স্বাস্থ্য সহকারী পদে নিয়োগে অনিয়ম, ভুক্তভোগীদের অবস্থান কর্মসূচি

স্বাস্থ্য সহকারী পদে নিয়োগে অনিয়ম, ভুক্তভোগীদের অবস্থান কর্মসূচি

ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতাঃ সোমবার (৩০ জুন) বেলা ১১টার দিকে অনিয়মের অভিযোগ তুলে সিভিল সার্জন কার্যালয় চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে পরীক্ষায় অংশ নেয়া ভুক্তভোগী ৭ জন প্রার্থী। তাদের দাবি, তারা বৈধ প্রার্থী হয়েও নিয়োগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তারা পুনঃতদন্তের মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার দাবি জানান।

ভুক্তভোগী প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন, জেলা সদরের নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের মোহাম্মাদ মাতুব্বরের ডাঙ্গী এলাকার কৃষক সোহরাব জমাদ্দারের ছেলে মো. রাজিব হোসেন (৩১), কানাইপুর ইউনিয়নের রামখন্ড গ্রামের শফিকুল ইসলাম (২৯), রনকাইল গ্রামের রায়হানুল ইসলাম, মাচ্চর ইউনিয়নের বাহিরদিয়া গ্রামের নূরে জান্নাত সারা, কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের সোহেল রানা, মধুখালী উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের ছোন্দাহ গ্রামের শিল্পী খাতুন (২৮) ও সালথা উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের বল্লভদী গ্রামের লাবনী আক্তার।

প্রত্যেকের অভিযোগ, স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ কার্যক্রম হয়নি। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণসহ মৌখিক পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করা সত্ত্বেও নিয়োগবিধির বাইরে এক ইউনিয়ন থেকে অন্য ইউনিয়নে, এক ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ডে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

এরমধ্যে ভুক্তভোগী রাজিব হোসেনের চূড়ান্তভাবে নিয়োগ প্রাপ্ত হলেও তাকে যোগদানে বাঁধা সৃষ্টি করেন সিভিল সার্জন। যোগদানের ক্ষুদে বার্তা পেয়ে গত ১লা জুন যোগদান করতে এলে কোনো কিছু না জানিয়ে তাকে বের করে দেয়া হয় বলে অভিযোগ করেন।

রাজিব হোসেন বলেন, আমাকে যোগদানে বাঁধা দেয়ার পর বিভিন্ন জায়গা আবেদন করেও কোনো সুষ্ঠু সমাধান পাইনি। এতো অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও সিভিল সার্জন কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। যতক্ষণ পর্যন্ত সুষ্ঠু বিচার না পাব ততক্ষণ আমাদের আন্দোলন চলবে।

ভুয়া নাগরিক পরিচয়পত্র দিয়ে অন্য ইউনিয়নে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ করেন নূরে জান্নাত সারা। তিনি বলেন, আমার ওয়ার্ড থেকে আমি লিখিত পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছি এবং মৌখিক পরীক্ষায়ও ভালো ফলাফল করি। কিন্তু আমাকে নিয়োগ না দিয়ে ফরিদপুর পৌরসভার একজন বাসিন্দাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। কিন্তু নিয়োগবিধিতে ইউনিয়নের বাইরে থেকে লোক নেয়ার কথা উল্লেখ নেই। এখানে অবশ্যই অনিয়ম হয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত চাই।

আরেক প্রার্থী শফিকুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আমার ওয়ার্ড থেকে আমি লিখিত পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে মৌখিক পরীক্ষা দেই। ভাবছিলাম আমার চাকরিটা হবে। কিন্তু ফলাফলে দেখি আমার ওয়ার্ডেরই কাউকে নিয়োগ দেয়া হয়নি। এসব নিয়ে অভিযোগ করলেও সিভিল সার্জন এড়িয়ে যাচ্ছেন। একাধিকবার তার কাছে এলে নানা টালবাহান কথা বলছেন। আজ বাধ্য হয়ে এখানে দাঁড়িয়েছি।তাদের দাবি স্বাস্থ্য সহকারী পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম হয়েছে। পুনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হোক অথবা আমাদের যোগদান করতে দেয়া হোক। বিষয়টি সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অবস্থান কর্মসূচি চলবে। দ্রুত সমাধান না হলে আরও কঠোর আন্দোলনে নামবো আমরা।

গত বছরের ২৫ মার্চ ৯টি ক্যাটাগরিতে শূন্য পদে ১২৯ জনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়। এর মধ্যে স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে ১০৪ জনকে নিয়োগের কথা উল্লেখ করা হয়। বিধি অনুয়ায়ী গত ২৩ মে লিখিত ও ২৬ মে মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ২৯ মে চূড়ান্ত ফলাফলের ঘোষণা করা হয়। এই ফলাফল ঘোষণার পরে নানা আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে সিভিল সার্জন ডা. মাহমুদুল হাসানের কার্যালয়ে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. শাহ্ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা জানান, কয়েকটি ওয়ার্ডের নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।

গত বছরের ২৫ মার্চ ৯টি ক্যাটাগরিতে শূন্য পদে ১২৯ জনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়। এর মধ্যে স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে ১০৪ জনকে নিয়োগের কথা উল্লেখ করা হয়। বিধি অনুয়ায়ী গত ২৩ মে লিখিত ও ২৬ মে মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ২৯ মে চূড়ান্ত ফলাফলের ঘোষণা করা হয়। এই ফলাফল ঘোষণার পরে নানা আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে সিভিল সার্জন ডা. মাহমুদুল হাসানের কার্যালয়ে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. শাহ্ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা জানান, কয়েকটি ওয়ার্ডের নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।

তারেক রহমান দেশে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন: আযম খান

তারেক রহমান দেশে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন: আযম খান

টাঙ্গাইল সংবাদদাতা:

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেছেন, শহীদ জিয়াউর রহমান বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন গণতন্ত্র এবং দেশের সমৃদ্ধির জন্য। আজকের এই দিনে বলতে চাই নির্বাচন গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের সব চেয়ে বড় স্তম্ভ। তাই নির্বাচনের বিকল্প শুধুই নির্বাচন। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের বাসাইলে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন।

আযম খান বলেন, নির্বাচন যারা চায় না, নির্বাচনকে বিলম্বিত করতে চায় তাদের এর পেছনে হাত রয়েছে। আমি মনে করি আমরা সব রাজনৈতিক দল যদি নির্বাচনমুখী হয়ে যাই, তাহলে সবার সহযোগিতায় নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শক্তিশালী ভূমিকা পালন করবে। আযম খান আরও বলেন, আমাদের নেতা দেশনায়ক তারেক রহমান খুব তাড়াতাড়ি দেশে ফিরবেন। তার আসার জন্য আমরা প্রস্তুতি গ্রহণ করছি। তিনি বাংলাদেশে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। যেদিন তারেক রহমান বাংলাদেশে আসবেন সেদিন সারা দেশের ১৮ কোটি মানুষ যে যেখানে আছে, সেখান থেকেই টেলিভিশন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, রেডিও ও সব মিডিয়ার মাধ্যমে সবাই তারেক রহমানকে স্বাগত জানাবে, এটা আমি বিশ্বাস করি। পরে বিএনপির এই নেতা উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন।

উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন আল জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আবুল কাশেম, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নূরনবী আবু হায়াত খান নবু, পৌর বিএনপির সভাপতি আকতারুজ্জামান তুহিন, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ পিন্টু, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সোহরাব হোসেন, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রাশেদা সুলতানা রুবি প্রমুখ।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডে অত্যন্ত হতাশাজনক : মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক দের মাঝে যে অনৈক্য কুমিরের দেখা মিলল রাজশাহীর পদ্মায় সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান