কক্সবাজারে এনজিওকর্মী রোহিঙ্গা কোটিপতি

মোঃআলম কক্সবাজার প্রতিনিধ।
নানা অপকর্মে ব্যবহার হচ্ছে ইন্সপেক্টরের ৫ গাড়ি
বিলাসবহুল গাড়িতে পুলিশের লোগো ও স্টিকার লাগিয়ে ব্যবহার করছে অপরাধীরা পাজেরো।
কক্সবাজারে এক ট্রাফিক পরিদর্শকের (ইন্সপেক্টর) পাঁচ বিলাসবহুল গাড়িতে পুলিশের লোগো ও স্টিকার লাগিয়ে ব্যবহার করছে এনজিওকর্মী রোহিঙ্গা যুবকের নেতৃত্বে অপরাধী সিন্ডিকেট। গাড়িগুলো নিয়ে নিরাপদে নানা অপকর্ম করে দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে তারা। বিশেষ করে জায়গায়-জায়গায় পরিদর্শকের হস্তক্ষেপ থাকায় উখিয়া-টেকনাফ থেকে ওই এনজিওকর্মী চেকপোস্ট ফাঁকি দিয়ে যাতায়াত করছেন কক্সবাজার শহরসহ চট্টগ্রামেও।
অভিযোগ উঠেছে, এসব গাড়িতে ইয়াবা পাচারসহ নানা অপকর্ম করে যাচ্ছে এ সিন্ডিকেটটি। সম্প্রতি সিন্ডিকেটের প্রধান ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) আমিনুর রহমান ও তার প্রধান সহযোগী এনজিওকর্মী রোহিঙ্গা যুবক মনসুর, সেলিম ও আব্দুছ সালামের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের পর টিআই আমিন প্রতিবাদ নিয়ে তোড়জোড় শুরু করলেও অন্যরা গা ঢাকা দিয়েছেন।
সূত্রমতে, কক্সবাজার ট্রাফিক বিভাগের ইন্সপেক্টর আমিনুর রহমানের মালিকানাধীন ৫টি গাড়িতে পুলিশের লোগো ও স্টিকার লাগানো রয়েছে। আর এ গাড়িগুলো মাদকসেবন, বিক্রি, নারীদের নিয়ে জলসা, প্রতারণা, টার্গেট করে রাস্তা থেকে যানবাহন ধরে মোটা অঙ্কের বাণিজ্যসহ নানা অপরাধে ব্যবহার করছেন রোহিঙ্গা মনসুর। তিনি একটেড সিস্টার অর্গানাইজেশন রিচ নামের এনজিওতে ফ্লিড অফিসার হিসাবে কাজ করেন। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর গাড়ি থেকে স্টিকার ও পুলিশের লোগো তুলে ফেলেছেন সিন্ডিকেটের সদস্যরা। টিআই আমিনুর যুগান্তরকে জানান, তার একটি মোটরসাইকেল, একটি নোয়া, একটি পাজেরো, একটি ল্যান।

ছাত্রলীগ থেকে গুন্ডা—সন্ত্রাস বের হয়, মন্তব্য চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের

চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজ চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় বলেন, ছাত্রলীগ থেকে যেমন গুন্ডারা বের হয়, সন্ত্রাসরা বের হয়, ছাত্রলীগ করতে করতে করতে করতে, কিভাবে করতে হয় তা আমি জানি। হাজার হাজার সংগঠক আমি তৈরি করছি এখান থেকে। আমাকে শিখাতে হবেনা কিভাবে কি করতে হবে।

এসময় তিনি চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিমকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, হেডাম (ক্ষমতা) থাকলে সামনাসামনি দাঁড়াতে বলবেন।

আমি চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি মাহমুদুল করিম যদি সামনাসামনি দাড়িয়ে ফাইট (লড়াই) করতে পারে তবে আমি রাজনীতিতে জুতার মালা পড়ে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে যাব। জুতার মালা পড়েই যাবো।

মঙ্গলবার(২০ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের পর গণমাধ্যমে এসব কথা বলেন সবুজ।

সবুজের এমন আক্রমনাত্মক কথাবার্তায় যে ফের কলেজটিতে সংঘর্ষ হতে চলেছে তার আভাস অনেকটাই বুঝা যাচ্ছে দুই গ্রুপের কর্মীদের দেওয়া ফেসবুক স্ট্যাটাসেও। সবুজের এমন বক্তব্যের পর ফেসবুকজুড়ে একে অপরকে ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন পোস্ট করছে বলে জানা গেছে।

কলেজটির ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা একে অপরকে উদ্দেশ্য করে স্ট্যাটাস দিতে দেখা যায়। এতে সরাসরি লড়াইয়ের কথাও উল্লেখ করা হয়।

মঙ্গলবার( ২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নিজেদের গ্রুপে কর্মী সংগ্রহ করতে গিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের অনুসারীরা।

এতে উভয় পক্ষ থেকে অন্তত ১০ জন আহত হন। সংঘর্ষে কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর মোছাম্মৎ নাজমা বেগমের কক্ষটিও ভাংচুর করেন কলেজ ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা।

তবে এই ঘটনায় এখনো থানায় কোন পক্ষই মামলা করেনি বলে জানা যায়।

গত এক বছরেই কয়েকদফা সংঘর্ষে জড়ায় চট্টগ্রাম কলেজে বিবাদমান ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা।

কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিমের গ্রুপটি হলো শিক্ষাউপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী এবং সাধারন সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজ স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর মোস্তফা টিনুর অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম