রাজধানীতে ৭ কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

রাজধানীতে ৭ কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ডেস্ক রিপোর্ট:

রাজধানীর সরকারি সাত কলেজকে নিয়ে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশ প্রকাশের দাবিতে আজ বুধবার সায়েন্সল্যাব এলাকায় শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা চলমান ব্যাচের শিক্ষার্থীদের নতুন বিশ্ববিদ্যালয় সনদ প্রদান করার দাবিও জানান। গতকাল মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্দ্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশ দ্রুত জারির জন্য সরকারকে একাধিক বার আলটিমেটাম দিয়েছিলাম। সর্বশেষ ইউজিসিতে বসে অধ্যাদেশের জন্য রাষ্ট্রকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময় বেঁধে দিই কিন্তু আমাদের হতাশ করে কর্তৃপক্ষ সেপ্টেম্বরে অধ্যাদেশ দেবে বলে সোমবার সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে। এই কালক্ষেপণের প্রতিবাদে আজ শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকর্মসূচি পালিত হবে বলে জানান তারা।

সাত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর টিমের সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, আমরা বারবার বলেছি শিক্ষা সিন্ডিকেটের কোনো ষড়যন্ত্র মেনে নেওয়া হবে না। আমরা স্বতন্ত্র পরিচয়ের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করছি। আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া অনিয়মের বিরুদ্ধে আমাদের এই অবস্থান। সরকার যখন নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে তখন তা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বাস্তবায়ন করতে হবে।

রাজধানীর আব্দুল্লাহপুরে পুলিশের নাকের ডগায় হোটেল ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল এ চলছে দেহ ও মাদক ব্যবসা!

 

মোঃ ইব্রাহিম হোসেন:

রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানাধীন আব্দুল্লাহপুর বাসস্ট্যান্ডে হোটেল ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল আবাসিক হোটেলে।
হোটেল ব্যবসার নামে চলেছে রমরমা দেহ ও মাদক ব্যবসা দীর্ঘদিন যাবত মাদক ও নারী দিয়ে দেহ ব্যবসায়ী শীর্ষে রয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কিছু সময় পুলিশ এসে হোটেল গুলো বন্ধ করলেও ২/১ দিন যেতে না যেতেই তারা আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠে।

দৈনিক সবুজ বাংলাদেশের অনুসন্ধানে জানা যায়, এখানে রয়েছে কয়েক ধরনের রমরমা ব্যবসা যদি কেউ এখানে মাদক সেবন করতে চায় তাদের জন্যও রয়েছে আলাদা আলাদা অফার, যেমন মেয়ে সাথে বসে মাদক সেবন করতে চাইলে দিবে হবে আলাদা ফ্রি যেমন একটি ইয়াবা ট্যাবলেট এর মূল্য দিতে হয় ১২শত থেকে ২ হাজার টাকা।আর মেয়ের সাথে আলদা রুম শেয়ার করতে হলে আরো দিতে হবে ৩/৪ হাজার এভাবেই তারা হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
হোটেল ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল আবাসিকে রয়েছে একটি বিশাল চক্র! এই চক্রের সদস্যগন বিভিন্ন সময় মানুষকে ব্ল্যাকমেইল করে লক্ষ লক্ষ টাকাও হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

দৈনিক সবুজ বাংলাদেশের অনুসন্ধানে দেখা যায়, হোটেল ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল আবাসিক এ উঠতি বয়সী যুবক-যুবতীর যাওয়া আশা এবং স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছেলে মেয়েরা প্রায়ই এখানে এসে রুম ভাড়া নিচ্ছে এভাবেই যুবসমাজ ধ্বংস করছে এই হোটেল ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল আবাসিকের একটি বিশাল অসাধু চক্র।

এ বিষয়ে আব্দুল্লাহপুর বাসস্ট্যান্ডে কিছু দোকানদার ও বাসের টিকিট কাউন্টারের সাথে কথা হলে তারা জানায়, আমরা এখানে ব্যবসা করতে আসি আর এদের অসামাজিক কার্যকলাপ ও হট্টগোল লেগেই থাকে। মাঝেমধ্যে মনে হয় ব্যবসা ছেড়ে এখান থেকে চলে যাই। তারা আরো জানায়, স্হায়ীয় প্রশাসন এই হোটেল থেকে মোটা অংকের মাসোহারা নিচ্ছেন তাই তারা কোন কোন সময় পুলিশ কর্মকর্তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে চলেন।

এই বিষয়ে এক ভুক্তভোগী রংপুরের আফজাল হোসেন নামের এক যুবক দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ কে জানান,আমি ঢাকায় একটি চাকরির ইন্টারভিউ দিতে এসেছিলাম আমার কোন পরিচিত লোকের বাসা নেই বলে আমি আব্দুল্লাহপুরের হোটেল ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল আবাসিকে একটি রুম ভাড়া নেই, তবে রুমে ঢুকার সাথে সাথে একজন এসে বললেন, আপনার কি মেয়ে ও কোন মাদক লাগবে লাগলে বলেন লোক দিয়ে পাঠিয়ে দিচ্ছি, আমি তাকে বললাম আমার কোন কিছুর দরকার নেই।
কিছু সময় পর একটি মেয়ে ও একটি ছেলে এসে রুমে নক দিয়ে রুমের ভিতরে প্রবেশ করলো তখন মেয়েটা আমাকে জোর করে জড়িয়ে ধরে রেখেছিলো আর ছেলে মোবাইল দিয়ে ছবি তুলতে লাগলো, তারপর আমাকে বলে ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে না হলে এগুলো ফেসবুকে ছেড়ে দিবো আর যদি ইজ্জত বাঁচাতে চাও তাহলে ৫০ হাজার টাকা দেও। তারপর ভুক্তভোগী আফজাল বলেন আমি ইজ্জত সম্মানের ভয়ে বাড়ী থেকে বিকাশে টাকা এনে তাদের কে ২০ হাজার টাকা দিয়ে তারপর হোটেল থেকে ছাড়া পাই।

এই বিষয়ে হোটেল ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল আবাসিক এর ম্যানেজার জাকিরের সাথে কথার বলার চিষ্টা করলেও তিনি দৈনিক সবুজ বাংলাদেশের সাথে কথা বলতে রাজি হয়নি। তবে জাকির বলেন, সাংবাদিক পুলিশ পকেটে রেখেই আমরা ব্যবসা করি।

এই বিষয়ে, ডিএমপির উত্তরা পশ্চিম থানার ওসির সাথে কথা বলার জন্য একাধিক বার মুঠোফোনে কল করলে তিনি রিসিভ করেননি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম