যুবলীগ নেতাকে ছাড়াতে থানার গেটে এলাকাবাসীর হট্টগোল

যুবলীগ নেতাকে ছাড়াতে থানার গেটে এলাকাবাসীর হট্টগোল

শরীয়তপুর সংবাদদাতা:

শরীয়তপুরের গোসাইরইাট উপজেলায় যুবলীগের এক নেতাকে আটক করে পুলিশ। তাকে ছাড়াতে থানার গেটে এলাকাবাসী হট্টগোল করেন। সোমবার মধ্যরাতে উপজেলার সামন্তসার ইউনিয়ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। মঙ্গলবার সকালের দিকে গ্রেফতার হওয়া যুবলীগ নেতাকে ছাড়াতে থানার সামনে হট্টগোল করেন এলাকাবাসী। গ্রেফতারকৃত হলেন উপজেলা সামন্তসার ইউনিয়নের ৬ নাম্বার ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ফারুক হোসেন (৪৬)। তিনি ওই এলাকার মজিবুর হাওলাদারের ছেলে।

জানা গেছে, ফারুক হোসেন গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে থানাও ঘেরাওয়ের ঘটনা ঘটে। তার বাড়ি পাশের ইউনিয়নে হলেও সকাল থেকে তার স্ত্রী ছেলেমেয়ে ভাইসহ তার সহকর্মীরা থানার মেইন গেটে অবস্থান করছেন। ফারুককে গ্রেফতারের পর তার পরিবারের সদস্যদের ডাকচিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে আসেন। এরপর সকাল থেকে থানার সামনে হট্টগোল করে ফারুকের মুক্তি দাবি করেন তারা।

থানা থেকে যখন ফারুক হোসেনকে জেলহাজতে পাঠানোর জন্য প্রিজনভ্যানে নেওয়ার প্রস্ততি চলছে- ওই সময় ফারুকের স্ত্রী মেয়ে ও তার সহকর্মীরা থানার সামনে এসে প্রিজনভ্যান দেখে ফারুকের মেয়ে চিৎকার করে বলেন আমার বাবাকে জেলে নিতে দেব না। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং অন্য আসামিদের সঙ্গে ফারুককে জেলহাজতে পাঠায়। গোসাইরহাট থানার ওসি মো. মাকসুদ আলম বলেন, ২০১৮ সালে ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী মিয়া নুরউদ্দিন অপু সাহেবের সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় হওয়া বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে যুবলীগ নেতা ফারুককে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে। সি আরও বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

নীলফামারীতে পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানে নিষিদ্ধ হাইড্রোলিক হর্ণ যানবাহনের ভ্রাম্যমাণে জরিমানা

 

আব্দুল মোমিনঃ নীলফামারীতে
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্ব মূলক প্রকল্প’ এর আওতায় জেলার বিভিন্ন স্থানে নিষিদ্ধ ঘোষিত হাইড্রোলিক হর্ণ ব্যবহারকারী যানবাহনের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণে অভিযান পরিচালনা করা হয়। ২২শে ডিসেম্বর দিনব্যাপী নীলফামারী জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্ব মূলক প্রকল্পের আওতায় জেলার বিভিন্ন স্থানে নিষিদ্ধ ঘোষিত হাইড্রোলিক হর্ণ ব্যবহারকারী যানবাহনের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণে অভিযান পরিচালনা করা হয়। উক্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নীলফামারী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ এবং প্রসিকিউটর হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কমল কুমার বর্মন। অভিযানে নিষিদ্ধ ঘোষিত হাইড্রোলিক হর্ণ ব্যবহারকারী ০৩টি বাস ও ০২টি ট্রাকসহ মোট ০৫টি যানবাহনের বিরুদ্ধে ২,৮০০/- (দুই হাজার আটশত) টাকা জরিমানা আদায় করাসহ ০৮টি নিষিদ্ধ ঘোষিত হাইড্রোলিক হর্ণ জব্দ করা হয়। এছাড়া নিষিদ্ধ ঘোষিত হাইড্রোলিক হর্ণ ব্যবহার না করার জন্য সতর্ক করা হয়।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম