বাউফলে টিসি চেয়ে মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি মোঃ রাশিদুল ইসলাম:

উপবৃত্তির টাকা না পাওয়ায় টুয়াখালীর বাউফলের উত্তর দাসপাড়া দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার নজির আহম্মেদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ক্লাস বর্জন করে কয়েক দফায় মাদ্রাসা বারান্দায় শিক্ষার্থীরা ওই বিক্ষোভ মিছিল করে।

এ সময় মাদ্রাসায় উপস্থিত শিক্ষকরাও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে সুপারের নানা অনিয়মের বিচার দাবি করেন।

মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী আরাফাত জানায়, মাদ্রাসা সংশ্লিষ্ট না হলেও ভারপ্রাপ্ত সুপার নজির আহম্মেদ নিয়মিত মাদ্রাসায় না এসে তার ছেলে ইমরান হোসেনকে দিয়ে তার কাজ করিয়ে থাকেন। উপবৃত্তির জন্য খরচ করতে হবে বলে প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীর কাছ থেকে ৫শ’ করে টাকা আদায় করেন। তবে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সরকারি উপবৃত্তির চলতি কিস্তির টাকা পেলেও তাদের মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা কোন টাকা পায়নি।

বিক্ষোভে অংশ নেয়া ৯ম শ্রেণির
রাবেয়া বেগম, ১০ম শ্রেণির নুসরাত, রুপা, ৭ম শ্রেণির আব্দুল্লাহ সহ আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, বিদ্যুৎ বিল, পরীক্ষার ফি, স্কাউট ফি সহ বিভিন্ন অযুহাতে তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয়। শিক্ষকদের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে দ্বন্দ্ব থাকায় তাদের কথা কেউ শুনছেন না। নিয়মিত ক্লাস পরিচালনা না করায় গত বছর দাখিলে কোন শিক্ষার্থী পাস করতে পারেনি। কোন বিষয় বলতে গেলে সুপারের ছেলে ইমরানের ভয়ে চুপ থাকতে হয়। ভয়ভিতি দেখায় সে। শিক্ষামুলক কোন ধরণের কার্যক্রমে তাদের অংশগ্রহনের সুযোগ দেয়া হয় না। তারা আরও জানায়, ভারপ্রাপ্ত সুপার ও তার ছেলে অন্য মতাবলম্বী হওয়ায় সম্প্রতি আলোচিত উপজেলা ব্যাপি জামায়াত নেতা ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের দেয়া কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা সভাতেও তাদেরকে অংশ নিতে দেয়া হয়নি। এ সময় শিক্ষার্থীরা ভারপ্রাপ্ত সুপারের বিচার দাবী করে অন্যত্র ভর্তির জন্য তাদের টিসি চায়।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসার সহসুপার মাসুম বিল্লাহসহ কয়েকজন জানায়, ভারপ্রাপ্ত সুপার নিজের মর্জি মাফিক তার ছেলেকে দিয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা করেন। তারা অনেকেই অসহায়। উর্ধতন কর্তিপক্ষকে জানিয়েও কোন প্রতিকার মিলছে না।

এ বিষয়ে সুপারের সাথে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করলে সাংবাদিকদেরকে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে ফোন কেটে দেন। এরপর আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

শেখ হাসিনা যে মানবতার মা,তা খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠালে আরও প্রমাণিত হবে

মুন্নি বেগম,পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি।

শেখ হাসিনা যে মানবতার মা,তা খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠালে সেটা আরও একবার প্রমাণিত হবে বলে সাংবাদিকদের দেওয়া বক্তব্যে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালেব হাওলাদার বলেন।
তিনি আরও বলেন,শেখ হাসিনা মানবতার মা,তিনি বাংলাদেশের সকল পর্যায়ের জনগণের একমাত্র অভিভাবক এই কারনেই খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বাসায় থাকার সুযোগ দিয়েছেন এটা সারাবিশ্বে এক দৃষ্টান্তমূলক।তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার নিজস্ব ফেসবুক আইডি থেকে তিনি ‘রাজনৈতিক কারণে আইন পরিবর্তন করে হলেও বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ করে দেওয়া হউক।এবং পোস্টের নিচে তিনি আরও লিখেন যে মন্তব্য না করার জন্য অনুরোধ করছি,এমনটা লিখে পোস্ট করেন যা খুব দ্রুত সময়ের মধ্য ভাইরাল হয়ে পড়ে।
যে পোস্ট দেখে বিএনপির অসংখ্য পদধারী নেতা ও সমর্থকেরা তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে তার প্রশংসা করেন এবং বলেন আওয়ামী লীগের নেতা হওয়ার কারণে বিএনপি জোট সরকারের আমলে এই আব্দুল মোতালেব হাওলাদার অনেক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন,ও বিভিন্ন সময়ে কারাবন্দী জীবনযাপন করেছেন।এরপরেও তিনি আওয়ামী লীগের নেতা হয়েও রাজনৈতিকভাবে কথা বলেছেন সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে।

এদিকে গত শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে এমন দাবি জানিয়ে তিনি একটি পোস্ট দেন। পোস্ট দেওয়ার কারনে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতা-কর্মীরা ওই পোস্টের নিন্দা জানিয়েছেন।
এবিষয়ে আব্দুল মোতালেব হাওলাদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,এটা আমি বাংলাদেশের সার্বিক দিক বিবেচনা করে রাজনৈতিক কারণে লিখেছি,এখানে দোষের কিছু দেখছি না বলে আমি মনেকরি।
এব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের( একাংশ) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইব্রাহিম ফারুক বলেন,পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারের হত্যা ও ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টার সঙ্গে বিএনপি ও জিয়া পরিবার সরাসরি জড়িত।বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদে থেকে তিনি বিএনপি নেত্রীর জন্য যে আইন পরিবর্তন করে বিদেশে চিকিৎসার দাবি জানিয়েছেন তা অত্যন্ত দুঃখজনক। যা সংগঠন বিরোধী বক্তব্যের শামিল। তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ভিপি আবদুল মান্নান এবিষয়ে বলেন,এটি তার ব্যক্তিগত মন্তব্য। এর দায় আওয়ামী লীগ নেবে না।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম