দুই কোটি টাকার স্বর্ণের বারসহ আটক ৩

জেলা প্রতিনিধি:

যশোরের বাঘারপাড়ায় এক কেজি ৩১৫ গ্রাম ওজনের ১১টি স্বর্ণের বারসহ তিন পাচারকারীকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। রোববার (১৩ জুলাই) ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার ধলগাঁ রাস্তা বাসস্ট্যান্ড থেকে তাদের আটক করা হয়। আটক স্বর্ণের বাজারমূল্য এক কোটি ৯২ লাখ ২৭ হাজার ৯৩০ টাকা বলে জানিয়েছে বিজিবি।

আটককৃতরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার চরচারকলা গ্রামের মৃত জিলু মিয়ার ছেলে আতা এলাহি জীবন (৩৫), গাজীপুরের কাশিমপুর উপজেলার পূর্ববাগবাড়ি গ্রামের আহমদ আলীর ছেলে আবুল কালাম আজাদ (৪৬) ও বগুড়ার শেরপুর উপজেলার রানিরহাট গ্রামের সুচিত্র লাল মন্ডলের ছেলে শ্রী রামপ্রসাদ মন্ডল (২৮)।

বিজিবি জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাঘারপাড়া উপজেলার ধলগাঁ রাস্তা বাসস্ট্যান্ড থেকে ওই তিন স্বর্ণ চোরাকারবারিকে আটক করে বিজিবি। পরে তার দেহ তল্লাশি করলে তাদের প্যান্টের পকেটে এবং মানিব্যাগের ভেতরে বিশেষ কায়দার লুকায়িত অবস্থায় ১১টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। যার ওজন ১ কেজি ৩১৫ গ্রাম।

যশোর ব্যাটালিয়নের (৪৮ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী বলেন, আটক আসামিদের প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, দুই চোরাকারবারি ঢাকা থেকে যশোর-চৌগাছা হয়ে এবং একজন যশোর-নাভারণ হয়ে ভারতে পাচার করার উদ্দেশে স্বর্ণগুলো নিয়ে যাচ্ছিলেন। তারা ঢাকার তাঁতীবাজার এলাকা থেকে স্বর্ণগুলো সংগ্রহ করে একজন যশোর-নাভারণ হয়ে সাতক্ষীরা এবং দুজন যশোর হয়ে চৌগাছায় গমন করছিলেন।

তিনি আরও বলেন, স্বর্ণসহ আটককৃত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় হস্তান্তর এবং স্বর্ণ ট্রেজারিতে জমা দেওয়া হয়েছে।

 

 

 

বাড়ি ফিরেছেন টেকনাফে অপহৃত দুই কৃষক

স্টাফ রিপোর্টার: 

কক্সবাজারের টেকনাফে পাহাড়ি এলাকা থেকে ফাঁকা গুলি ছুড়ে অস্ত্রের মুখে দুই কৃষককে অপহরণ করেছিল ডাকাত দল। ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে একদিন পর ডাকাতের কবল থেকে বাড়িতে ফিরেছেন তারা।

অপহৃতরা হলেন- টেকনাফের হোয়াইক্যং কম্বনিয়া পাড়ার মৃত আব্দুল মাবুদের ছেলে জাকির হোসেন (৩৮) ও একই এলাকার ভুলু মিয়ার ছেলে জহির (৫০)।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে টেকনাফের হ্নীলা রঙ্গিখালী পাহাড়ি এলাকা দিয়ে তারা বাড়িতে ফেরেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফেরত আসা জকির আহমেদ বলেন, বুধবার (৪ ডিসেম্বর) কম্বনিয়া পাড়া পাহাড়ের পাশে সবজি ক্ষেতে কাজ করছিলাম। হঠাৎ দুপুরের দিকে অস্ত্রধারী একদল ডাকাত আমিসহ আরও একজনকে অস্ত্রের মুখে অপহরণের চেষ্টা করেন। পরে আশপাশের অন্যান্য কৃষক এগিয়ে এলে তাদের ওপর গুলিবর্ষণ করে। এতে ৩ কৃষকের শরীরে গুলি লাগে। ডাকাত দল আমাদের দুইজনকে মারধর করে পাহাড়ে তাদের আস্তানায় নিয়ে যায়। পরে মুক্তিপণের টাকার জন্য আমাদের ওপর মারধর ও নির্যাতন চালায়। তাদের নির্যাতন থেকে বাঁচতে জনপ্রতি ২০ হাজার করে দুইজনে ৪০ হাজার টাকা পরিবারের মাধ্যমে দেওয়া হলে ১ দিন পর মুক্তি পেয়ে ফেরত আসতে পেরেছি।

 

এ বিষয়ে হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই মোজাহার হোসেন বলেন, বুধবার দুই কৃষক অপহরণের ঘটনাটির খবর পেলে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে একজন ডাকাতকে আটক করতে পেরেছি। আমাদের অভিযান অব্যহত ছিল। শুনেছি বৃহস্পতিবার সকালে অপহৃত দুই কৃষক ডাকাতদলের কবল থেকে বাড়িতে ফিরে এসেছেন।

 

উল্লেখ্য, গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিরা হলেন মো. সোহেল (১৮), কায়সার উদ্দিন (২০) ও মো. সাকিব (১২)। তাদের চিকিৎসার জন্য উখিয়া ও কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আটক ব্যক্তির নাম মো. সাদ্দাম (২৭)। তিনিও একই এলাকার এজাহার মিয়ার ছেলে।

সবা:স:জু- ১৯৬/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম