
নেত্রকোনা সংবাদদাতা:
৪ আগস্ট—শুধু একটি তারিখ নয়; শ্যামগঞ্জের সংগ্রামী চেতনার প্রতীক। এই দিনটি স্মরণ করে সোমবার (৪ আগস্ট) শ্যামগঞ্জবাসী ও শ্যামগঞ্জ আঞ্চলিক বিএনপি উদযাপন করেছে “স্বাধীন শ্যামগঞ্জ দিবস”। আনন্দ মিছিল, শোভাযাত্রা আর শপথের গর্জনে মুখর ছিল গোটা জনপদ। ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনার মাঝখানে, পূর্বধলা ও গৌরীপুর উপজেলার মিলনস্থলে অবস্থিত শ্যামগঞ্জ বাজার—শুধু বাণিজ্যিক কেন্দ্র নয়, বরং রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক চেতনার আলোকবর্তিকা।
এক বছর আগে, ২০২৪ সালের এই দিনে—বৈষম্যবিরোধী ও কোটা সংস্কার আন্দোলনে উত্তাল হয়েছিল শ্যামগঞ্জ। সাধারণ শিক্ষার্থী, শ্রমিক, ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক কর্মী—সবাই এক কাতারে রাস্তায় নামে। তখনই দমন-পীড়নের নগ্ন রূপ দেখায় প্রশাসন। রাবার বুলেট, টিয়ারশেল আর গুলির শব্দে প্রকম্পিত হয় জনপথ। চলাচল থেমে গেলেও আন্দোলন থামেনি। দৃঢ় প্রত্যয়ে জবাব দিয়েছিল অন্যায়ের। সেদিনই উচ্চারিত হয়েছিল গণমানুষের কণ্ঠে:
“আজ থেকে শ্যামগঞ্জ স্বাধীন!”
এক বছর পর, সেই ঐতিহাসিক দিনটি স্মরণে এবারও বের হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও আনন্দ মিছিল। অংশ নেয় আঞ্চলিক বিএনপির নেতৃবৃন্দ, শিক্ষার্থী, সমাজকর্মী, ব্যবসায়ী ও শ্রমজীবীসহ হাজারো মানুষ।
বর্ণিল ব্যানার ও গর্জন তুলেছিল শ্লোগানে:
“শ্যামগঞ্জ মাথা নত করে না”, “স্বাধীনতা মানে প্রতিবাদ”, “ফ্যাসিবাদ নিপাত যাক”।
উল্লেখ করা হয়, শ্যামগঞ্জই ছিল প্রথম, যারা চোখে চোখ রেখে বলেছিল—”না”।
এখানকার মানুষ মাথা নত করে না—গলা উঁচু করে দাঁড়ায়।
আয়োজনে স্মরণ করা হয় ২০২৪ সালের আন্দোলনে আহতদের, এবং ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয় সেই সংগ্রামের স্মৃতিতে।