জাল স্ট্যাম্প ও জাল স্ট্যাম্প তৈরির সরঞ্জামাদিসহ ০৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

মোঃ হাসানঃ

রাজধানীর রূপনগর ও মিরপুর এলাকায় প্রায় ৬০ কোটি টাকা সমমূল্যের জাল স্ট্যাম্প ও জাল স্ট্যাম্প তৈরির সরঞ্জামাদিসহ ০৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল ৩০ অক্টোবর হতে আজ ৩১ অক্টোবর ২০২২ ইং তারিখে সকাল পর্যন্ত র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল রাজধানী ঢাকার রূপনগর থানাধীন ইস্টার্ন হাউজিং ও মিরপুর-০২ এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে প্রায় ৬০,০০,০০,০০০/- (ষাট কোটি) টাকা সমমূল্যের জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প, জাল বাংলাদেশ কোট ফি, নন জুডিশিয়াল জাল স্ট্যাম্প ও সেগুলো তৈরির প্রায় ২০ লক্ষ টাকার সরঞ্জামাদিসহ উক্ত কারখানার মালিকসহ ০৩ জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের নাম ১। মোঃ মোতাহার মিয়া (২৬), ২। মোঃ মিকাইল মিয়া (২০) ও ৩। মোছাঃ আম্বিয়া পারভেজ লুপা (২০) বলে জানা যায়। এসময় তাদের নিকট থেকে ৫০০ টাকার জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প ২৫৫৫০০ পিস, ২০০ টাকার জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প ১৮০০০০ পিস, ১০০ টাকার জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প ৩৬৯০০০০ পিস, ৫০ টাকার জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প ৪১৮০০০ পিস, ১০ টাকার জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প ২০৪০০০০ পিস, ১০ টাকার জাল ডাক টিকেট ২২৬০০০ পিস, ১০০ টাকার ননজুডিসিয়াল জাল স্ট্যাম্প ১৭০০০০০ পিস, ২০ টাকার জাল কোর্ট ফি ৩৬৮০০০ পিস, ১০ টাকার জাল কোর্ট ফি ৮৮০০ পিস, ০২টি ননজুডিসিয়াল জাল স্ট্যাম্প/রেভিনিউ স্ট্যাম্প তৈরীর মেশিন, ০১টি সিপিইউ, ০১টি মনিটর, ০১টি প্রিন্টার, ০১টি কী-বোর্ড, ০১টি মাউস, ০৩টি পাওয়ার ক্যাবল, ০২টি ডাটা ক্যাবল, ০২টি জাল স্ট্যাম্প বিক্রি সংক্রান্ত রেজিস্ট্রার, ০১টি কেমিক্যাল সহ জারিকেন, ০৯টি বিভিন্ন প্রকার জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প তৈরীর জন্য টিনের ডাইচ, ২০০০ পাতা জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প তৈরীর কাগজ, ০৪টি ননজুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে জলছাপ দেওয়ার ডাইচ এবং জালকৃত বিভিন্ন মানের রেভিনিউ স্ট্যাম্প বিক্রির নগদ- ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃতরা জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প, জাল বাংলাদেশ কোট ফি ও নন জুডিশিয়াল জাল স্ট্যাম্প প্রস্তুত ও সরবরাহকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা প্রায় ছয় মাসের অধিক সময় ধরে বাংলাদেশ সরকারের সিকিউরিটি প্রিন্টিং প্রেসের মুদ্রনযোগ্য বিভিন্ন সরকারী রেভিনিউ স্ট্যাম্প জালিয়াতির মাধ্যমে আধুনিক যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প প্রস্তুত করে দেশের বিভিন্ন অসাধু রেভিনিউ স্ট্যাম্প, বাংলাদেশ কোট ফি ও নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের নিকট সরবরাহ করে আসছিল বলে জানা যায়।

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় নিয়মিত মামলা রুজুর কার্যক্রম প্রক্রিয়ধীন রয়েছে।

টিকটক করতে গিয়ে ছয় মাসে দেশে ১০ তরুণের মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার॥

চলতি বছরের ছয় মাসে টিকটক করতে গিয়ে ১০ তরুণ-তরুণী প্রাণ হারিয়েছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। পাশাপাশি টিকটকের কুখ্যাত ‘ব্ল্যাক আউট চ্যালেঞ্জ’-এ অংশ নিতে গিয়ে দেশের কেউ মারা গেছে কিনা, তা তদন্তের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। সংগঠনটি বলছে, গত কয়েক বছর ধরে ছোট পরিসরে ভিডিও তৈরির চীনা প্ল্যাটফর্ম টিকটকের অপব্যবহার এতটা বেড়েছে যে, তা তরুণ-তরুণীদের জন্য মৃত্যুফাঁদ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

সংবাদমাধ্যম দ্য ভার্জ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ব্ল্যাক আউট চ্যালেঞ্জে টিকটক ব্যবহারকারীদের নিজের বেল্ট, টাই, জুতার ফিতা বা অনুরূপ কিছু দিয়ে শ্বাসরোধ করতে উৎসাহিত করা হয়। এই চ্যালেঞ্জ জিততে বেশিক্ষণ শ্বাসরোধ করে থাকতে গিয়ে অনেকেই মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ছে। অভিভাবকরা দাবি করেছেন, টিকটকের ভয়ংকর ‘ব্ল্যাক আউট চ্যালেঞ্জ’ গ্রহণ করে তাঁদের সন্তানরা শ্বাসরোধে মারা গেছে। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, অস্ট্রিয়ায় ব্ল্যাক আউট চ্যালেঞ্জে অংশ নিয়ে কিশোর-কিশোরীদের মৃত্যুর অভিযোগ এনে টিকটকের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে।

মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশে সাধারণত টিকটকে ভাইরাল হতে ঝুঁকিপূর্ণ ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে তরুণ-তরুণীরা প্রাণ হারাচ্ছে। নারী ধর্ষণ, পাচারসহ টিকটককেন্দ্রিক অপরাধ প্রবণতাও বেড়েছে। তবে ‘ব্ল্যাক আউট চ্যালেঞ্জ’-এ কেউ মারা গেছে কিনা, তা তদন্ত করে দেখতে হবে। তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে টিকটককে জবাবদিহির আওতায় আনার দাবি জানিয়ে আসছি। এ বিষয়ে এরই মধ্যে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। তবে প্ল্যাটফর্মটিকে জবাবদিহি নিশ্চিতে সরকারের কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না।

এ বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগোযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, টিকটকের সঙ্গে আমার এটা নিয়ে কথা হয়েছে। তারা জানিয়েছে, ব্ল্যাক আউট চ্যালেঞ্জ তাদের কোনো চ্যালেঞ্জ নয়। এটা ব্যবহারকারীদের কেউ কেউ নিজেরাই তৈরি করে থাকতে পারে। তাদের প্ল্যাটফর্মে এমন কিছু থাকলে আমি সেটি বন্ধ করতে বলেছি। টিকটক কর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত করেছে, টিকটকে কেউ এটা আর করতে পারবে না। টিকটককে এখন আমরা নিয়মিত মনিটরিংয়ের মধ্যে রেখেছি। তারা এখন প্রতিদিনই আমাদের কাছে প্রতিবেদন দিচ্ছে। আমরা আশা করছি, টিকটক তরুণদের সুরক্ষার পাশাপাশি বিধিবিধান মেনেই কাজ করবে।

 

 

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম