মাদক ব্যবসায়ীদের আস্থাভাজন মোহাম্মদপুর থানার ওসি

মাদক ব্যবসায়ীদের আস্থাভাজন মোহাম্মদপুর থানার ওসি

ডেস্ক রিপোর্ট:

মাদক আর সন্ত্রাস দমন নয় উল্টো রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার ওসি আলী ইফতেখার হাসানের ছত্রছায়ায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীরা। অভিযোগ আছে, স্থানীয়রা মাদকসহ আসামি ধরিয়ে দিলেও তা গায়েব করে ফেলেন তিনি। তাকে মোহাম্মাদপুরে বহাল রাখতেও মরিয়া এখন মাদক ব্যবসায়ীরা। সম্প্রতি দশ লাখ টাকার হেরোইন আত্মসাৎ করে মাদক মামলাকে ছিনতাই মামলা বানিয়ে ফেলার অভিযোগ ওঠে মোহাম্মাদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আলী ইফতেখার হাসারের বিরুদ্ধে।

মাদক, চুরি ছিনতাই, অস্ত্রবাজী থেকে বাচঁতে মাদক ব্যানার পোষ্টারিংও করা হয়েছে। ৭ মে প্রায় ১শ গ্রাম হিরোইনসহ সাদ্দাম ওরফে ম্যানেজার সাদ্দামকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তবে পুলিশ সাদ্দামকে আদালতে চালান করে ২০২৩ সালে আরেক মাদক মামলার ওয়ারেন্টে। তাহলে জেনেভা ক্যাম্পের জনতা যে হেরোইন উদ্ধার করে দিলো তা কোথায়? এমন প্রশ্নও ছিল মোহাম্মাদপুর থানার ওসির কাছে।

সাদ্দাম ওরফে ম্যানেজার সাদ্দামকে থানায় আনার পর সাধারণ ডায়েরিতে নোট নিয়ে প্রস্তুত করা হয় এজাহার। ২৪/৪৪৩ নম্বরের সে মামলায় ১০০ গ্রাম হেরোইন জব্দের তালিকায় দেখানো হয়। যার বাজার মূল্য উল্লেখ করা হয় ১০ লাখ টাকা। এজাহারটি এস আই রাজুকে ফরওয়াডিং দেয়ার নির্দেশও দেওয়া হয় থানার নিজস্ব হোয়াটসআপ গ্রুপে। নির্দেশনা পেয়ে প্রস্তুত করা চালাননামায় সাদ্দামের নাম লিখে কোনো অজ্ঞাত কারণে আবার কেটে ফেলেন তারা। হেরোইনের মামলা গায়েব করে পুরোনো ওয়ারেন্টে চালান করা হয় সাদ্দামকে। ২৪/৪৪৩ নম্বরের মামলাটি হয়ে যায় ছিনতাই মামলা।

এটি কি আসলেই ভুল, নাকি ওসির নির্দেশেই হেরোইন গায়েব করে পুরোনো মামলায় চালান করা হয় সাদ্দামকে। সে বিষয়টি জানতে সেদিনের ডিউটিরত অফিসার ও মুন্সির সঙ্গে কথা বলতে চাইলেও বাধা হয়ে দাড়ান ওসি ইফতেখার। ওসি ইফতেখারের এমন কর্মকাণ্ড নিয়ে কথা হয় তেজগাঁও জোনের ডিসি ইবনে মিজানের সঙ্গে। তার দাবি বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তার পক্ষে করা মানববন্ধনে অংশ নেন ইকবাল ওরফে কশাই ইকবাল। পুলিশের কাছে থাকা তথ্য বলছে, এই ইকবালের নামে রয়েছে মাদক মামলা। এতে আরও অংশ নেন রাকিব, ইফরান, রুবেলসহ অসংখ্য মাদক ব্যবসায়ীরা। এরা সবাই মাদকসহ একাধীক মামলার আসামি বলে জানা গেছে।

যাত্রাবাড়ী- থেকে বিভিন্ন রোডে লেগুনায় চাঁদাবাজি সবাইকে ‘ম্যানেজ’ করে চাঁদাবাজি

স্টাফ রিপোর্টার
প্রভাবশালীদের নাম ভাঙিয়ে টাকা নিচ্ছে পলাশ, বাচ্চু, মনির ও নান্টু বাহিন্।ী অসহায় লেগুনার মালিক চালকেরা, ভোগান্তি যাত্রীদেরও। মাসে অর্ধকোটি টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ। প্রভাবশালীদের নাম ভাঙিয়ে টাকা নিচ্ছে এ বাহিনী’। অসহায় লেগুনার মালিক চালকেরা, ভোগান্তি যাত্রীদেরও। মাসে অর্ধকোটি টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ।
যাত্রাবাড়ী থানার সামনে প্রধান সড়কের প্রায় অর্ধেক আর পিছনের অর্ধেক দখল করে রাখা হয় শতাধিক লেগুনা। যেগুলো যাত্রাবাড়ী থেকে চিটাগাং রোড আর স্টাফ কোয়াটার হয়ে বরপা পর্যন্ত চলাচল করে। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে এখান থেকে প্রতি মাসে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা চাঁদা নিচ্ছে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি গোষ্ঠী। প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদের ‘ম্যানেজ’ করেই চলছে বেপরোয়া চাঁদাবাজি। চক্রটির কাছে অসহায় হয়ে পড়েছে লেগুনার চালক ও মালিকেরা। ফলে চাঁদার টাকা পুষিয়ে নিতে নানা বাহানায় মাঝেমধ্যেই বাড়িয়ে দিচ্ছেন লেগুনার ভাড়া। হয়রানির শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এই রোডে প্রতিদিন প্রায় আড়াই শ লেগুনা চলাচল করে। পাঁচ কিলোমিটার রাস্তার জনপ্রতি ভাড়া ২০ টাকা। প্রতি গাড়ি থেকে প্রতিদিন চাঁদা নেওয়া হচ্ছে প্রায় ৭০০ টাকা করে। সরকারি দলের নাম ভাঙিয়ে এই চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছেন পলাশ,বাচ্চু, মনির ও নান্টু নামের কয়েকজন। এমনকি চাঁদার মধ্যেও আছে নানা খাত। পলাশ,বাচ্চু, মনির ও নান্টুর নামে ওঠে ৪৮০ টাকা, ম্যাজিস্ট্রেটের দোহাই দিয়ে এর সঙ্গে যোগ হয় ১০০ টাকা, এ ছাড়া লাইনম্যানদের কথা বলে দিনে রাতে দুইবারে ৬০ টাকা করে নেওয়া হয়। এর বাইরেও আছে বিশেষ চাঁদা, যে হিসেবে প্রতি মাসে আলাদা ১ হাজার টাকা করে দিতে হয় মালিকদের। লেগুনাচালক জাকির অভিযোগ করে বলেন, ‘চাঁদা তো দিতেই হয়। পাশাপাশি মালিকের জমা আর তেল খরচ দিয়ে আমার ও হেলপারের বেতন তেমন একটা থাকে না। কী আর করুম ভাই, পেটের দায়ে তো কাম করতেই হইব।’
ইমরুল কায়েস নামে যাত্রাবাড়ীর এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘শুনেছি চাঁদার টাকা বাড়লে লেগুনাচালকেরা মাঝেমধ্যে ৫ টাকা করে ভাড়া বাড়িয়ে দেন। আমার বাসা রায়েরবাগ। আমাকেও কয়েক দিন বেশি দিতে হইছে। কামাল নামের আরেক যাত্রী বলেন, ‘চাঁদার টাকা যদি দিতে না হইত তবে তো বর্তমানে ২০ টাকার ভাড়াও ১৫ টাকা নিতে পারত। চাঁদার জন্যই তো তারা বেশিই রাখে। আপনারা চাঁদার টাকার ভাগ পাচ্ছেন, এই অভিযোগ নিয়ে জানতে চাইলে যাত্রাবাড়ীর দায়িত্বরত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) বলেন, ‘এগুলো কথার কথা। চাঁদা নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। আমরা কয়েকবার চাঁদাবাজদের সরিয়েও দিয়েছি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন লেগুনাচালকের অভিযোগ, চাঁদা আদায়ে পলাশ,বাচ্চু, মনির ও নান্টুর সহযোগী বাহার, মিজান, আরিফ ও রাসেল নামে আরও কয়েকজন। তা ছাড়া আগে সাবেক সাংসদ হাবিবুর রহমান মোল্লার নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি করত একটি গোষ্ঠী। তিনি মারা যাওয়ার পর উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য হন কাজী মনিরুল ইসলাম মনু। এরপর বন্ধ থাকে চাঁদাবাজি। কিন্তু দুই মাস পর ফের মালিক-চালকদের ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায় করে নিচ্ছে পলাশ,বাচ্চু, মনির ও নান্টু বাহিনী। আরেক লেগুনাচালক বলেন, ‘পলাশ কখনো স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কখনো আবার ছাত্রলীগ, এমন পরিচয় দিয়ে চাঁদা তুলে নিচ্ছে। যে কারণে কেউ বাধা দেয় না। তা ছাড়া এখানে চালক-মালিকেরা কিছুই না। কার গাড়ি চলবে আর কারটা চলবে না, সবই ঠিক করে দেয় পলাশ। এ প্রসঙ্গে ওয়ারী জোনের ডিসি জানান, ‘এই চাঁদাবাজদের সঙ্গে প্রশাসনের কেউ জড়িত থাকলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তা ছাড়া তদন্ত করে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধেও অভিযান দেওয়া হবে। সার্বিক বিষয়ে ঢাকা-৫ আসনের সাংসদ কাজী মনিরুল ইসলাম মনু বলেন, ‘আমার নাম ভাঙিয়ে কেউ চাঁদাবাজি করলে অনেক আগেই আমি প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। এরা আওয়ামী লীগেরও কেউ না। অঙ্গসংগঠনেরও যদি কেউ থাকে আমি পুলিশকে বলব ব্যবস্থা নিতে। আমি এদের কোনোভাবে চিনিও না।’

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের বিদেশ যেতে না পারায় মাইক ভাড়া করে এলাকাবাসিকে গালিগালাজ করলেন কিশোরগঞ্জের যুবক জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কুমিল্লায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পালিয়েছেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন ঢাকা এলজিইডিতে দুর্নীতির একচ্ছত্র অধিপতি বাচ্চু মিয়া বিমান বন্দরের সামনে এখোনো উৎসুক জনতার ভীড় নেভেনি আগুন বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি শিক্ষকদের