কয়েকটি বাচ্চা এসে জড়িয়ে ধরে বললো আপু বাঁচাও

কয়েকটি বাচ্চা এসে জড়িয়ে ধরে বললো আপু বাঁচাও

ডেস্ক রিপোর্ট:
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর ১টার কিছু সময় পরে রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে আছড়ে পড়ে বিমান বাহিনীর এফ-৭ বিজিআই নামে প্রশিক্ষণ বিমান। আতংকে ছুটতে থাকেন শিক্ষার্থী-শিক্ষক ও কর্মচারীরা। চারদিক ছোটাছুটি করতে থাকেন সবাই। চিৎকার আর আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠে চারপাশ। আহতদের দ্রুত উদ্ধার শুরু করেন সহপাঠীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্কুল ছুটির সময় হঠাৎ বিমানটি আছড়ে পড়ে মুহূর্তেই আগুন ধরে যায় ভবনের একাংশে। আহত ও দগ্ধ হন অনেকে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে দ্রুত কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট। একে একে বের করে আনা হয় আহতদের। উদ্ধার অভিযানে যোগ দেয় সেনাবাহিনী। হেলিকপ্টারে করে আহতদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। ভিড় সামলাতে ২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়।

বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় যখন চারদিকে আতংক আর বিভীষিকা, তখন সাহস করে হতাহতদের সাহায্যে এগিয়ে আসেন কলেজ শাখার এক শিক্ষার্থী। চোখের সামনে বিমান বিধ্বস্তের ভয়াবহ মুহূর্ত দেখেও ভয না পেয়ে তিনি আহত শিশুদের উদ্ধারে ঝাঁপিয়ে পড়েন। হাসপাতালে আহতদের নিয়ে এসে তিনি নিজেই বর্ণনা করেছেন সেই বিভীষিকাময় সময়ের কথা।

এই শিক্ষার্থী বলেন দু-তিনটি বাচ্চা এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে বললো আপু বাঁচাও। কিছু করো। ওদের চেহারা দেখার মতো ছিল না। পুরো চেহারা ঝলসে গিয়েছিল। ওদের ড্রেসও ছিঁড়ে গিয়েছিল। ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত ১৯ জন মারা গেছেন। আহত ও দগ্ধ হয়েছেন দেড়শতাধিক। বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি ৪৮ জনের মধ্যে বেশিরভাগের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। এছাড়া, উত্তরার কয়েকটি হাসপাতালে বহুজনকে ভর্তি করা হয়েছে। মারা গেছেন প্রশিক্ষণ বিমানটির পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম সাগরও। বিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনায় মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।

যুবকের পোশাক-জুতাও নিয়ে গেল ছিনতাইকারী

ডেস্ক রিপোর্ট:

দিন দিন রাজধানীতে বেপরোয়া হয়ে উঠছে ছিনতাইকারীরা। বেড়েই চলেছে ছিনতাইয়ের ঘটনা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে কঠোর নজরদারি করেও নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না ছিনতাইকারীদের। প্রতিনিয়ত যুক্ত হচ্ছে অভিনব ছিনতাইয়ের কৌশল।

এমনই ভয়াবহ এক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে রাজধানীর শ্যামলীতে। এ ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, ছিনতাইকারীরা ভুক্তভোগী যুবকের সঙ্গে থাকা সব কিছু কেড়ে নেওয়াসহ ভুক্তভোগীর গায়ের পোশাক ও পায়ের জুতাও খুলে নিচ্ছেন।

শনিবার (১২ জুলাই) শেরে বাংলানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমাউল হক বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তবে এ ঘটনায় এখনো থানায় কোনো অভিযোগ জমা পড়েনি।

ইমাউল হক বলেন, ছিনতাইয়ের ঘটনায় এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে কোনো ধরনের অভিযোগ জমা পড়েনি। তবে আমরা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ছিনতাইকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি। আমি টিম নিয়ে ঘটনাস্থলে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, ভুক্তভোগীর সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম থাকলে আমাদের বিস্তারিত দিন। আমি ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, শুক্রবার ভোর ৬টার দিকে শ্যামলী ২ নম্বর রোডে অবস্থিত কাজী অফিসের দিক থেকে ছাতা হাতে এক ব্যক্তিকে হেঁটে যেতে দেখা যায়। এসময় তার পেছন দিক থেকে একটি মোটরসাইকেলে আসতে দেখা যায় তিনজনকে। ভুক্তভোগীর কাছে এসে মোটরসাইকেলের পেছনের ব্যক্তি নেমে পড়েন। বাকি দুজন মোটরসাইকেলটি ইউটার্ন নিয়ে ভুক্তভোগীর সামনে এসে অবস্থান নেন। এসময় চালকের পিছে থাকা অন্য ছিনতাইকারীও নেমে পড়েন।

অভিযুক্ত তিন ছিনতাইকারীর মধ্যে দুজনকে হেলমেট পরিহিত অবস্থায় এবং একজনকে খালি গায়ে দেখা গেছে।

পরে দুই ছিনতাইকারী ভুক্তভোগীর কাছে থাকা টাকাসহ সবকিছু ছিনিয়ে নেন। এসময় তাদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে ভুক্তভোগীকে ভয় দেখানো হয় এবং তার জামা ও জুতা খুলে নিতেও দেখা গেছে। ছিনতাই শেষে মোটরসাইকেলে চেপে তিন ছিনতাইকারীকে আবারও কাজী অফিসের দিকে পালিয়ে যেতে দেখা যায়।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম