈধ কারখানাটি এই পর্যন্ত তিন বার গুঁড়িয়ে দিয়েছে তিতাস। প্রতিবারই অভিযান শেষ হলেই মেরামত হয়ে যায় অবৈধ কারখানাটি।
দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে অভিযান চালানো হয় গজারিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রিপন প্রধানের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটিতে। মধ্যমকান্দিতে অবস্থিত ঘুরিয়ে দেয়া হয় এই অবৈধ চুনা কারখানাটি। অবশ্য গতকাল দৈনিক সবুজ বাংলাদেশে এই রিপন প্রধানকে নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে । অবৈধ দুটি চুনা কারখানা গুঁড়িয়ে দেয়া হলেও গজারিয়ার সব চেয়ে বড় অবৈধ কারখানাটি বারবার দেখেও না দেখার ভান করছে তিতাস কতৃপক্ষ।
অবশ্য তিতাস কতৃপক্ষের জন্য এই ঘটনা নতুন কিছু নয়, আগেও দেখা গেছে এই একই দৃশ্য । সোনারগাও হতে বাউশিয়া যেতে মাঝপথে রয়েছে বালিয়াকান্দি ও ভবেরচরে ইউনিয়ন । আর এই বালিয়াকান্দি ইউনিয়নের মহাসড়কের পাশে মিয়ামী রেষ্টুরেন্টের বিপরীত পাশে গ্লোবাল ইকোনিমিক জোনে অবস্থিত নাজিমুদ্দিন লাভলুর মালিকানাধীন সবচেয়ে বড় এই অবৈধ চুনা কারখানাটি।
যতদূর জানা গেছে এই লাভলু গজারিয়াতে অবৈধ চুনা কারখানার প্রথম উদ্যেক্তা। তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের সাথে রয়েছে লাভলুর যথেষ্ট সখ্যতা। এমনও অভিযোগ উঠেছে লাভলুর দেয়া তালিকা দেখে অভিযান চালানো হয় এই অবৈধ কারখানা গুলোতে। গজারিয়ার সবকটি অবৈধ চুনা কারখানায় একাধিকবার অভিযান চালানো হলেও লাভলুর কারখানায় অভিযান চালানো হয়না একবারের জন্যও। তিতাস কতৃপক্ষকে ম্যানেজ করে বহাল তবিয়তে গ্যাস চুরি অব্যাহত রাখছে এলাকার মাফিয়া খ্যাত নাজিম উদ্দীন লাভলু । বাংলাদেশে সর্বপ্রথম খাট নামক মাদকের চালানও এনেছিল এই লাভলু । ঢাকা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর খাট নামক মাদক সহ এই লাভলুকে গ্রেফতার করেছিল আজ থেকে প্রায় পনের বছর আগে । এদিকে তার আপন সহোদর আল আমিনের রয়েছে আরেকটি চুনা কারখানা , যার অবস্থান ভাটেরচর নতুন রাস্তার মাথায়।
মুন্সিগঞ্জের এই অবৈধ চুনা কারখানা নিয়ে দৈনিক সবুজ বাংলাদেশের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে….